নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্য সরকার আগেই বেঁকে বসেছিল। সুপ্রিম কোর্টের রায়ও বিপক্ষে গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া বা এমসিআই-ও অনুমোদন বাতিল করে দেওয়ায় অগাধ জলে হলদিয়ায় বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ আইকেয়ার ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চ। এ বার পঠনপাঠন চালু রাখার জন্য সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের আবেদন জানিয়ে রাজ্য সরকার ও রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে চিঠি লিখেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ। তবে চলতি বছরে আর কিছু করা যাবে না বলে জানিয়েছে রাজ্য।
একই ভবনে মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ চালাতে দিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ বিধি ভেঙেছেন বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কয়েক দিন আগেই ওই মেডিক্যাল কলেজকে দেওয়া ‘এসেনসিয়্যালিটি সার্টিফিকেট’ প্রত্যাহার করে নেয় রাজ্য সরকার। তার পরে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের অনুমোদন বাতিল করে। ওই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন বাতিল করার কথা ঘোষণা করে এমসিআই-ও। এই পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরের জন্য ওই মেডিক্যাল কলেজে আর পঠনপাঠন হবে না। কলেজ চালু রাখার শেষ চেষ্টা হিসেবে রাজ্য সরকারকে চিঠি লিখে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছেন হলদিয়ার মেডিক্যাল কলেজ-কর্তৃপক্ষ। চিঠি দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়কেও। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদল ঠিক কী কী ত্রুটি পেয়েছে, তা জানায়নি। তা জানানো হলে মেডিক্যাল কলেজ দ্রুত প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করে নিতে পারে।
একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওই মেডিক্যাল কলেজটি তৈরি করেছে। সেই সংস্থার চেয়ারম্যান সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ। শুক্রবার লক্ষ্মণবাবু বলেন, “আমরা নিয়ম ভাঙিনি। একটু সময় দিলেই সমস্ত পরিকাঠামো আমরা তৈরি করতে পারব।” তাঁর বক্তব্য, রাজ্যে এমনিতেই ডাক্তারের আকাল। এই অবস্থায় তাঁদের মেডিক্যাল কলেজ অনুমতি পেলে আরও কিছু ডাক্তার তৈরি হত। প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ বলেন, “সেই কারণেই আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহযোগিতা প্রার্থনা করছি। সরকারের সাহায্য ছাড়া কিছু করা সম্ভব নয়।” স্বাস্থ্য (শিক্ষা) অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “চিঠি একটা পেয়েছি। কিন্তু এ বছর আর কিছু করা সম্ভব নয়।” স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ও জানিয়ে দিয়েছে, তারা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে না। |