টুকরো খবর |
কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের উপরে হামলা বন্ধে স্বরাষ্ট্রসচিবকে আবেদন মন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যে ভাবে দলের নেতা, কর্মীদের উপরে আক্রমণ হচ্ছে সে ব্যপারে ব্যবস্থা নিতে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে আবেদন জানালেন রাজ্যের শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। বুধবার রাতে স্বরূপনগরে দলীয় এক পঞ্চায়েত সদস্যের স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় শুক্রবার স্বরূপনগরে এসেছিলেন মন্ত্রী। এ দিন বসিরহাট মেলার উদ্বেধন উপলক্ষে এসেছিলেন মন্ত্রী। সেখান থেকে তিনি স্বরূপনগরের গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্য সহিদুল গাজির বাড়িতে যান। কী ভাবে তাঁর স্ত্রীকে খুন করা হয়েছে, মন্ত্রীকে তা বিস্তারিত জানান সহিদুল। মন্ত্রীকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকজন। তাঁদের সান্ত্বনা দিয়ে সাবিনাদেবী বলেন, “মন্ত্রী হলেও আমার কাছে সবার আগে দল। লক্ষ্য করছি, যেখানে কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি সেখানেই দলের নেতা-কর্মীদের উপরে আঘাত হানা হচ্ছে। এমনটা কখনওই সহ্য করা যায় না।” স্থানীয় কংগ্রেসীদের মনোবল বাড়াতে মন্ত্রী বলেন, “এই খুনের ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের জন্য প্রয়োজনে আমরা প্রশাসনের সর্বস্তরে যাব। কেউ যাদি ভাবে কংগ্রেস অচ্ছ্ুত, তাহলে তারা ভুল করবে। লড়াইয়ে আমরা এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ব না। কংগ্রেসকে শেষ করার যে খেলা শুরু হয়েছে তা কখনওই সফল হবে না।” এ দিন মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী, বাবলি বসু, মুজিবর রহমান প্রমুখ। অমিতাভবাবু বলেন, “কংগ্রেস করার জন্যই দলীয় কর্মী, সমর্থকদের উপরে হামলা চালানো হচ্ছে। অবিলম্বে হামলা বন্ধ না হলে আমরা বাধ্য হব রাস্তায় নেমে পুলিশের বিরুদ্ধে বড় আন্দোলন করতে।”
|
দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতি কংগ্রেসের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির নতুন সভাপতি হলেন কংগ্রেসের মিশকাতুন্নেশা। শুক্রবার সভাপতি পদে নির্বাচনে তিনি তৃণমূলের পম্পা দত্তকে ২৫-৬ ভোটে পরাজিত করেন। তৃণমূলের ৯ জন দলীয় সদস্য কংগ্রেস প্রার্থীর পক্ষে ভোট দেন। তৃণমূল নেতা ইসমাইল মল্লিক বলেন, “দলের নির্দেশে সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া হয়েছিল। দলীয় প্রার্থীকে যাঁরা ভোট দেননি তাঁদের বিষয়ে দলকে জানানো হয়েছে। দল এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।” কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি আব্দুল গনি দেওয়ান বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতি গঠনের সময়ে উভয় দলের নেতৃত্ব বলে ঠিক করেছিলেন, প্রথম তিন বছর তৃণমূল এবং শেষ দু’বছর কংগ্রেসের সদস্য সভাপতি হবে। সে কথা মেনেই কংগ্রেসের সদস্যকে সভাপতি করা হয়েছে।” ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ৩৭ জন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল ১৬টি, কংগ্রেস ১৫টি, সিপিএম ৪টি, বিজেপি ১টি এবং ফরওয়ার্ড ব্লক ১টি আসন জেতে। কংগ্রেস ও তৃণমূল জোট করে পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষমতা দখল করে। সভাপতি হয়েছিলেন তৃণমূলের পম্পা দত্ত। কিন্তু বছর দু’য়েক আগে দলীয় সদস্যদের দুর্নীতি ও স্বজন পোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে পদত্যাগ করেন তিনি। নতুন সভাপতি হন মীরা মণ্ডল। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা আনেন কংগ্রেসের ১৫ জন সদস্য। অনাস্থায় ২৫-৭ ভোটে অপসারিত হন মীরাদেবী। অনাস্থা প্রস্তাবে তৃণমূলের ন’জন দলীয় সদস্য হুইপ অমান্য করে সভাপতির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন। শুক্রবার সভাপতি নির্বাচনকে করে পঞ্চায়েত সমিতির সামনে ছিল থমথমে ভাব। পুলিশি ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো। বেলা ১০টা নাগাদ বিডিও অমিয় দাস সভাপতি নির্বাচন শুরু করেন। কংগ্রেসের তরফে মিশকাতুন্নেশা এবং তৃণমূলের পক্ষ থেকে পম্পা দত্তের নাম প্রস্তাব করা হয়। ভোটে জয়ী হন মিশকাতুন্নেশা। তবে সিপিএমের চার জন, বিজেপি এবং তৃণমূলের ১ জন ভোটদানে অনুপস্থিত ছিলেন।
|
নারকেল গাছের ভাগ নিয়ে সংঘর্ষ, জখম ৩ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
