নিজস্ব সংবাদদাতা • জগৎবল্লভপুর |
ঢালাই করা কংক্রিটের সেতু। কিন্তু তার দু’ধারের রেলিং ভেঙে গিয়েছে। ফলে, সেতুটির উপর দিয়ে যাতায়াত করা বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে চলছে এই পরিস্থিতি। চিত্র হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের। কানা দামোদরের উপর তৈরি এই সেতু জগৎবল্লভপুরের সঙ্গে ইছানগরী গ্রামকে যুক্ত করেছে।
প্রতি দিন অন্তত ৮টি গ্রামের মানুষ এই সেতু পেরিয়ে যাতায়াত করেন। অহরহ মোটরবাইক, ভ্যানরিকশা, সাইকেল চলে। বহু স্কুল পড়ুয়াকেও যাতায়াত করতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। সেতুটি মেরামত না হওয়ায় বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। অভিযোগ, বিভিন্ন দফতরে বার বার জানানো সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি। |
সেতুটির দৈর্ঘ্য ৭০ ফুট। চওড়ায় ৫ ফুট। ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, এই সেতুর উপর দিয়ে এক সময়ে মার্টিন বার্ন সংস্থার মিটার গেজ ট্রেন চলত। পরে, ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বছর তিরিশেক আগে রেল লাইন তুলে ফেলে ঢালাই করে বর্তমান সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু তার পর থেকে আর সংস্কার হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে, জীর্ণ এই সেতুটির প্রায় সব ক’টি রেলিংই ভেঙে পড়েছে। ঢালাইয়ের নীচে লোহার বিমও ক্ষয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা মহারাজ নায়েক বলেন, “সেতুটি মেরামত করার জন্য আমরা পঞ্চায়েত সমিতি থেকে শুরু করে জেলা পরিষদ পর্যন্ত সর্বত্র আবেদন করেছি।” মহারাজবাবুর বক্তব্য, “সেতুটি আরও চওড়া করা দরকার। তা হলে অ্যাম্বুল্যান্স চলাচল করতে পারবে।”
এ ব্যাপারে জগৎবল্লভপুর পঞ্চায়েত সমিতির স্থানীয় সদস্য বেবি নস্কর দাবি করেন, “সেতুটি মেরামতে উদ্যোগী হওয়ার জন্য পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে জেলা পরিষদ ও সেচ দফতরের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে। কাজটি ওরাই করবে। পঞ্চায়েত সমিতির এত টাকা কোথায়!” জেলা পরিষদের সভাধিপতি মীনা ঘোষ মুখোপাধ্যায় বলেন, “সেতুটি মেরামতের কাজ জেলা পরিষদ করবে। তবে আপাতত হাতে টাকা নেই। টাকা এলেই ওই সেতু-সহ জেলার বিভিন্ন সেতুর কাজ শুরু হবে।” |