|
|
|
|
|
|
খেলা |
সাফল্য আছে, প্রাপ্তি নেই |
চন্দন রুদ্র |
জয়ের পরে বিজয়োল্লাসে মেতে উঠেছিল ওরা। খো খো-তে জেলার সেরা হয়ে এ বার রাজ্য পর্যায়ে খেলতে যাবে পাঁচলা ব্লকের এই মেয়েরা। এই ব্লকের ছেলেরাও খো খো-তে জেলা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। খো খো ছাড়াও এ বারের হাওড়ায় স্কুল পর্যায়ের ‘পঞ্চায়েত যুব ক্রীড়া আউর খেল অভিযান’-এ ফুটবল, অ্যাথলেটিক্স, কবাডি এবং ভলিবল প্রতিযোগিতা হয়। সেরা ব্লক দলগুলি এ বার রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। তবে অভিযোগ, সফল হলেও ঠিকমতো পুরস্কার মিলছে না।
জাতীয় ক্রীড়া নীতিতে তৃণমূলস্তরে খেলার ছড়িয়ে দেওয়া ও আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় তৈরি করতে ২০০১-এ ‘পঞ্চায়েত যুব ক্রীড়া আউর খেল অভিযান’ বা পাইকা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এই প্রকল্পে ব্লক, জেলা, রাজ্য এবং জাতীয় স্তরে বার্ষিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা এবং আর্থিক পুরস্কার দিয়ে ছেলেমেয়েদের উৎসাহী করার কথা। |
|
অনূর্ধ্ব ১৬ বছরের খেলোয়াড়দের জন্য জিমন্যাস্টিক্স, ফুটবল, বক্সিং, টেবল টেনিস, জুডো, কুস্তি, সাঁতারের মতো মোট ২০টি খেলাকে পাইকার তালিকায় রাখা হয়েছে। রাজ্যগুলি এই তালিকা থেকেই সুবিধা মতো খেলা বেছে নিয়ে ব্লক স্তরে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। খো খো ফাইনালে পাঁচলা ব্লকের মেয়েরা উদয়নারায়ণপুর ব্লকের মেয়েদের হারিয়ে দেয়। অনিতা পোল্লে, রিয়া দাস, পুষ্পিতা পাল, পূজা চক্রবর্তীদের কোচ জগন্নাথ মণ্ডল বললেন, “গত বছর নদিয়ায় রাজ্য প্রতিযোগিতায় গিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের কাছে মেয়েরা হেরে গিয়েছিল। এ বার রাজ্য স্তরে খেলবে ছেলেরাও।”
মেয়েদের কবাডিতে ব্লক পর্যায় থেকে জেলা পর্যায়ে উঠে এসেছিল চারটি দল। বন্ধনী ব্যায়াম সমিতির মাঠে ফাইনালে শ্যামপুর-১ কে হারিয়ে রাজ্য পর্বে খেলার যোগ্যতা পায় বাগনান ব্লক। ছেলেদের ফাইনালে উলুবেড়িয়া-১ হারিয়ে দেয় শ্যাসপুর-১ দলকে। গত বার শ্যামপুরের দুটি দলই রাজ্য পর্বে খেলতে গিয়েছিল। উলুবেড়িয়া দলের অধিনায়কবাইখালি শ্রীশ্রী মহামায়া বিদ্যামন্দিরের দশম শ্রেণির ছাত্র সেখ পুতাউদ্দিনের অভিযোগ, “গত বছর আমরা জেলাস্তরে রানার্স হয়ে কোনও আর্থিক পুরস্কার পাইনি। নিজেদের টাকায় খেলতে আসছি।” শ্যামপুর-২ দলের কোচ তাপস প্রামাণিক বললেন, “গত বছর মেয়েরা কবাডিতে এবং ছেলেরা খো খো-য় জেলার সেরা হয়েও কোনও অর্থ পায়নি।” জেলা কবাডি সংস্থার সচিব স্বপন পাঁজা বললেন, “২০০৯-এর খেলা পরিচালনার খরচ আজও মেলেনি। অথচ জেলা যুব আধিকারিকের দফতর থেকে অর্থ পাওয়ার কথা।” |
|
পুরুষদের ভলিবলে জেলা চ্যাম্পিয়ন হয়ে এ বার রাজ্য পর্বে খেলতে যাবে বালি জগাছা ব্লক। মেয়েদের পর্যাপ্ত দল পাওয়া যায়নি বলে খেলা হয়নি। ফুটবলে সেরা হয়েছে জগৎবল্লভপুর ব্লক। এই ব্লকের অধিকাংশ ছেলেমেয়ে রাজ্যস্তরে খেলতে যাবে।
এ বারের পাইকা প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক, জেলা খো খো সংস্থার সচিব শক্তি মজুমদারেরও অভিযোগে, “কেন্দ্রীয় পাইকা প্রকল্পে আর্থিক পুরস্কারের কথা বলা হলেও সুদূর গ্রামের ছেলেমেয়েদের হাতে সেই অর্থ পৌঁছচ্ছে না।” ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “গত দু’বছর ঠিক কী হয়েছে জানি না। দেখতে হবে। এ বার সোমা বিশ্বাসকে পাইকা প্রকল্প দেখার দায়িত্ব দিয়েছি। কোনও অভিযোগ থাকলে লিখিত ভাবে জানাতে হবে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|