নারকেল গাছের পাতা এবং ফলের ভাগ নিয়ে একই পরিবারের দুই ভাইয়ের বিবাদের জেরে সংঘর্ষে জখম হলেন দুই মহিলা-সহ তিনজন। ভাঙচুর চালানো হয় বাড়িতেও। আহতদের মধ্যে এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীও রয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা বসিরহাট থানার মেরুদণ্ডী গ্রামের উত্তরপাড়ায়। আহতদের বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকটি নারকেল গাছের ভাগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছে মাজেদ সর্দার ও তাঁর ভাই আজেদ সর্দারের মধ্যে। এ দিন সকালে একটি গাছ থেকে নারকেল পাড়া ও পাতা কাটা নিয়ে দুই ভাইয়ের স্ত্রীদের মধ্যে ঝগড়া বাধে। সেই সময় আজেদ মাঠে কাজ করছিলেন। খবর পেয়ে বাড়িতে এলে তাঁর উপরে দা, শাবল নিয়ে চড়াও হয় মাজেদ ও তাঁর ছেলে-বৌ। দু’পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গুরুতর জখম হন আজেদ এবং স্ত্রী ও মেয়ে। প্রতিবেশীরাই তাঁদের উদ্ধার করে বসিরহাট হাসপাতালে নিয়ে যান। আজাদের ছোট মেয়ে সেলিমা খাতুন পুলিশকে বলে, “জেঠা নারকেল ও পাতার ভাগ চাইলে বাবা রাজি হয়েছিল। মাঠ থেকে ফিরে বাবা যখন ভাত খাচ্ছিল সেই সময় জেঠা, জেঠিমা ও দাদারা আমাদের উপরে চড়াও হয়।” অন্যদিকে মাজেদের বক্তব্য, “অধিকাংশ ফলের গাছ অন্যায়ভাবে দখল করে রেখেছে ছোট ভাই। এ দিন দুটো নারকেল চাইতে গেলে ভাই আমাদের মারধর করে।” পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষীদের শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।
|
স্ত্রীকে পাচারের অভিযোগ, স্বামী পলাতক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ব্যারাকপুর |
স্ত্রীকে লুকিয়ে রাখা এবং বাংলাদেশে পাচার করার চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক হাতুড়ের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ওই হাতুড়ের এক আত্মীয়কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুর থানার পুলিশ বনগাঁর গাঁড়াপোতা থেকে সুপর্ণা দাস নামে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে। মহিলার স্বামী দীপক দাস পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় চার বছর আগে নদিয়া জেলার রানাঘাটের বাসিন্দা দীপকের সঙ্গে বিয়ে হয় বীজপুরের সুপর্ণার। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে পণের দাবিতে তাঁর উপরে নির্যাতন করা হচ্ছিল বলে সুপর্ণা ২০০৯ সালে বীজপুর থানায় একবার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই সময় শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলেও আসেন তিনি। গত মে মাসে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ওই তরুণীকে নিয়ে যান। তারপর থেকেই তাঁর খোঁজ মিলছিল না বলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন সুপর্ণার বাবা স্বপন দাস। বেহালা থেকে দীপকের জামাইবাবু চঞ্চল দাসকে গ্রেফতারের পরেই ওই তরুণীর খোঁজ পায় পুলিশ। তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, গ্যাঁড়াপোতার একটি ভাড়া বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল সুপর্ণাকে। দু’জন মহিলাকে তাঁর উপর নজরদারির জন্য রাখা হয়েছিল। সুপর্ণা বলেন, “আমাকে ভয় দেখাত মেরে ফেলবে নয়তো বাংলাদেশে পাচার করে দেবে বলে। আমার স্বামী ও তাঁর জামাইবাবু মাঝে মাঝে এসে দেখে যেত। ভয়ে আমি বাইরে বেরোতাম না।” পুলিশ জানিয়েছে, এই মামলাটি হাইকোর্টে উঠলে অন্য এক মহিলাকে দীপকের স্ত্রী বলে পরিচয় দিয়ে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। বিষয়টি ধরা পড়ে যাওয়ায় দীপকের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়ে যায়। তারপর থেকেই তিনি পলাতক।
|
বৌভাতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত ২ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাকদ্বীপ |
বৌভাত খেতে যাওয়ার পথে ম্যাটাডর উল্টে মৃত্যু হল দু’জনের। এঁদের মধ্যে একজন ঘটনাস্থলে ও একজন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান। আহত হয়েছেন ৩৫ জন। আহতদের প্রথমে কাকদ্বীপ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে পাঠানোর সময় রাস্তায় একজন মারা যান। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে কাকদ্বীপে কাশীনগর নতুন রাস্তার মোড়ে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতদের নাম মাধুরী প্রধান (৩৫) ও রূপম সাউ (২৬)। মাধুরীদেবীর বাড়ি নিশ্চিন্দিপুরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ নিশ্চিন্দিপুর থেকে একটি ম্যাটাডরে করে জনা চল্লিশের একটি দল কাকদ্বীপের ময়নাপাড়ায় বৌভাতের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। কাশীপুরের কাছে আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ম্যাটাজরটি রাস্তার পাশে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান মাধুরীদেবী। পরে হাসপাতালের পথে মৃত্যু হয় রূপমের।
|
দুষ্কৃতী হামলা |
একটি ক্লাবে হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার সকালে, কামারহাটির দাশুনগরে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় কিছু দুষ্কৃতী। স্থানীয় মসজিদ লাগোয়া ক্লাবটির দরজা, জানলা ও চেয়ার ভাঙচুরের পরে তারা এক ক্লাব-সদস্যের বাড়িতেও চড়াও হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয়েরা জানান, এলাকারই কিছু দুষ্কৃতী কিছু দিন ধরে তাণ্ডব চালাচ্ছে। স্থানীয় কাউন্সিলর তৃণমূলের হাসান কামাল বলেন, “পুলিশকে জানিয়েছি। এলাকার কিছু দুষ্কৃতী সন্ত্রাস চালাচ্ছে।” |
|