নিজস্ব সংবাদদাতা • বৈদ্যবাটি |
তোলা আদায়ে এসেছিল এক দুষ্কৃতী। মারধরও শুরু করে। যার উপরে চলছিল জুলুমবাজি, সেই যুবকই আচমকা তরোয়াল বের করে চালিয়ে দেন ওই দুষ্কৃতীর গলায়। ঘটনাস্থলেই মারা যায় ওই তোলাবাজ। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে বৈদ্যবাটি রেলগেটের অদূরে। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম লুড়কা (৩০)। বাড়ি চাঁপদানির ঘোষ মহল্লায়। তাকে খুনের অভিযোগে মহম্মদ মুন্না নামে ওই ফল ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁরও বাড়ি চাঁপদানিতে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ মুন্নার দোকানে যায় লুড়কা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তোলা চেয়ে সে উত্ত্যক্ত করতে থাকে মুন্নাকে। মারধরও শুরু করে। এরপরে, আচমকাই লুড়কার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন ওই ব্যবসায়ী। দোকান থেকে তলোয়ার বের করে ওই দুষ্কৃতীর গলায় কোপ মারেন।
রক্তারক্তি দেখে এলাকায় হইচই পড়ে যায়। আতঙ্কিত মানুষ ছোটাছুটি শুরু করেন। খবর পেয়ে শেওড়াফুলি ফাঁড়ির ইনচার্জ দেবাঞ্জন ভট্টাচার্য ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামলান। নিহতের দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়। পুলিশের দাবি, লুড়কা সমাজবিরোধীমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল। বাজারহাটে তোলা আদায় করে বেড়াত। গত কয়েক দিন ধরেই টাকা চেয়ে মুন্নাকে সে শাসাচ্ছিল বলে অভিযোগ। দাবি মতো টাকা না দেওয়াতেই মুন্নার উপরে চড়াও হয়ে এ দিন মারধর শুরু করে লুড়কা। তদন্তকারী এক অফিসার বলেন, “প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, ওই দুষ্কৃতীর অত্যাচারে তিতিবিরক্ত হয়েই পাল্টা তরোয়াল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন ওই ব্যবসায়ী। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।”
সাধারণ মানুষের অভিযোগ, শ্রীরামপুর থানা এলাকার বিশেষ কিছু জায়গায় দুষ্কৃতীদের কার্যকলাপ বাড়ছে। স্বভাবতই, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা অবশ্য বলেন, “দুষ্কৃতীমূলক কাজকর্ম আটকাতে পুলিশ সব সময়েই সচেষ্ট। এ ব্যাপারে পুলিশের ভূমিকায় কোনও শিথিলতা নেই। তবে, নজরদারি আরও জোরদার করা হবে।” |