কঠিন রোগ সারিয়ে যুবরাজ সিংহের ক্রিকেট মাঠে প্রত্যাবর্তন নিয়ে জল্পনা অব্যাহত। এক দিকে, তাঁর পরিবার-বন্ধুবান্ধবরা আশা করছেন, খুব শীঘ্রই ফের তাঁকে ব্যাট হাতে দেখা যাবে। কেউ কেউ সোমবার এমনও দাবি করলেন যে, রঞ্জি ট্রফিতে পঞ্জাবের হয়ে গ্রুপের শেষ ম্যাচেই যুবরাজের মাঠে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে চার দিনের যে ম্যাচ শুরু হচ্ছে ২১ ডিসেম্বর। এঁরা আরও বলছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই ট্রেনিং শুরু করতে পারেন যুবরাজ।
ওয়াকিবহাল মহল কিন্তু অতটা আশাবাদী নয়। বরং এঁদের মতে, যুবরাজ যদি ফেব্রুয়ারির গোড়ায় দলীপ ট্রফিতেও প্রত্যাবর্তন ঘটাতে পারেন সেটা চমকপ্রদ হতে যাচ্ছে। দলীপে উত্তরাঞ্চল খেলবে সরাসরি সেমিফাইনাল থেকে। সেই ম্যাচ ৪-৭ ফেব্রুয়ারি। ঘটনা হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ায় ত্রিদেশীয় এক দিনের সিরিজ শুরু হচ্ছে ঠিক তার পরের দিন। তার মানে দলীপের ম্যাচ থেকে ফিরলে যুবরাজের অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য মানলে, তাড়াহুড়ো করে ফিরতে গেলে যুবরাজের ক্ষতিই হবে।
যুবরাজের মা শবনম সিংহ যদিও এ দিন সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, যুবরাজ সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পথে। আর তিন সপ্তাহের মধ্যে তিনি মাঠে ফিরছেন এবং তখন সম্পূর্ণ পাল্টে যাওয়া যুবরাজকে দেখতে পাওয়া যাবে। “বিশ্ব এক নতুন যুবরাজকে দেখবে এ বার। মাঠে এবং মাঠের বাইরে। জীবনের প্রতি ওর দৃষ্টিভঙ্গিটাই পাল্টে গিয়েছে। ও এখন বুঝতে পেরেছে কী করা উচিত, কী করা উচিত নয়। বরাবরই যুবরাজ এক জন ফাইটার। কিন্তু এখন ও আরও সাহসী হয়ে উঠেছে,” বলেছেন শবনম।
জাতীয় নির্বাচকেরা আবার যুবরাজের ম্যাচ-ফিটনেস যাচাই না করে তাঁকে জাতীয় দলে ফেরানোর পক্ষে নন। কঠিনতম জীবনযুদ্ধে তাঁর লড়াই নিয়ে সকলে খুবই সহানুভূতিশীল। সব রকমের অভয় দিতেও তাঁরা প্রস্তুত। কিন্তু যেহেতু এত বড় ধরনের একটা যুদ্ধ লড়ে উঠছেন, নির্বাচকেরাও চান, ধীরেসুস্থে ফেরার রাস্তায় এগোন যুবরাজ।
|
এক দিনের দলে ইরফান
নিজস্ব প্রতিবেদন |
শুধু সচিন-লক্ষ্মণ-দ্রাবিড়ই নন। অস্ট্রেলিয়ায় ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু টেস্ট সিরিজের আগে সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে সড়গড় হতে ডনের দেশে আগেভাগে উড়ে যাচ্ছেন ইশান্ত শর্মা, প্রজ্ঞান ওঝা, উমেশ যাদবের সঙ্গে বাংলার উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা-ও। এই ৭ ক্রিকেটার ৮ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিমানে উঠে পড়ছেন। এ দিকে, পাঁজরের চোটে অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে ছিটকে যাওয়া প্রবীণ কুমারের জায়গায় জাতীয় নির্বাচকেরা ১৭ জনের টেস্ট দলে কর্নাটকের পেসার অভিমন্যু মিঠুনকে নিলেন। আবার উমেশ যাদব চলতি এক দিনের সিরিজ শেষ হওয়ার আগেই দেশ ছাড়ছেন বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শেষ দু’টো ওয়ান ডে-র দলে সুযোগ পেলেন ইরফান পাঠান। বরোদার ২৭ বছর বয়সি অলরাউন্ডার দু’বছর ১০ মাস পরে জাতীয় দলে ফিরলেন। ভারতের হয়ে শেষ খেলেছিলেন ২০০৯-এর ৮ ফেব্রুয়ারি, কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ম্যাচে। তার পর চোট আর খারাপ ফর্মের জন্য ছিটকে যান। এ মরসুমে রঞ্জিতে ৩ ম্যাচে ২১ উইকেট নিয়ে ফের জাতীয় নির্বাচকদের নজর টেনে নিলেন। ইরফান বলেছেন, “দু’হাজার তিন-চারে আমার প্রথম আন্তর্জাতিক সিরিজের চেয়েও এই মরসুমটা আমার পক্ষে ভাল যাবে বলে মনে করছি।” |