|
|
|
|
|
গ্রামীণ ব্যাঙ্কে দুষ্কৃতী
হানায় গ্রেফতার তিন
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
|
পরপর জেলার দু’টি ব্যাঙ্কে ডাকাতির পরে রাতভর তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের সন্দেহ, এই তিন জনের সঙ্গে সম্প্রতি নবগ্রাম ও আহিরণে ব্যাঙ্ক ডাকাতিরও যোগাযোগ রয়েছে। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মৃণাল মজুমদার বলেন, “ইতিমধ্যেই ডোমকল থেকে তিন কুখ্যাত ডাকাতকে ধরা হয়েছে। তারা এর আগে একটি সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে একই কায়দায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা চুরি করেছিল। ধৃত তিন ডাকাতের কাছ থেকে মোটরবাইক-সহ কিছু চোরাই সামগ্রী উদ্ধারও হয়েছে।” তাঁর কথায়, “সাম্প্রতিক ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনায় তাদের হাত রয়েছে সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে।”
গত দেড় বছরে মুর্শিদাবাদের ১৩টি ব্যাঙ্কে দুষ্কৃতী হানা হয়েছে। কিন্তু তার সব ক্ষেত্রে তারা ব্যাঙ্কের ভল্ট ভাঙতে পারেনি। এ পযর্ন্ত জেলায় দু’টি সমবায় ব্যাঙ্ক ও একটি গ্রামীণ ব্যাঙ্ক থেকে ১৮ লাখ টাকা লুঠ হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভল্ট ভাঙতে না-পারায় ক্ষয়ক্ষতি আরও বাড়েনি। কিন্তু সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনায় তারা ভল্ট ভেঙে ফেলতে পেরেছে। সেটাই পুলিশকে উদ্বিগ্ন করেছে। পুলিশ সূত্র জানাচ্ছে, এর মধ্যে দুষ্কৃতীদলের কাজকর্মে রীতিমতো পেশাদারি ভাব এসেছে। পুলিশ মনে করছে, দুষ্কৃতীরা সেই সঙ্গে রীতিমতো দুঃসাহসীও। নবগ্রামের ঘটনার পরে যখন সারা জেলা ধরে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে, তখনই আহিরণেও ডাকাতি করা হল। আহিরণের ব্যাঙ্কটিও লোকালয়ের মধ্যেই অবস্থিত। এই দুষ্কৃতীদের মোকাবিলা করতে তাই রীতিমতো আঁটঘাট বেঁধেই নামতে হচ্ছে পুলিশকেও। পুলিশ লক্ষ্য করেছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডাকাতি হয়েছে সমবায় বা গ্রামীণ ব্যাঙ্কেই। রঘুনাথগঞ্জ থানার বাড়ালা, সন্ন্যাসীডাঙা, রামপুরা, সাগরদিঘির মণিগ্রাম, হরহরি, সামশেরগঞ্জের মালঞ্চা, সুতির আহিরণ, নবগ্রাম, হরিহরপাড়ার রুকুনপুর, জলঙ্গির ধনিরামপুরের মতো জায়গায় পরপর দুষ্কৃতীরা হানা দিয়েছে। |
|
|
|
|
|