|
|
|
|
টুকরো খবর |
চাঞ্চল্য ডেবরায়, একই পরিবারে দু’জনের মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
একই পরিবারের দু’জনের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ডেবরার হরিহরপুরে। ডায়েরিয়া নাকি বিষক্রিয়া নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু--তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই এলাকায় ক’দিন ধরেই ডায়েরিয়ার প্রকোপ হয়েছে। এলাকার নলকূপের জলের নমুনা পরীক্ষায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। খড়্গপুরের মহকুমাশাসক সুদত্ত চৌধুরী বলেন, “হরিহরপুরের পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।” প্রশাসন সূত্রে খবর, এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দ্র পাত্রকে একটি রিপোর্ট দেবেন ডেবরার বিএমওএইচ রজত পাল। এর পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। ডেবরার ওই এলাকাতেই বাড়ি রাম হাঁসদা নামে এক যুবকের। তাঁর মা ও স্ত্রী দু’জনেই ক’দিন আগে অসুস্থ হন। মা শ্রীমতিদেবী (৪৬) শুক্রবার ভোররাতে ডেবরারই এক নার্সিংহোমে মারা যান। অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় রামের স্ত্রী যমুনা হাঁসদার (২০)। একই পরিবারের দু’জনের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ক’দিন আগেই ওই এলাকায় ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়। কয়েক জন এই রোগে আক্রান্ত হন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে স্বাস্থ্য দফতরের একটি দলও এলাকায় আসে। হরিহরপুরে একটি পুকুর ও নলকূপ রয়েছে। পুকুরের জলে স্নান, কাপড় ধোয়ার কাজ হয়। খাবার জন্য নলকূপের জলই নেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, এলাকার পুকুরের জল দূষিত হয়ে পড়েছে। কিন্তু, নলকূপের জল ভালই। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার কথায়, “নলকূপের জল তো শুধু একটি পরিবারই নয়, এলাকার আরও কয়েকটি পরিবার সংগ্রহ করে। অথচ, সেই সব পরিবারের সবাই সুস্থ রয়েছেন।” ডেবরার বিএমওএইচ বলেন, “নলকূপের জলের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
|
রোগীর মৃত্যুতে লাইসেন্স বাতিল হাসপাতালের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
শ্রীরামপুরের কেয়ার কনসার্ন হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিলই হয়ে গেল। অভিযোগ উঠেছিল, বিধি অনুযায়ী যত দক্ষ কর্মী থাকা উচিত, হাসপাতালে তা ছিল না। তার জেরে অস্ত্রোপচারের টেবিলেই এক রোগীর মৃত্যু হয়। তদন্তে এই অভিযোগ যাচাই করে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা ওই হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করে দেন। হাসপাতালের মালিক, চিকিৎসক অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। শুক্রবার বিচারপতি জয়ন্ত বিশ্বাস সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছেন। আদালত সূত্রের খবর, ২০১০ সালের ৪ অগস্ট দেবাশিস চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। পরের দিন তাঁকে অস্ত্রোপচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অপারেশন টেবিলেই মৃত্যু হয় তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, অতিরিক্ত রক্তপাতেই রোগী মারা গিয়েছেন। মৃতের পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তদন্তে দেখা যায়, ওই হাসপাতালে যথেষ্ট সংখ্যায় দক্ষ কর্মী থাকলে দেবাশিসবাবুর মৃত্যু এড়ানো যেত। হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষ লাইসেন্স নেওয়ার শর্ত উপেক্ষা করে হাসপাতাল চালাচ্ছেন বলে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন।
|
রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক তমলুকে
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
