জোর করে কীটনাশক খাইয়ে বধূকে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার চরচালকি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রেণুকা বিশ্বাস (১৮)। ঘটনার প্রতিবাদে গ্রামের বাসিন্দারা রেণুকাদেবীর শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর চালায়। শাশুড়ি কানন বিশ্বাসকে পিছমোড়া করে বেঁধে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। মৃতার বাবা বিহারি বিশ্বাস থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কাননদেবীকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় সাতমাস আগে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার বাসিন্দা বিহারী সরকারের মেয়ে রেণুুকার সঙ্গে বিয়ে হয় চরচালকি গ্রামের সুব্রত বিশ্বাসের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে পণ বাবদ ৮০ হাজার টাকা দাবি করে চাপ দিতে থাকে সুব্রতর পরিবারের সদস্যেরা। বিষয়টি নিয়ে গ্রামে বার কয়েক সালিশি হয়। তবে তাতে সমস্যা মেটেনি। পণ ছাড়া শ্বশুরবাড়িতে এলে রেণুকাকে খুন করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। অভিযোগ, বুধবার সন্ধ্যায় রেণুকার মুখে জোর করে কীটনাশক ঢেলে দেয় স্বামী সুব্রত বিশ্বাস, শাশুড়ি কানন বিশ্বাস ও ননদ মামনি বিশ্বাস। বধূর চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা তাঁকে উদ্ধার করে বনগাঁ হাসপাতালে পাঠায়। সেখান থেকে আর জি কর হাসপাতালে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সেখানেই রেণুকাদেবী মারা যান।
রেণুকাদেবীর মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছতেই বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। সুব্রতদের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। কানন বিশ্বাসকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বিহারীবাবু থানায় অভিযোগ করেছেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। সুব্রত ও মামনিদেবী পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে। |