দায়সারা ভাবে বাঁধ সংস্কারের অভিযোগ, ক্ষোভ বাসিন্দাদের
দিন কয়েক আগে নদীবাঁধে ধস নেমে চাষের জমি থেকে ঘরবাড়ি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। ঘটনার পর তড়িঘড়ি বাঁধ মেরামতির কাজে নেমে পড়ে সেচ দফতর। কিন্তু নিম্ন মানের জিনিসপত্র দিয়ে দায়সারা ভাবে বাঁধ মেরামত করা হচ্ছে বলে ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ। তাঁদের আশঙ্কা এ ভাবে তাপ্পি দিয়ে মেরামতির কাজ করা হলে ফের বাঁধ ধসে তাঁদের ভাসতে হবে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি ব্লকের ভুবনেশ্বরী গ্রাম পঞ্চায়েতে।
বারুইপুরের মহকুমাশাসক আর্সাদ হাসান ওয়াসি বলেন, “ওই বাঁধ সেচ দফতর মেরামত করে দিয়েছে। তবেুা গ্রামবাসীদের দাবি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
—নিজস্ব চিত্র।
জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে কুলতলির ভুবনেশ্বরী গ্রাম পঞ্চায়েতের হালদারঘেরী গ্রামের কাছে প্রায় ৩০০ ফুট এলাকায় ঠাকুরান নদীর বাঁধ ধসে গ্রাম জল ঢুকে ক্ষতি হয় চাষের জমি ও ঘরবাড়ির। সেচ দফতর তড়িঘড়ি মাটির বস্তা ফেলে জল আটকানোর ব্যবস্থা করে। এর আগে বর্ষায় একই ভাবে ধস নামায় তখনও মাটির বস্তা ফেলে কোনওমতে তাপ্পি দিয়ে বাঁধ মেরামত করা হয়েছিল। আর এখানেই আপত্তি তুলেছেন গ্রামের মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, পাকাপাকি মেরামত না করে এ ভাবে দায়সারা কাজের ফলে বার বার বাঁধে ধস নামছে। তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। গ্রামের নির্মল দাস, অবন্তী মাইতি, হরিপদ সামন্তের দাবি, প্রতিবছর নদীবাঁধ ভেঙে এগিয়ে আসছে নদী। চাষের জমি, পুকুর কবেই নদী গিলে নিয়েছে। সেচ দফতরকে বার বার জমি দেওয়া হচ্ছে বাঁধ বাঁচানোর জন্য কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বার বার বাঁধ ভেঙে ঘরবাড়ি, চাষের জমির ক্ষতি হলেও সেচ দফতর তা নিয়ে উদাসীন।
কুলতলি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য স্থানীয় বাসিন্দা প্রকাশ মাইতি বলেন, “সরকারি গাফিলতির জন্য প্রতিবার নদীবাঁধ ভাঙায় গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে পড়ছেন। অবিলম্বে বোল্ডার দিয়ে পাকাপাকি ভাবে বাঁধ মেরামত না করা হলে সর্বনাশ হবে। তার উপর বাঁধের উল্টোদিকে চর পড়ে যাওয়ায় নদীর স্রোত এদিকে ঘুরে আসায় সমস্যা হচ্ছে। ওই চর কেটে দিলে স্রোতের মুখ ঘুরে যাবে। সে ক্ষেত্রে ভাঙন রোধের কাজ সহজ হবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.