|
|
|
|
মাটি কুপিয়ে মিলল মুদ্রা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফালাকাটা |
একশো দিনের কাজে করতে গিয়ে মাটির নিচে মিলল রূপোর মুদ্রা। যা বাদশাহি আমলের বলে স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন। ফালাকাটা ব্লকের পশ্চিম ডালিমপুর গ্রামে শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে। আনুমানিক ৩ কেজি ওজনের প্রচুর রৌপ্য মুদ্রা মাটির নিচে একসঙ্গে সাজানো ছিল বলে গ্রামবাসীদের অনুমান। হাতেগোনা কয়েকজন ওই মুদ্রা নিয়ে অর্ধসমাপ্ত কাজ করে বাড়ি ফেরেন। বিকাল বেলা বিডিও খবর পাওয়ার পরে পুলিশ নিয়ে গ্রামে মুদ্রা উদ্ধারের কাজে নেমেছে। ফালাকাটার বিডিও সুশান্ত মণ্ডল বলেন, “গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে ওই মুদ্রা উদ্ধার করার কাজ করছি। এলাকার প্রাচীন ইতিহাস নিয়ে কাজ করতে গবেষকদের কাজে এর প্রয়োজন রয়েছে।”
|
|
ছবি: রাজকুমার মোদক |
গ্রামবাসীরা জানান, স্থানীয় বাসিন্দা সুনীল বর্মনের জমির মাটি নিয়ে পাশের একটি রাস্তা তৈরির কাজে হাত দেন ৩০ জন শ্রমিক। সকাল ১০ টা নাগাদ ৪ ফুট মাটি খুঁড়ে রাস্তায় ফেলার সময় শ্রমিকরা ওই মুদ্রাগুলি দেখতে পান। সে সময় যে যার মত ওই মুদ্রা নিয়ে বাড়ি ফিরতে থাকেন। স্থানীয় এক স্যাকরার কাছে নিয়ে গিয়ে জানতে পারেন ওই মুদ্রাগুলি আসলে রুপো দিয়ে তৈরি। স্থানীয় যুবক ইতিহাসের ছাত্র গুপিনাথ বর্মন লোকজনকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। তাঁর কথায়, “ওই মুদ্রাগুলির ঐতিহাসিক মূল্য অনেক গবেষণার কাজে লাগবে বলে বলা হলেও কোনও ভাবে কেউ তা সরকারের কাছে জমা দিতে চাইছে না।” মুদ্রার ছবি দেখার পর সেগুলি দ্বাদশ শতাব্দীর বক্তিয়ার খিলজির আমলের হতে পারে বলে অনুমান করছেন প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষক ফালাকাটার বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ বর্মন। তাঁর কথায়, “বক্তিয়ার খিলজি এই এলাকা দখল করার পর ওই ধরনের মুদ্রা চালু হয়। মুদ্রাগুলি উদ্ধার করে দ্রুত পরীক্ষা নিরীক্ষা করা প্রয়োজন।” জমির মালিক সুনীল বর্মনের কথায়, “গ্রামে রাস্তা তৈরি হবে দেখে আমি জমির মাটি দিতে রাজি হই। পরে শুনি জমিতে রূপোর মুদ্রা মিলেছে। বহু আগে এখানে জঙ্গল ও বেতের বন ছিল বলে প্রবীণরা বলেছেন। |
|
|
|
|
|