টোলগের দুর্দান্ত গোলেই মর্গ্যানের গোয়া জয়
ইস্টবেঙ্গল-১ (টোলগে)
স্পোর্টিং ক্লুব দ্য গোয়া-০
চুলের ছাঁট পাল্টানোর পর সোমবারই ছিল টোলগে ওজবের প্রথম ম্যাচ। আগের দিনই গণ্ডগোলে জড়িয়েছেন মারগাওয়ের মাঠকর্মীদের সঙ্গে। ঘাড়ের উপর পড়ছে স্বদেশীয় অ্যালান গাওয়ের নিঃশ্বাস। লাল-হলুদ তাঁবুতে ঢুকলেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, কোচের সঙ্গে তাঁর নাকি মানসিক দূরত্ব প্রচুর।
যে কোনও পারফর্মারই এ রকম অবস্থায় নিজেকে প্রমাণ করার জন্য ভাল মঞ্চ খোঁজেন। তীব্র চাপের মুখে দাঁড়িয়ে ইস্টবেঙ্গলের অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার বেছে নিয়েছিলেন বুধবারের মারগাও স্টেডিয়ামকে। তাঁর চেষ্টা পুরোপুরি সফল। টোলগের গোলেই গোয়ার শক্তিশালী দল স্পোর্টিং ক্লুবকে হারিয়ে একসঙ্গে তিনটি লক্ষ্য পূরণ করে ফেলল ইস্টবেঙ্গল। এক) গোয়ার মাঠে সেখানকার দলকে হারিয়ে পুরো পয়েন্ট ঘরে তুলল মর্গ্যানের টিম। দুই) কলকাতায় ১৫ ডিসেম্বর মহাগুরুত্বপূর্ণ ডেম্পো ম্যাচের আগে এই জয় মনোবল বাড়াল। তিন) মোহনবাগান ও প্রয়াগ ইউনাইটেডকে পিছনে ঠেলে দিয়ে গোলপার্থক্যে আই লিগ টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এল লাল-হলুদ।
টোলগের যে গোলে ইস্টবেঙ্গল গোয়া-জয় করে ফিরছে সেটা দুর্দান্ত। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি তীব্র গতিতে প্রায় কুড়ি গজ দৌড়ে এসে দুরূহ কোণ থেকে বাঁ-পায়ের শটে গোল। গোলকিপার-সহ তিন জনকে কাটিয়ে যখন জালে বল ঠেলছেন, তখন গোললাইনে পৌঁছেও বাঁচাতে পারেননি স্পোর্টিং ডিফেন্ডার ম্যাথু। মহার্ঘ্য গোল টোলগেকে আই লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় যুগ্ম ভাবে দ্বিতীয় স্থানে তুলল এ দিন। টোলগের ৮ ম্যাচে ৭ গোলের আগে শুধু ডেম্পোর র্যান্টি মার্টিন্স (১০)।
ইস্টবেঙ্গল এ দিন কত গোলে জিততে পারত? মারগাও থেকে ফোনে মেহতাব হোসেন আক্ষেপ করলেন, “ম্যাচটা আমাদের পাঁচ গোলে জেতা উচিত ছিল।” খেলার ফল হতে পারত ৫-২-ও। টোলগে এবং ভাসুমের শট যেমন ক্রসপিসে লেগে ফিরেছে, তেমনই স্পোর্টিংয়ের জেমস মোগার হেড ইস্টবেঙ্গল পোস্টের ভিতর দিকে লেগে ফিরেছে। ইস্টবেঙ্গল গোলে দাঁড়িয়ে সন্দীপ নন্দী যেমন দু’টো নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছেন, তেমনই স্পোর্টিং কিপার জেরার্ড দু’টো অবিশ্বাস্য সেভ করেছেন। আবার গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি পেন ওরজি। গোল নষ্ট নিয়ে লাল-হলুদ শিবিরে হাহুতাশ চললেও পেশাদার মর্গ্যান সেই সব নিয়ে ভাবতে রাজি নন। ম্যাচের পর ফুটবলারদের তিনি বলেছেন, “তিন পয়েন্ট পেয়েছি। লিগ টেবিলে ভাল জায়গায় পৌঁছেছি। আর এই ম্যাচ নিয়ে ভেবে লাভ নেই, ডেম্পো ম্যাচের জন্য তৈরি হও। ওই ম্যাচ জিততে পারলে আরও ভাল জায়গায় চলে যাব।” সহকারী কোচ রঞ্জন চৌধুরীর মন্তব্য, “গোয়ার মাঠ থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে ফেরা সব সময় কঠিন। টিমের মনোবল অনেকখানি বেড়ে গেল।”
এ দিন পাল্লাভারি ছিল ইস্টবেঙ্গলের দিকেই। বল পজেসন, সেট পিস, পাসিং স্পোর্টিংকে পিছনে ফেলে দিয়েছিল মর্গ্যান ব্রিগেড। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে মেহতাব নামার পর। বারুইপুরের ছেলে আবার বোঝালেন, তিনি থাকলে লাল-হলুদের মাঝমাঠ কতটা মসৃণ ভাবে কাজ করে। আবার দ্বিতীয়ার্ধে স্পোর্টিং কোচ একেন্দ্র সিংহ দুই বদলি স্ট্রাইকার নামিয়ে ফর্মেশন ৪-৩-৩ করার পরই ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের আসল চেহারাটা বোঝা গেল। স্পোর্টিংয়ের গোলের প্রায় সব সুযোগই এসেছিল এই সময়।

ইস্টবেঙ্গল: সন্দীপ, নওবা, ওপারা, গুরবিন্দর, সৌমিক, ভাসুম, পেন, সঞ্জু (মেহতাব), সুশান্ত (রবিন্দর), রবিন (বলজিৎ), টোলগে।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.