|
|
|
|
কংগ্রেস শিক্ষা সেলের বৈঠক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির প্রক্রিয়া লটারির মাধ্যমে হবে। তবে কোনও স্কুলে প্রাথমিক বিভাগ থাকলে বা ভবনে অন্য পরিচালন কমিটির অধীনে প্রাথমিক বিভাগ চললে ওই পড়ুয়াদের ওই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য লটারির প্রয়োজন হবে না। চতুর্থ শ্রেণির পর ছাত্রছাত্রীরা ওই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তে পারবেন। বৃহস্পতিবার ওই সরকারি নিয়ম লাগু হওয়ার বিষয়টি জেনে শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেসের শিক্ষা সেল। তাদের অভিযোগ, ইতিমধ্যে অনেক স্কুলে বিশেষ করে কয়েকটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে লটারির মাধ্যমে ভর্তির প্রক্রিয়া হয়ে গিয়েছে। সেখানকার প্রাথমিক স্কুলের ছেলেমেয়ে যারা সুযোগ পাননি তাদের ক্ষেত্রে কী হবে? স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সঞ্জীবকুমার ঘোষ বলেন, “শিলিগুড়িতে এখনও কোনও স্কুলে ভর্তির লটারি হয়নি। ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলি তাদের নিয়ম অনুসারে ভর্তি প্রক্রিয়া করে থাকে। সে ক্ষেত্রে স্কুল পরিদর্শকের দফতরের নিয়ন্ত্রণ সে ভাবে নেই। তবে এলাকার গরিব, পিছিয়ে পড়া পরিবারের ছেলেমেয়েদের ২৫ শতাংশ স্কুলে ভর্তি বাধ্যতামূলক। তা ছাড়া শিক্ষার অধিকার আইন মেনে নতুন নিয়মে শিলিগুড়ির ক্ষেত্রে কোনও প্রাথমিক স্কুলে তার ১ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী পড়ুয়ারাই ভর্তি হবেন। মাধ্যমিক স্কুলগুলির ক্ষেত্রে ভর্তি হতে উৎসাহী প্রার্থীদের বাড়ি হতে হবে ২ কিলোমিটারের মধ্যে।” পাশাপশি স্কুল পরিদর্শক দফতর থেকে জানা গিয়েছে, নতুন আইন মেনে ভর্তির ক্ষেত্রে কোনও ফি নেওয়া চলবে না। তবে স্কুল পরিদর্শকের দফতর থেকে কর্তৃপক্ষদের জানানো হয়েছে, স্কুলের উন্নয়নের জন্য বছরে সর্বাধিক ২৪০ টাকা পড়ুয়াদের কাছ থেকে প্রয়োজনে তাঁরা নিতে পারেন। কোথাও সমস্যা হলে তা মেটাতে স্কুল পরিদর্শক হস্তক্ষেপ করবেন। কংগ্রেসের শিক্ষা সেলের সভাপতি সৌমিত্র সেনগুপ্ত, সন্দীপন ভট্টাচার্যরা জানান, নতুন নিয়মে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলিও পড়বে। তাদের ক্ষেত্রে যাতে বিষটি সঠিক ভাবে কার্যকর হয় তা স্কুল পরিদর্শকেই দেখতে হবে। |
|
|
|
|
|