চিকিৎসক-কর্মচারী সংগঠনের মধ্যে লাগাতার বিবাদ-বিরোধের মাঝেই শুক্রবার রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে। বৈঠকের আগে বিকেল ৪টে নাগাদ হাসপাতাল পরিদর্শনে যান জেলাশাসক রাজীব কুমার। জেলাশাসককে কাছে পেয়ে হাসপাতালের বেশ কিছু রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা অভিযোগ করেন, “চিকিৎসকের অভাবে বিনা চিকিৎসায় পড়ে থাকতে হচ্ছে হাসপাতালে। দেখার কেউ নেই।” সব শোনার পরে জেলাশাসক বলেন, “চিকিৎসক ও পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে হাসপাতালে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে দু’জন চিকিৎসককে জরুরি ভিত্তিতে শনিবারই জেলা হাসপাতালে পাঠানোর জন্য বলেছি স্বাস্থ্য দফতরকে।” এ দিকে, নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় এ দিন ছুটি চেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন চিকিৎসক সোমালী রায়। দিন কয়েক আগে স্টেট হেল্থ এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক সত্যরঞ্জন সাউয়ের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি চতুর্থ শ্রেণির ওই কর্মীর বিরুদ্ধে। সোমালীদেবীর অভিযোগ, “এখন বিভিন্ন অচেনা নম্বর থেকে হুমকি ফোন আসছে। নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি চেয়েছি। তারপরে পরিস্থিতি দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।” সত্যরঞ্জনবাবু হুমকির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে, এ দিন রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকের পরে স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “হাসপাতালের কিছু কর্মী নিজেদের কাজ না করে অন্যের বিষয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এ দিন হাসপাতাল চত্বরে নিজের সাংসদ তহবিলের টাকায় একটি ট্রমা অ্যাম্বুল্যান্সের উদ্বোধন করেন শুভেন্দু।
|
এডস নিয়ে অনুষ্ঠান জেলায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি ও ঘাটাল |
বিশ্ব এডস দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সচেতনতামূলক নানা কর্মসূচি পালন করল কাঁথির দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটি। প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন দুর্গা বেরা। উদ্বোধন সঙ্গীত পরিবেশন করেন পূর্ণিমা অধিকারী, জয়ন্ত প্রধান। আবৃত্তি শোনান লতা পয়ড়্যা। আলোচনাসভায় এডস প্রতিরোধ ও সতর্কতা নিয়ে বক্তব্য রাখেন ইলা মান্না, শুভ্রা গিরি, প্রতিমা গারু। ধন্যবাদ জানান সীতা জানা। এ দিন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছিল কাঁথি ক্লাবও। স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন ক্লাব সভাপতি অমিতাভ মাইতি। আলোচনাসভায় বক্তাদের মধ্যে ছিলেন সম্পাদক তিমিরবরণ পণ্ডা, কৃষ্ণেন্দু মাইতি, প্রকাশ গিরি, রোহিনী নন্দ, অজয় গিরি, সুকুমার পাণিগ্রাহী প্রমুখ। অন্যষ্ঠান হয় অন্যত্রও। বুধবার দাসপুরের রাজনগরে ভবানন্দ তরুণ সঙ্ঘ এডস নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উপস্থিত ছিলেন দাসপুরের বিডিও রোশনি সরকার, অমিতাভ সরকার প্রমুখ। ক্লাবের তরফে সন্দীপ সামন্ত জানান, এ বার থেকে প্রতি বছরই এই দিনটিতে সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়া হবে। বিশ্ব এডস দিবস উপক্ষে বৃহস্পতিবার ঘাটাল শহরের ত্রিবেণী ক্লাব রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিল। উপস্থিত ছিলেন পুরপ্রধান জগন্নাথ গোস্বামী, মহকুমা হাসপাতালের সুপার অনুরাধা দেব।
|
ছাত্র-সংসদের উদ্যোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মেদিনীপুর আইটিআইয়ের ছাত্র-সংসদের উদ্যোগে শুক্রবার এক এডস সচেতনতা শিবির ও পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। পদযাত্রা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসেই শিবির হয়। উপস্থিত ছিলেন প্যারামেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ নন্দদুলাল ভট্টাচার্য, আইটিআই কলেজের অধ্যক্ষ প্রশান্ত অধিকারী প্রমুখ। কলেজের এসিসি ইউনিটের ছাত্রছাত্রীরা এ দিনের পদযাত্রায় যোগ দেন। ছাত্র সংসদের বক্তব্য, সাধারণ মানুষকে এডস সম্পর্কে সচেতন করতেই এই উদ্যোগ।
|
এডস সচেতনতায় |
বুধবার দাসপুরের রাজনগরে ভবানন্দ তরুণ সঙ্ঘ এডস নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উপস্থিত ছিলেন দাসপুরের বিডিও রোশনি সরকার, অমিতাভ সরকার প্রমুখ। ক্লাবের তরফে সন্দীপ সামন্ত জানান, এ বার থেকে প্রতি বছরই এই দিনটিতে সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়া হবে। বিশ্ব এডস দিবস উপক্ষে বৃহস্পতিবার ঘাটাল শহরের ত্রিবেণী ক্লাব রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিল।
|
স্বাস্থ্যপরীক্ষা |
তৃণমূলের উদ্যোগে জাদুডাঙায় বিনামূল্যে স্বাস্থ্যপরীক্ষা শিবির হল শুক্রবার। দু’জন চিকিৎসক একশোর বেশি রোগীকে দেখেন। তৃণমূল নেতা সঞ্জয় মাঝি জানান, নিম্নবিত্ত মানুষজনের পাশে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা গড়ে তুলতেই এই শিবিরের আয়োজন করা হয়। |
|
|
|
|
|