মুখোমুখি ১...
নিজের অস্তিত্বটাও একই রকম দরকারি
কাল ৯টায় জিম।
দু’ঘণ্টা সেখানে কাটিয়ে বাড়ি ফিরে নিজের কিছু কাজ।
ঘণ্টাখানেকের মধ্যে রেডি হয়ে স্বামীর প্রোডাকশান সংস্থা ‘আইডিয়াজ’-এর অফিসে। মিটিং। দৈনন্দিন তত্ত্বাবধান। ফাঁকে ফাঁকে ছবির জন্য স্ক্রিপ্ট শোনা। কখনও শু্যটিং। অনুষ্ঠান থাকলে স্টাইলিংয়ের লোকজনের সঙ্গে কস্টিউম নিয়ে আলোচনা। বাইরে মিটিং থাকলে এরই মধ্যে দৌড়। বিকেল চারটের মধ্যে বাড়ি। ছেলের সঙ্গে সময় কাটিয়ে নাটকের রিহার্সালে। বাড়ি ফিরতে রাত ১১টা। আবার দরকারি ফোনের পালা। ডিনার। এবং সিনেমা দেখতে দেখতে ঘুম।

এত সব না করলেও অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের অস্তিত্ব জানান দেওয়ায় কোনও ঘাটতি ছিল তা নয়। ইন্ডাস্ট্রির ফার্স্ট কাপল বলতে প্রসেনজিৎ আর অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ই। নক্ষত্রোচিত রোশনাই আর কেতার জীবন নিয়ে খুশি তো থাকতেই পারতেন বাংলা ছবির অভিভাবকের সহধর্মিণী। তা হলে এত ব্যস্ততার তাগিদ কোথা থেকে?

পত্রিকা: ‘ফার্স্ট কাপল’ শিরোপাটায় সন্তুষ্ট নন মনে হচ্ছে?
অর্পিতা: ‘ফার্স্ট কাপল’ ব্যাপারটাই মিডিয়া হাইপ। আমার কাছে আমার নিজের অস্তিত্বটাও একই রকম দরকারি।

পত্রিকা: তার মানে প্রসেনজিতের স্ত্রী হিসেবে একটা ‘ফার্স্ট লেডি’ গোছের সম্মান যে আপনি পাচ্ছেন সেটা গর্বের নয়?
অর্পিতা: গর্বিত আমি দাদার বৌ হিসেবে যতটা, তার চেয়ে অনেক বেশি, এমন একজন গুণী মানুষের সান্নিধ্যে থাকতে পারছি বলে। শিল্পী হিসেবে দাদার সারা জীবনের কাজ আর আজকের উত্তরণকে শ্রদ্ধা করি। তবে অনেক দিন বিয়ে টিকে গেল বলে যদি ‘ফার্স্ট কাপল’ তকমা পেয়ে থাকি মিডিয়াকে ধন্যবাদ। ফার্স্ট লেডি কি না জানি না।

পত্রিকা: বরকে দাদা বলেন কেন? সুপ্রিয়াদেবী উত্তমকুমার সম্পর্কে বলতে গেলেই ‘তোমাদের দাদা’ বলেন। আর এই আপনি একজন...
অর্পিতা: (হাসি) আসলে বিয়ের আগে থেকেই ‘দাদা’ ডাকা অভ্যেস। উনি প্রায় সহজাত ভাবে স্টার। ওঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধাটা তাই এতই বেশি যে অন্য কোনও ভাবে সম্বোধন করতে ইচ্ছে করেনি। দু’চার বার চেষ্টা করিনি তা নয়। কিন্তু হয়ে উঠল না (হাসি)।

