|
|
|
|
‘রেশনের’ চাল আটক বারিকুলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বারিকুল |
এক দোকানদারের কাছ থেকে হাইস্কুলের ছাত্রাবাসের আবাসিকদের জন্য গরুরগাড়িতে চাল পাঠানো হচ্ছিল। সেই চাল রেশনের বলে দাবি করে আটকালেন বাসিন্দারা। শুক্রবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটে রাইপুর ব্লকের শুশুনিয়া গ্রামে। পরে ঘটনার প্রতিবাদে এলাকায় মিছিল করে বিক্ষোভ দেখান গ্রাম বাসিন্দাদের একাংশ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রামের রেশন ডিলারকে পুলিশ আটক করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুশুনিয়া হাইস্কুলের ছাত্রাবাসের জন্য গ্রামের এক দোকানদারের কাছ থেকে ৬ বস্তা চাল কেনা হয়। এ দিন সকালে সাড়ে দশটার নাগাদ ওই দোকানদার সেই চাল গরুর বাড়িতে চাপিয়ে হাইস্কুলের ছাত্রাবাসে পাঠাচ্ছিলেন। ওই হাইস্কুলের কাছে চালের বস্তা-সহ গরুর গাড়িটি আটকান বাসিন্দারা। |
|
ছবি: উমাকান্ত ধর। |
গ্রামবাসী শান্তনু মণ্ডল, বিশ্বজিৎ মণ্ডলদের দাবি, “ওই দোকানদার স্থানীয় রেশন ডিলারের কাছ থেকে ওই চাল কিনেছিলেন। সেই চাল দোকানদার স্কুলকে বিক্রি করেছেন। তাই আমরা রেশনের চালের বস্তা আটক করি।” স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাজু সিংহের অভিযোগ, “ছাত্রাবাসের জন্য পাঠানো চাল রেশনের। খোলাবাজারে চাল বিক্রি করেছেন ওই রেশন ডিলার।” মোবাইলে ফোন করা হলে ওই দোকানদার বলেন, “কিছু বলব না।” রেশন ডিলার দাবি করেন, “ওই চাল আমি বিক্রি করিনি।” তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “গ্রামেরই কয়েক জন ব্যক্তিগত আক্রোশে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা অপবাদ গিয়ে এসব করেছে। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।”
এ দিন দুপুরে খবর পেয়ে খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের রাইপুর ব্লক পরিদর্শক চিত্ত পাল শুশুনিয়ায় পরিদর্শন করতে যান। রেশন ডিলারের গুদাম পরীক্ষা করে তিনি বলেন, “গুদামে সাড়ে ১৭ কুইন্ট্যাল চাল ও ২ কুইন্ট্যাল গম হিসেব বর্হিভূত ভাবে মজুত করা হয়েছে। তা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে বারিকুল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|