খুচরো-বিতর্কে অবশেষে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন রাহুল গাঁধী। এবং তাঁর ও তাঁর মা সনিয়া গাঁধীর ‘নীরব’ থাকা নিয়ে বিরোধীদের যাবতীয় খোঁচার জবাব দিয়ে সরকারি নীতির পক্ষেই জোরালো সওয়াল করলেন।
উত্তরপ্রদেশে ভোট প্রচারে গিয়ে রাহুল আজ বলেন, “কৃষকদের উৎপাদিত ৬০ শতাংশ কৃষিপণ্য যথাযথ মজুতের অভাবে নষ্ট হয়। যার ফলে কৃষকরা তাঁদের ফসলের উপযুক্ত মূল্য পান না। কিন্তু খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি পুঁজি এলে এ ভাবে কৃষিপণ্য নষ্ট হবে না। কৃষকরাও ভাল দাম পাবেন। অথচ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিই কৃষকদের সেই কল্যাণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।” |
রাহুলের এই মন্তব্য দু’দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমত, কেন্দ্রে সংস্কারের কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে। দ্বিতীয়ত, উত্তরপ্রদেশের ভোট রাজনীতির প্রশ্নে। সরকারের এক শীর্ষনেতার কথায়, খুচরো বিতর্কে দলের ভিতরে সংশয় দূর করতে পুরোপুরি সফল হননি রাহুল। কিন্তু আজ জনসভা থেকে যে ভাবে তিনি খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির পক্ষে সওয়াল করেছেন, তাতে সামগ্রিক ভাবে কংগ্রেসের মধ্যেও বার্তা গিয়েছে। এর পর দল ও সরকার ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রচার করলে জনমত গড়ে তোলা সহজ হবে। তাতে অদূর ভবিষ্যতে কেন্দ্রের এই নীতির বাস্তবায়নের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
কংগ্রেস হাইকম্যান্ড সূত্রে বলা হচ্ছে, রাহুলের এই মন্তব্য উত্তরপ্রদেশের রাজনীতির নিরিখেও গুরুত্বপূর্ণ। খুচরো বিতর্কে মায়াবতী সরাসরি রাহুলকে আক্রমণ করেই বলেছিলেন, রাহুলের বিদেশি বন্ধুদের সাহায্য করতেই এই নীতি। আজ মায়ার সেই আক্রমণেরই জবাব দিলেন রাহুল। চাষিদের মন জয়ে এর আগে ভাট্টা-পারসলকে কেন্দ্র করে মায়াবতী সরকারের জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে নেমে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। আর আজ শুধু মায়াবতীই নয়, বিঁধলেন বিজেপির ‘ভারত উদয়’কেও। তাঁর কথায়, “ভারত উদয়ে যে কৃষকদের লাভ হয়নি, সেটা অনেকেই হয়তো এখনও দেখতে পাচ্ছেন না। কিন্তু কেন্দ্রে ইউপিএ সরকার কৃ ষকদের ৬০ হাজার কোটি টাকা কৃষি ঋণ মকুব করেছে। পাশাপাশি সুদের হার কমিয়েছে।” |