নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া |
জেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলিতে দ্রুত অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা গড়ে তোলার নির্দেশ দিলেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক। বৃহস্পতিবার জেলাশাসকের দফতরে প্রশাসনিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দমকলের ওসি’র সভাপতিত্বে সাত জনের একটি কমিটিও গঠন করা হয়। এই কমিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবে। জেলাশাসক মহম্মদ গুলাম আলি আনসারি বলেন, “বর্তমানে জেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে আগুন নেভানের ব্যবস্থা নেই। পরিকাঠামো গড়ে তুলতে নির্দেশ দিয়েছি।”
এ দিন বৈঠকে জেলাশাসক-সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা, দমকলের ওসি, হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। জানা গিয়েছে, সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলির অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবে। কমিটিতে দমকলের ওসি ছাড়াও পূর্ত দফতরের সিভিল ও ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার, পুরসভা ও প্রশাসনের কয়েক জন আধিকারিকরা রয়েছেন। দমকলের ওসি সুপ্রিয় মণ্ডল বলেন, “জেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। আগুন নেভানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।” তিনি জানান, কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁরা পরিদর্শনে বের হবেন।
বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার নিমাইচাঁদ দেবনাথ বলেন, “হাসপাতালে আগুন নেভানোর পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য আমরা কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছি।” তিনি জানান, আজ শুক্রবার, হাসপাতালে দমকলের ওসির উপস্থিতিতে এ ব্যাপারে বৈঠক ডাকা হয়েছে। দমকলের পরামর্শ মতো তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন। বাঁকুড়া জেলা নার্সিংহোম মালিকদের সংগঠনের সম্পাদক নীলাঞ্জন কুণ্ডু বলেন, “জেলাশাসক অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা দ্রুত গড়ে তুলতে বলেছেন। আমরা ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু করে দিয়েছি।”
পুরুলিয়ার ৩টি বড় হোটেল ও নার্সিংহোম দমকলের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে বলে দমকল বিভাগ অভিযোগ করেছে। দমকলের পুরুলিয়ার ওসি সুদীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কয়েক দিন আগে শহরের কয়েকটি হোটেল ও নার্সিংহোমে গিয়ে আমরা দেখি তাদের কাছে দমকলের ছাড়পত্র নেই। তাঁদের এ জন্য আবেদন করতে বলেছি। আবেদন পত্র জমা পড়ার পরে অগ্নিনির্বাপণ-সহ অন্যান্য বিষয়গুলি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।” শহরের বহুতলে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে পুরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। |