পত্রিকা: তা, দাদার বৌ হিসেবে সুখটা বা সম্মানটা যথেষ্ট বলে মনে হচ্ছে না?
অর্পিতা: না মানে এটাই শেষ কথা এমন মনে হচ্ছে না। সুখী বিবাহিত জীবন বা ‘আইডিয়াজ’ এর কাজ নিয়ে থাকতে গিয়ে মনে হয়েছে নিজের প্রতি দায়িত্ব পুরোটা পালন করা হচ্ছে না। সেই জন্যই নিজের অন্য কাজগুলো করতে চাইছি।
‘আইডিয়াজ’-এর সিইও
সিরিয়াল-টেলিফিল্ম-ইভেন্ট। সব কাজেই ‘আইডিয়াজ’-এর শুরু থেকে জড়িয়ে অর্পিতা। কর্ণধার হিসেবে। তখন প্রসেনজিৎ পুরোপুরি সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত। তাই অর্পিতাকে সেই সময় ‘আইডিয়াজ’-এর অনেক বেশি প্রয়োজন ছিল। আর আজ প্রসেনজিৎ ‘আইডিয়াজ’-এ অনেক বেশি সময় দিলেও সংস্থার ভাল-মন্দের পেছনে অর্পিতার ভূমিকা বেড়েছে বই কমেনি। “এখন কোনও দরকারি সিদ্ধান্ত নিতে হলে আমি আর দাদা আলোচনার মাধ্যমেই সেটা করে থাকি। বিশেষ করে কোনও সমস্যার সময়ে তো বটেই,” বলছেন অর্পিতা। যেমন, ‘আইডিয়াজ’এর ‘গানের ওপারে’ ধারাবাহিক নিয়ে প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণ ঘোষের মতানৈক্যের সময় অর্পিতাই নাকি হাল ধরেছিলেন সমস্যা মেটাতে। সত্যি? অর্পিতার উত্তর, “সত্যি এটাই যে আমি দাদাকে বলেছিলাম, ‘ঋতুদার সঙ্গে তোমার পরিচয় অনেক দিনের। এই সমস্যাটা একান্ত তুমিই মোকাবিলা করতে পারবে। আর কেউ নয়। দাদা একাই যে এই ব্যাপারটা দেখবেন সেই সিদ্ধান্তটা আমার ছিল। তবে হ্যাঁ, ‘গানের ওপারে’র টাইম স্লট বদল নিয়ে চ্যানেলের সঙ্গে যে সমস্যা হয়েছিল সেটা আমিই মিটিয়েছিলাম।”
শোনা যায় এখনও প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণ ঘোষ, বা প্রসেনজিৎ-অর্পিতার সম্পর্ক মসৃণ নয়। এটা একদম মিথ্যে রটনা দাবি করে অর্পিতা বলছেন, “একেবারেই না। নর্মাল সম্পর্ক। আমার ধারণা দাদার সঙ্গেও ঋতুদার সম্পর্ক স্বাভাবিকই। আর আমি তো ঋতুদার বাড়িতেও যাই, আড্ডা মারি। ফোনে, এস এম এস-এ কথাও হয়।”

মুম্বইয়ের বিজ্ঞাপন
‘আইডিয়াজ’এর সি ই ও থেকে এ যেন অনেকটাই সরে আসা। মডেলিং করছেন কেরিয়ার শুরু থেকেই। কিন্তু এ বছর একেবারে ন্যাশনাল ব্র্যান্ড। মুম্বই পাড়ি। পেয়ে গেলেন ‘পরিণীতা’ ছবির পরিচালক প্রদীপ সরকারের সঙ্গে কাজের সুযোগ। নুডলস্ নিয়ে মা-ছেলের বিজ্ঞাপনে অর্পিতার মুখ এখন ঘরে ঘরে। “রীতিমতো পরীক্ষা দিয়ে চান্স পেয়েছি। অডিশন দিতে এসেছিলেন অনেকে। একেবারে লাইন পড়ে গিয়েছিল,” মৃদু হাসিতে বলছিলেন অর্পিতা। তা এত গুরুত্ব দিয়ে আবার বিজ্ঞাপন কেন? তাঁর ব্যাখ্যা: “প্রদীপদা অ্যাডগুরু। তাঁর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা হল। দ্বিতীয় কথা বিজ্ঞাপনে ‘লুক’ নিয়ে প্রচুর পরীক্ষানিরীক্ষা হয়। যেটা সিনেমায় করা যায় না। তাই অনেক কিছু শিখেছি কাজটা করতে গিয়ে।”
অডিশন দিয়ে সুযোগ পাওয়াটা স্বাভাবিক হতে পারে, তবে নতুনদের জন্য। কিন্তু টালিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রির আজকের ফাস্ট লেডি অডিশন লাইন দিয়ে কাজ পেতে যাবেন কেন? সহজ সুরে অর্পিতা বললেন, “নয় কেন? বিজ্ঞাপনের মডেল বাছাইয়ের ব্যাপারে এটাই তো যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। বিজ্ঞাপন জগতেরই একজন বলেছিলেন এজেন্সিগুলো পারলে অমিতাভ বচ্চনেরও অডিশন নেয়।”

