|
|
|
|
এসজেডিএ-তে সভাধিপতিদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি বামফ্রন্টের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ এবং শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এসজেডিএ) পরিচালন সমিতিতে সভাধিপতিদের অন্তর্ভুক্তির দাবি তুলল বামফ্রন্ট। শুক্রবার দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্টের তরফে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীর কাছে মহকুমা পরিষদের আধিকারিকদের মাধ্যমে একটি দাবিপত্র পাঠানো হয়েছে। বামফ্রন্টের অভিযোগ, রাজ্যে নতুন সরকার তৈরির পর থেকে পঞ্চায়েত স্তরের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের উপেক্ষা করেই সমস্ত কাজ করা হচ্ছে। জেলায় জেলায় প্রশাসনিক আধিকারিকদের মাধ্যমেই সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করার চেষ্টা করছেন। এমন কী, বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার সভাধিপতিকে রাখা হয়নি।
|
|
নিজস্ব চিত্র |
দার্জিলিং জেলা সিপিএমের সম্পাদকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য জীবেশ সরকার বলেন, ‘‘যা হচ্ছে পুরোটাই সংবিধান বিরোধী। জেলাশাসক থেকে বিডিও পর্যস্ত নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের উপেক্ষা করছেন। অগণতান্ত্রিক কাজকর্ম হচ্ছে। স্বশাসিত পর্ষদ, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষগুলিতে সভাধিপতি, মেয়রদের রাখা হচ্ছে না। এটা উন্নয়ন বিরোধী ছাড়া কিছুই নয়।” এই বিষয়ে রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “সরকারি নিয়ম মেনেই সমস্ত কাজকর্ম হচ্ছে। বিরোধী বলেই বিরোধিতা করতে হবে, এটাই হচ্ছে। বাম আমলের কাজকর্মের খতিয়ান আগে বামেদের দেওয়া দরকার, তার উপরে অন্য অভিযোগ তোলা উচিত।” উল্লেখ্য, রাজ্যে নতুন সরকার আসার পর এসজেডিএ-র যে নতুন বোর্ড তৈরি হয়েছে তাতে জলপাইগুড়ি এবং শিলিগুড়ির সভাধিপতি, মেয়র ও চেয়ারম্যানদের রাখা হয়নি। বামেরা একই অভিযোগ তুলেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের ক্ষেত্রেও। যদিও সংস্থাগুলির তরফে ইতিমধ্যে পরিষ্কার করা হয়েছে, স্থানীয়স্তরে নয়, পুরোটাই রাজ্য সরকারের সুনির্দিষ্ট দফতর থেকে বোর্ড সদস্যদের মনোনীত করা হয়। দুটি ক্ষেত্রেই তাই হয়েছে। দাবির বিষয়টি কলকাতায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিন শিলিগুড়ি মহকুমার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, মহকুমা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে মিছিল করেন বামফ্রন্টের নেতারা। তাতে পুরসভার বাম সদস্যরাও ছিলেন। সম্প্রতি সিপিএম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য এবং শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি পাসকেল মিনজও একই অভিযোগ তোলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, সভাধিপতিকে উপেক্ষা করে মহকুমা পরিষদে বৈঠক করছেন জেলাশাসক। রাজ্য সরকারের নির্দেশে প্রশাসনিক আধিকারিকেরা সর্বত্র এই কাজ করছেন। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের সঙ্গে বহু বিষয় আলোচনা করা হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের কোনও টাকা আসছে না। এতে মহকুমার উন্নয়নের কাজ কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে।
তবে অভিযোগগুলি সঠিক নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন। তাঁর কথায়, “আমরা রাজ্য সরকারের নির্দেশে কাজ করে থাকি। সব সময় তাই হয়। সভাধিপতি বা পঞ্চায়েত সদস্যদের বাদ দিয়ে কোনও কাজ করা হচ্ছে বলে তো জানি না। অভিযোগ সুনির্দিষ্টভাবে জানালে আমাদেরও সুবিধা হয়।” |
|
|
|
|
|