|
|
|
|
টাকা মেলেনি, মিড-ডে চালাতে নাভিশ্বাস পূর্বে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
মাস চারেক ধরে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিশু শিক্ষা কেন্দ্রগুলি মিড-ডে মিলের টাকা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠল পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। ফলে স্কুলে মিড-ডে মিল চালু রাখতে গিয়ে টান পড়ছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পকেটে। কোথাও বা মুদি দোকানে ধার এতটাই বেশি হয়ে গিয়েছে যে ঘুরপথে স্কুলে
যাচ্ছেন শিক্ষকেরা।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৩২৫৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৪০০টি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের সব ক’টিতেই মিড-ডে মিল প্রকল্প চালু রয়েছে। মিড-ডে মিল প্রকল্পে ছাত্রছাত্রী পিছু চাল ছাড়াও তিন টাকা সতেরো পয়সা বরাদ্দ করা হয় সব্জি, তেল-মশলা ও জ্বালানি খরচ বাবদ। অভিযোগ, গত জুলাই মাসের পর থেকে সেই টাকা আর পাওয়া যায়নি। ফলে স্কুলে মিড-ডে মিল চালু রাখতে নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অরূপকুমার ভৌমিকের অভিযোগ, “মিড-ডে চালাতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। সমিতির পক্ষ থেকে জেলার মিড-ডে মিলের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক, জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি এমনকী জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েও সুরাহা হয়নি। এই ভাবে চলতে থাকলে মিড-ডে মিল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।”
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি গোপাল সাহু বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল জানিয়ে বলেন, ‘‘এতে বিদ্যালয় সংসদের কোনও ভূমিকা নেই। জেলা মিড-ডে মিল আধিকারিক বিষয়টি দেখাশোনা করেন। সমস্যার কথা জেনে আমি নিজে জেলা প্রশাসনকে সমাধানের অনুরোধ জানিয়েছি।” জেলায় মিড-ডে মিল প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক দেবাঞ্জন রায় অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “প্রথম দিকে কিছুটা অসুবিধা হলেও বিভিন্ন ব্লকের রিজার্ভ ফান্ড থেকে বিদ্যালয়গুলিকে টাকা দেওয়া হয়েছে। কিছু স্কুল পেয়ে গিয়েছে। বাকিরাও কয়েক দিনের মধ্যে
পেয়ে যাবে।”
প্রকল্প আধিকারিক যা-ই বলুন না কেন বাস্তবে কিন্তু দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ স্কুলই টাকা পায়নি। মহিষাদল পশ্চিম চক্রের শীতলপুর মক্তব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক তপন বারুইয়ের কথায়, “জুলাই মাসের পর থেকে গত চার মাস টাকা পাইনি। এই দিনগুলোতে মিড-ডে মিল চালাতে গিয়ে প্রচুর দেনা হয়ে পড়েছে। পাওনাদারের ভয়ে এখন ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে।” মিড-ডে মিল চালাতে গিয়ে যে নাভিশ্বাস উঠেছে তা জানিয়েছেন পটাশপুর দক্ষিণ চক্রের ব্রজবল্লভপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক দিলীপ মাইতি, ময়না পশ্চিম চক্রের সুদামপুর ২নং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক গঙ্গানারায়ণ জানা, কাঁথি পূর্ব চক্রের মুকুন্দপুর ভূপেন্দ্র প্রাথমিক স্কুলের প্রধানশিক্ষক সুভাষচন্দ্র বেরাও।
শেষ প্রতিযোগিতা। শেষ হল খড়্গপুর মহকুমার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। বুধবার খড়্গপুরের সেরসা স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছিল দু’দিনের এই প্রতিযোগিতা। যোগ দিয়েছিল মহকুমার ১০টি ব্লকের ২৪টি বিদ্যালয় চক্রের অন্তত ৮৬৪ জন ছাত্রছাত্রী। ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। পরে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা হয় খড়্গপুরের সাউথ সাইড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। |
|
|
|
|
|