নিছক বন্ধুত্ব
টালিগঞ্জের ফার্স্ট লেডি। তাই বলে অন্য পুরুষদের চোখে তাঁর আকর্ষণ বিন্দুমাত্র কম নয়। শোনা যায় সেই সব পুরুষের কেউ কেউ রয়েছেন ক্রিকেটে, অভিনয়, সঙ্গীত জগতে। কেউ বা ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট। অর্পিতা বললেন, “হ্যাঁ আছেই তো। একেবারে সাধারণ, যাঁদের আপনারা মানে মিডিয়া চেনে না এমন বন্ধুও আছে। বান্ধবীও আছে। নানা ধরনের মানুষের সঙ্গে মিশতে ভাল লাগে। দাদারও তো এ রকম একেবারে নিজস্ব বন্ধুবান্ধব আছে। এতে আমাদের মধ্যে ক্ল্যাশ হয় না।” কী করে তাঁরা অর্পিতার কাছের বন্ধু হয়ে ওঠেন? প্রসেনজিৎ-জায়ার সমীহ কাটিয়ে? “যেমন ধরুন সায়ন মুনসি” বললেন অর্পিতা, “একটি তারার খোঁজে’তে আমার নায়ক। সায়ন আমার ওই ফার্স্ট লেডি না কী যেন বলছেন, ওই তকমাটা নিয়ে কোনও রকম মাথা না ঘামিয়ে খুব সহজ ভাবে মিশতে লাগল। বন্ধুত্ব হয়ে গেল।” অর্পিতা এখন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থারও সদস্য। তাঁর কথায়, সেই সংস্থার অধিকর্তা সন্দীপ ভুতোরিয়া প্রথমে তাঁরই বন্ধু ছিলেন। পরে সন্দীপ যোগ দেন ‘আইডিয়াজ’ এর অ্যাডভাইজারি কমিটিতেও। বন্ধুত্ব হয় প্রসেনজিতের সঙ্গেও।
পুরুষদের তো তাঁকে ভাল লাগে। তাঁরা বন্ধু হয়। কিন্তু প্রেম? সে সব হয় না? জোরে হেসে উঠলেন অর্পিতা, “প্রেমে পড়াটাই তো সুস্থতার লক্ষণ। প্রাকৃতিক নিয়মেই আসে। প্রেমকে আটকাতে যাব কেন?”
কিন্তু কারা সেই প্রেমিক? “এই প্রশ্নের কী উত্তর দেব বলুন তো। এর কোনও উত্তর হয়?’’ হাসিতে উছলে ওঠেন অর্পিতা।

ভালবেসে গান
নাচ অর্পিতার বরাবরের সঙ্গী। এখন তিনি নাচের ফর্ম ভাঙার খেলায়। কেন? “শিল্পের সব শাখাতেই যখন ফর্ম নিয়ে এত কাজ হচ্ছে আমিও তাতে সামিল হতে চাই।” ইচ্ছে অর্পিতার। ফেব্রুয়ারি মাসে সেই রকমই একটা ব্যতিক্রমী প্রযোজনায় দেখা যাবে তাঁকে। যেখানে সেতার শিল্পী পূর্বায়ন চট্টোপাধ্যায় নিজে মঞ্চে থাকবেন মূল ভাবনার একটি চরিত্র হয়ে। নাচ তো হল, কিন্তু অর্পিতা যে ছোটবেলা
থেকেই আকাশবাণীর নিয়মিত গায়িকা সে কথা জানেন ক’জন? চমক লাগতে পারে খুব সম্প্রতি কাগজে জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গীত পরিচালনায় অর্পিতার গান রেকর্ডিং করার ছবি দেখে। মনে হতেই পারে, ‘বাপি বাড়ি যা’ বলে যে ছবির জন্য অর্পিতা গান গেয়েছেন সেটি ‘আইডিয়াজ’এর প্রযোজনা, তাই সঙ্গীত পরিচালক জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রোডাকশন হাউসকে খুশি করতেই মালকিনকে দিয়ে গান গাওয়ালেন। অর্পিতা নিজেও সেটাই ভেবেছিলেন। “কিন্তু পরে জানলাম অন্য গল্প।” বলছেন অর্পিতা, “শিপ্রা বসু এবং অরুণ ভাদুড়ির কাছে দীর্ঘদিন গান শিখেছি। জিৎ বলল, কোনও একটা অনুষ্ঠানের জন্য শিপ্রাদির বাড়িতে ও গিটার বাজাতে যেত। আমার গলার টেক্সচার তখন থেকেই ওর জানা।”
ভাল চরিত্রের খোঁজ
ভাল চিত্রনাট্য। মননশীল পরিচালক। এই দুয়েরই খোঁজে অর্পিতা। হতে পারে নতুন ধারার শহুরে ছবি। হতে পারে মূলধারার জমজমাট বাণিজ্যিক ছবি। ‘একটি তারার খোঁজে’ আর ‘ল্যাবরেটারি’তে অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু বক্স অফিস সাফল্য পায়নি। কোনও হতাশা? অর্পিতার উত্তর, “এক ধরনের প্রাথমিক হতাশা তো আসবেই। যদিও ‘ল্যাবরেটারি’-তে আমার অভিনয়ের প্রশংসা হয়েছিল।” এখন অপেক্ষা করছেন ‘ঘেঁটে ঘ’র মুক্তির জন্য। নতুন পরিচালক নীল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করতে রাজি হলেন? “নীলের অনেক টেলিফিল্ম ভাল লেগেছে। তা ছাড়া উনি থিয়েটারের মানুষ। মনে হয়েছে ওঁর সঙ্গে কাজ করলে আমার ভেতরকার সম্ভাবনার দিকটা হয়তো বেরিয়ে আসবে,’’ বলছেন অর্পিতা।

