|
|
|
|
|
|
নিত্য দুর্ভোগ |
বিপদ সরণি |
শান্তনু ঘোষ |
জাতীয় সড়ক ধরে বালি হল্টের দিক থেকে বালি নিমতলায় আসছিল পাট বোঝাই একটি লরি। বালি ঘাট রেল সেতুর নীচে মোড় ঘুরতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি। রাস্তার মাঝের বিশাল গর্তের সামনে এসে তীব্র গতিতে ব্রেক কষতে গিয়ে টাল সামলাতে না পেরে উল্টে গেল লরিটি। প্রাণহানি না ঘটলেও গুরুতর জখম হলেন লরির চালক ও খালাসি।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুই নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে বালি ব্রিজ সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরেই বেহাল। বড় দুর্ঘটনার পরে সাময়িক ভাবে মেরামত করা হলেও বছর ঘুরতে না ঘুরতেই যে-কে-সেই। ভোগান্তি হয় সাধারণ মানুষ ও চালকদের। দিনের বেলায় গর্ত দেখে চললেও সমস্যা বাড়ে অন্ধকার নামলেই। চালকদের অভিযোগ, রাতে ওই রাস্তায় আলো থাকে না বললেই চলে। তখন রাস্তার কোথায় গর্ত রয়েছে তা আগে থেকে না জানা থাকলেই বিপদ। গুরুত্বপূর্ণ ওই সংযোগকারী রাস্তাটির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে হুঁশ নেই কারও। যদিও বালি পুরসভা সূত্রে খবর, বালি ব্রিজের অ্যাপ্রোচ রোড হওয়ায় এই রাস্তার মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পূর্ত দফতরের। |
|
সাত বছর আগে বালি ঘাট স্টেশনের নীচে এরকম গর্তে উল্টে যায় একটি জ্বালানি ভর্তি ট্যাঙ্কার। আগুন লেগে ট্যাঙ্কারে পাশাপাশি পুড়ে যায় পাশের বস্তি। একটি শিশু-সহ তিন জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ২০ জন। এর পরেও ঘটেছে আরও বেশ কয়েকটি বড়সড় দুর্ঘটনা। গর্তে চাকা পড়ে টাল সামলাতে না পেরে ৫১ নম্বর রুটের একটি বাস সেতুর দেওয়ালে ধাক্কা মেরে উল্টে গেলে বেশ কয়েক জন গুরুতর জখম হন।
বালি ব্রিজ থেকে নেমে একটি রাস্তা জিটি রোড হয়ে চলে গিয়েছে বেলুড়ের দিকে। অন্যটি, জিটি রোডের উপর একটি সেতু পার করে বালি ঘাট রেল সেতুর নীচ দিয়ে চলে গিয়েছে বালি হল্টের দিকে। আবার বালি হল্টের দিক থেকে একটি রাস্তা সোজা গিয়ে মিশেছে বালি ব্রিজের ডানলপমুখী রাস্তায়। আরও একটি রাস্তা বালি ঘাট রেলসেতুর নীচ দিয়ে জিটি রোডে মিশেছে। বালি ঘাট রেল সেতুর নীচ দিয়ে যাতায়াতের ওই রাস্তা দু’টিতেই পিচ উঠে তৈরি হয়েছে মরণফাঁদ। |
|
স্থানীয় বাসিন্দা ও চালকদের অভিযোগ, রাস্তার গর্তগুলি এতই বিপজ্জনক যে মোড় ঘোরার সময় প্রায়ই গর্তে চাকা পড়ে বেসামাল হচ্ছে ছোট-বড় সব ধরনের গাড়ি। বালি হল্ট থেকে যে রাস্তাটি জিটি রোডে এসে মিশেছে সেটি সব থেকে বিপজ্জনক। অনেক সময়ই বড় বাস কিংবা লরি মোড় ঘোরার সময় ওই বিশাল গর্তটি বাঁচিয়ে চলতে গিয়ে আটকে যাচ্ছে। ফলে যানজট হচ্ছে। এক ট্রাফিককর্মী জানান, মাঝেমধ্যেই ওই গর্তের কারণে বড় যানজট হয়। জট কাটতে কয়েক ঘণ্টা লেগে যায়। সমস্যা আরও বাড়ে গর্তে চাকা পড়ে গেলে। এক লরিচালক সৌমেন মহাপাত্র বলেন, “গর্ত বাঁচিয়ে চলারও উপায় নেই। রাস্তা জুড়ে আড়াআড়ি ভাবে গর্ত। কোনওমতে গতি কমিয়ে ওই গর্ত পার করতে হয়। চাকা গর্তে পড়লে গাড়ির ক্ষতি হয়। ঘটতে পারে বিপদও।”
পূর্ত দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (স্পেশ্যাল প্রজেক্ট) অব্যয় মিত্র বলেন, “বালি ব্রিজ ও তার সংযোগকারী রাস্তার দায়িত্ব কয়েক দিন আগে জাতীয় সড়কের থেকে পূর্ত দফতরের কাছে হস্তান্তর হয়েছে। রাস্তাটির সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
সুবর্ণ জয়ন্তী |
‘হাওড়া ইয়ুথ হস্টেল অ্যাসোসিয়েশন’-এর পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এই অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। ছিল ‘অন্নপূর্ণা ব্যায়াম সমিতি’ আয়োজিত এক র্যালিও। ছিলেন রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়, রাজ্য ইয়ুথ হস্টেল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সমরকুমার মিত্র, রাখালচন্দ্র রায় প্রমুখ। এই উপলক্ষে ২৪ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পুরুলিয়ায় আয়োজন করা হয়েছে ছোটদের প্রকৃতি প্রশিক্ষণ শিবিরের। এ ছাড়াও থাকছে এপ্রিলে ট্রেকিং ও জুলাইয়ে ‘অ্যাডভেঞ্চার ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-সহ নানা আয়োজন।
|
ছবি: রণজিৎ নন্দী। |
|
|
|
|
|