|
|
|
|
বেলদা ও ঝাড়গ্রাম জোনাল কমিটিতে সম্পাদক অপরিবর্তিত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম |
পার্টির সর্বক্ষণের কর্মী না হয়েও সিপিএমের বেলদা জোনাল কমিটির সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত হলেন ভাস্কর দত্ত। ভাস্করবাবু স্কুল শিক্ষক।
দলীয় সূত্রে খবর, আগেই তিনি নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন, চাকরি ছাড়তে পারবেন না। শেষে ‘বিকল্প’ কাউকে খুঁজে না পেয়ে তাঁকেই সম্পাদকের পদে রেখে দিতে বাধ্য হলেন জেলা নেতৃত্ব। শুক্রবার বেলদায় দলীয় কার্যালয়ে জোনাল কমিটির সম্মেলন হয়। এ বার জেলায় বেশির ভাগ জোনাল সম্মেলনে উপস্থিত থাকছেন জেলা সম্পাদক দীপক সরকার। এ দিনও বেলদা জোনাল সম্মেলনে তাঁর উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু, তিনি সেখানে যাননি। একাংশ কর্মীর ব্যাখ্যা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্রের খাসতালুক বলেই বেলদা এড়ালেন দীপকবাবু। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সিপিএমে এই দুই নেতার বিরোধ সর্বজনবিদিত। অথচ, গত বারের জেলা সম্মেলনের পর বেলদা জোনালের দায়িত্ব নিজেই নিয়েছিলেন দীপকবাবু। অবশ্য জেলা সিপিএমের এক নেতা বলেন, “জরুরি কাজ থাকায় দীপকদা বেলদা যেতে পারেননি। অন্য কোনও ব্যাখ্যা অমূলক।” জেলা কমিটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হরেকৃষ্ণ জানা, বিশ্বনাথ দাস।
নতুন জোনাল কমিটিতে ১৬ জন রয়েছেন। এ ছাড়াও রয়েছেন একাধিক আমন্ত্রিক সদস্য। বাদ পড়েছেন অনিল জানা, শিশির মহাপাত্র। এই দু’জনই দলের অন্দরে দীপক-অনুগামী বলে পরিচিত। সম্মেলনে পার্টি নেতৃত্বের কিছু কাজকর্ম নিয়ে সমালোচনা করেন স্থানীয় প্রতিনিধিরা।
সিপিএমের ঝাড়গ্রাম (গ্রামীণ) জোনাল কমিটিরও সম্মেলন হয় শুক্রবার। সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত হন রবি সরকার। এ দিন দুপুরে মানিকপাড়া কমিউনিটি হলে হয় সম্মেলন। আগের জোনাল কমিটির ১১ জনের মধ্যে এক জন সদস্য মাওবাদী হানায় খুন হয়েছিলেন। ২ জন ‘নিষ্ক্রিয়’ হয়েছেন। এ বার ১৪ জনের নতুন কমিটিতে পুরনো ৮ জন সদস্য রয়েছেন। নতুন ৬ সদস্যের অধিকাংশই তরুণ প্রজন্মের। ১৯৯৮ সাল থেকে অবিভক্ত ঝাড়গ্রাম জোনাল কমিটির সম্পাদক ছিলেন রবিবাবু। ২০০৭ সালে ঝাড়গ্রাম জোনাল কমিটিকে শহর ও গ্রামীণ এই দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়। ওই বছরই গ্রামীণ জোনাল সম্পাদক হন রবিবাবু। সেই অর্থে এ বার দ্বিতীয় বারের জন্য তিনি গ্রামীণ জোনাল সম্পাদকের দায়িত্ব পেলেন। সম্মেলনের শুরুতে বালিভাসা থেকে মানিকপাড়া পর্যন্ত মোটরবাইক র্যালি করেন সিপিএমের সদস্য-কর্মীরা। ঝাড়গ্রামের জোনাল সম্মেলনে অবশ্য যথারীতি হাজির ছিলেন জেলা সম্পাদক দীপক সরকার। ছিলেন জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ডহরেশ্বর সেনও। |
|
|
|
|
|