|
|
|
|
শুভেন্দুর জবাব দিতে কংগ্রেসের সভা ২১’শে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
শুভেন্দু অধিকারীর ‘জবাবী’ সভা করছে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার বহরমরপুরে সভা করে যুব তৃণমূল সভাপতি শুভেন্দু জেলা কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে রীতিমতো ‘চ্যালেঞ্জ’ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন, অচিরেই তৃণমূলই হয়ে উঠবে জেলার ‘অধীশ্বর’। আগামী ২১ ডিসেম্বর সেই ওয়াইএমএ মাঠেই পাল্টা সভা করে জেলা কংগ্রেস তারই জবাব দিতে চায়। শুক্রবার জেলা কংগ্রেসের এক তাবড় নেতা এমনই ‘তোপ’ দেগেছেন।
মুখে অবশ্য সে কথা বলছে না জেলা কংগ্রেস। বহরমপুরের বিধায়ক তথা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের প্রতিমন্ত্রী মনোজ চক্রবর্তী যেমন এ দিন বলছেন, “কেন্দ্রীয় সরকার নির্দ্ধারিত সহায়ক মূল্যে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার ব্যাপারে জেলা কংগ্রেস যে আন্দোলন গড়ে তুলেছে তারই অঙ্গ ওই প্রস্তাবিত সভা। ওই সভায় প্রধান বক্তা থাকবেন অধীর চৌধুরী।” কিন্তু, রেজিনগরের বিধায়ক হুমায়ন কবীর বলেন, “সহায়ক মূল্যে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার সঙ্গে বিমাতৃ সুলভ আচরণ করছে রাজ্য সরকার। অথচ শুভেন্দু এসে তার অন্য ব্যাখ্যা করে গেলেন। আগামী ২১ ডিসেম্বরে ওই মাঠে লক্ষ লোকের জমায়েত করে ওঁর মিথ্যা ভাষণের জবাব দেওয়া হবে।” সভায় অধীরবাবু ছাড়াও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। চব্বিশ ঘন্টা আগে, শুভেন্দু স্পষ্টই কংগ্রেসের দিকে তির ছুঁড়েছিলেন। তাঁর কটাক্ষ ছিল, জেলায় ‘মাওবাদীদের নাম করে’ তাঁর সভা বানচালের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে। সেই শ্লেষের জবাবে এ দিন হুমায়ন বলেন, “চাল কেনার কথা বলছে তৃণমূল। অথচ সহায়ক মূল্যে এ জেলায় যে ধান কেনা হচ্ছে তার অধিকাংশ কৃষকের বদলে দালাল ও ফড়েদের কাছ থেকে। তা ছাড়া ওঁর সভা বানচালের চেষ্টা হচ্ছে বলছেন, তা মাস ছয়েকের মধ্যে অধীরবাবুর বাড়িতে দু’ বার হামলা হল, কারা করল?” এ ব্যাপারে এ দিন অবশ্য জেলার কংগ্রেস বিধায়কেরা অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) নিরঞ্জন কুমারের কাছে এ স্মারকলিপি দিয়েছেন। |
|
|
|
|
|