নিজস্ব সংবাদদাতা • জামুড়িয়া |
কলেজের নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়ে মহকুমাশাসকের কাছে চিঠি দিলেন চুরুলিয়া নজরুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়ের ১৯ জন শিক্ষক।
বৃহস্পতিবার ছিল ওই কলেজে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এ দিন কলেজ থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মধুডাঙায় ১১ জন শিক্ষকের পথ আটকানো হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, এর মধ্যে এক জন শিক্ষককে বাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কলেজের অধ্যক্ষ সন্তরাম বলেন, “বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। ভোট হওয়ার কথা ২১ ডিসেম্বর। ১৯ জন শিক্ষক বিকেলে মহকুমাশাসকের কাছে গিয়ে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।”
মহকুমাশাসক সন্দীপ দত্ত বিষয়টি পুলিশকে জানান। আসানসোলের পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দ অবশ্য বলেন, “অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থাও হবে।” এসএফআইয়ের জামুড়িয়া লোকাল সম্পাদক শুভেন্দু কাপরির অভিযোগ, “আমাদেরও ১২ জন প্রার্থীকে দোমহানি এবং পাঁচ জনকে মধুডাঙা থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের সমর্থকেরা। আমরা ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, এ দিন কলেজের গেটে প্রায় দেড়শো বহিরাগত আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। এসএফআই প্রার্থীদের কলেজে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি।
অধ্যক্ষ সন্তরাম জানিয়েছেন, এ দিন তিনি অর্থনীতির শিক্ষক চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কলেজের দিকে আসছিলেন। মধুডাঙায় তাঁদের গাড়ি আটকান কয়েক জন অপরিচিত ব্যক্তি। চন্দনবাবুকে বাড়ি ফিরে যেতে বলেন তাঁরা। অভিযোগ, আরও ৮ শিক্ষকের গাড়িও আটকানো হয়। অধ্যক্ষ পরে পুলিশ নিয়ে এসে ওই শিক্ষকদের উদ্ধার করে কলেজে নিয়ে যান।
টিএমসিপি নেতা সত্যজিৎ অধিকারী অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “এসএফআই মনোনয়ন পত্র তুললেও ওই ছাত্ররাই পরে আর ওদের হয়ে দাঁড়াতে চাননি। তাই এই বিপত্তি। ওরা এখন নানা মিথ্যা অভিযোগ করছে। শিক্ষকেরাও একই সুরে কথা বলছেন। অথচ, আমাদের ব্লক সভাপতি পূর্ণশশী রায়-ই শিক্ষকদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।” অধ্যক্ষ তথা রিটার্নিং অফিসার সন্তরাম এ দিন বলেন, “৪৩টি মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে। শুক্রবার সব স্ক্রুটিনি হবে।”
|