আইএপি-র দ্বিতীয় দফার অর্থে কাজ শুরুর নির্দেশ
মাওবাদী প্রভাবিত এলাকার জন্য চালু ‘ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকশন প্ল্যানে’র (আইএপি) দ্বিতীয় দফার বরাদ্দ অর্থে অবিলম্বে কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। সম্প্রতি জঙ্গলমহল এলাকার বিডিও, ডিএফও-সহ সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছে এই নির্দেশ পৌঁছেছে। আগামী দু’মাসের মধ্যে প্রস্তাবিত প্রকল্পের কাজ শেষ করার পাশাপাশি, প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে একটি রিপোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর কথাও বলা হয়েছে ওই নির্দেশে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, “সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্যই এই নির্দেশ। এর ফলে সংশ্লিষ্ট দফতরের অফিসারেরা আরও তৎপর হবেন।” জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, আইএপি-র দ্বিতীয় দফায় ১০ কোটি ৮৫ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। বরাদ্দকৃত অর্থে সব মিলিয়ে প্রায় ২৭০টি প্রকল্পের কাজ হওয়ার কথা।
দেশের ‘পিছিয়ে পড়া’, মাওবাদী প্রভাবিত জেলাগুলির সার্বিক উন্নয়নের জন্যই ‘ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকশন প্ল্যান’ প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্র মনে করছে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রত্যাশিত উন্নয়ন হলে মাওবাদীরাও ধীরে ধীরে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। শান্তি-উন্নয়নের স্বার্থে সাধারণ মানুষ সরকারের পাশেই থাকবে। গত আর্থিক বছরে এই প্রকল্পে পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল প্রায় ২৫ কোটি টাকা। প্রথম দফার অর্থে ৬৪৩টি প্রকল্প হওয়ার কথা। তবে নানা কারণে এখনও কিছু প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। বকেয়া কাজ দ্রুত শেষ করার উপরেও বাড়তি জোর দিচ্ছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, “শুরুর দিকে বেশ কিছু সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল। তবে, পরবর্তীকালে সেই সব সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে, চোখে দেখা যায় এমন কাজই এই প্রকল্পে করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কিছু গাইডলাইনও দেওয়া রয়েছে। সেই গাইডলাইন মেনেই কাজ এগোচ্ছে।”
গত ১৫ অক্টোবর জঙ্গলমহলে দ্বিতীয় দফার সফরে এসে একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে মাওবাদীদের উদ্দেশে কড়া বার্তাও দেন। কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্য সরকারও মাওবাদী দমনে জঙ্গলমহল এলাকায় উন্নয়নের রথ চালাতে চাইছে। আইএপি প্রকল্পে রাস্তা, মার্কেট-শেড, কমিউনিটি হল, মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের ঘর, সেচ খাল, পাম্প হাউস তৈরি হচ্ছে। প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই জেলায় এসেছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী জয়রাম রমেশ, রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) জয়া দাশগুপ্ত প্রমুখ। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “আইএপি প্রকল্পের কাজের ক্ষেত্রে গ্রামবাসীরা ইদানীং প্রভূত সহযোগিতা করছেন। তাই কাজ করতে আগের চেয়ে সুবিধা হচ্ছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.