মহড়ার চার ঘণ্টা
সিনেমার শৃঙ্গ জয়ের পর প্রসেনজিৎ নামছেন থিয়েটারের শৃঙ্গ জয়ে। কৌশিক সেনের নাটকে। কিন্তু তার আগেই অর্পিতা পৌঁছে গেলেন কৌশিকের মহলা ঘরে। কী করে? অর্পিতার উত্তর, “ভাল কাজ করতে চাইছি বলে। কৌশিককে আমিই ফোন করে বলেছিলাম, ‘তোমার নাটকে অভিনয় করতে চাই। নেবে?’ কৌশিক ফোনের ওদিকে দু’ সেকেন্ড মতো চুপ করে থেকে বলেছিল, ‘তোমার অভিনয় আমি দেখেছি। ভাল অভিনয় কর। কিন্তু তোমাকে নিয়ে কাজ করতে গেলে পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোতে হবে।’ এর পর বেশ কিছু দিন চুপচাপ। তারপর ‘নটীর পূজা’ করার ডাক।” কেমন লাগছে কৌশিকের সঙ্গে কাজ করে? “অভিনেতা কৌশিক আর রিহার্সাল রুমের কৌশিকের কোনও মিল নেই। ৪০ জন শিল্পীকে দিয়ে কাজ করাতে গিয়ে কী ওর দাপট! ধমকধামক। যদিও আমার সঙ্গে এখনও সে রকম করেনি। তবু করবে না এটা বলতে পারছি না।” হাসিতে উত্তর তাঁর। একটা সময় পর্যন্ত কিছুতেই যেন রিহার্সাল রুমের পরিবেশের সঙ্গে ছন্দ মিলছিল না অর্পিতার। একদিন রিহার্সাল থেকে ফিরে প্রসেনজিৎকে বলেই ফেললেন যে তাঁর দ্বারা বোধ হয় নাটকটা হবে না। শুনে প্রসেনজিৎ বলেছিলেন, “ওই রকম চেঁচামেচি রিহার্সাল রুমে নতুন কিছু নয়। মানাতে না পার, এক্ষুনি ফোন করে জানিয়ে দাও। হাজার একজন অভিনেত্রী কৌশিকের দলে কাজ করার জন্য অপেক্ষা করছে।”

এবং গৃহিণী...
অর্পিতা বলছেন, ছেলে তৃষাণজিতের সঙ্গে খুব বন্ধুত্ব আমার। পড়াশোনা নিয়মিত দেখা সম্ভব হয় না। তবে ওর সঙ্গে সময় কাটানো, গল্প করা, ভাল লাগা-মন্দ লাগার কথা শোনা, বায়নাক্কা সামলানো, বেড়াতে নিয়ে যাওয়া সবেতেই থাকি। আবদার যত আমার কাছেই। কারণ তৃষাণজিতের বাবা খুব স্ট্রিক্ট। ছেলের বেচাল সহ্য করেন না।
আর স্ত্রীয়ের ভূমিকায়? ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ হোক বা ‘মনের মানুষ’, ‘অটোগ্রাফ’, ‘২২শে শ্রাবণ’, দাদা যখন যে কাজ করেছেন সেটাই একটা নতুন ধারা তৈরি করেছে বাংলা সিনেমায়। এখন একের পর এক চ্যালেঞ্জিং কাজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন, নিজেকে ভেঙেচুরে গড়ছেন। এ সবের জন্য শিল্পীর মনে শান্তি খুব জরুরি। হয়তো সেটা দিতে পেরেছি। আমি কখনও আশা করি না দাদাকে তাঁর জন্মদিনে পাঁচ পদ রেঁধে খাওয়াব। জানি, জন্মদিনটাও দাদা স্টুডিওতে কাটাতেই ভালবাসবেন। একই ভাবে ছেলের জন্মদিন বা বিবাহবার্ষিকীর দিনে যদি আউটডোর থাকে দাদাকে কখনও বলি না প্লিজ চলে এস। শিল্পী প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাবা বা স্বামী প্রসেনজিতের টানাপোড়েন তৈরি আমার স্বভাবের বাইরে।
এত রকম কাজের মধ্যে নিজেকে খুঁজে বের করার প্রক্রিয়াটা তাই চলতেই থাকবে।
প্রসেনজিতের ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে আসা যে সত্যি বড় কঠিন কাজ!


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.