|
|
|
|
|
|
উত্তর কলকাতা: পাইকপাড়া, ব্যারাকপুর |
প্রাণ হাতে |
শিকেয় সচেতনতা |
প্রসেনজিৎ পাঠক |
ওভারব্রিজ রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ যাত্রীই তা ব্যবহার করেন না। প্রাণ হাতে করে রেললাইন দিয়েই পারাপার করেন কয়েক হাজার মানুষ। ফলে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এমনকী, প্রাণহানি হয়েছে। তার পরেও পূর্ব রেলের বেলঘরিয়া স্টেশনের ছবিটি বিশেষ বদলায়নি। অভিযোগ, যাত্রী সচেতনতার জন্য মাঝেমধ্যে ঘোষণা করা হলেও অধিকাংশ যাত্রীই এ বিষয়ে কার্যত উদাসীন।
|
|
স্টেশনটি কামারহাটি পুরসভা এলাকায়। স্টেশনের পূর্ব দিকে কামারহাটি পুরসভার ৩৪ এবং ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধুসূদন দত্ত রোড ও রাইফেল রেঞ্জ রোড। পশ্চিমে ২০ এবং ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ফিডার রোড। রেললাইনের দু’দিকেই প্রচুর জনবসতি, স্কুল এবং দোকান রয়েছে। দৈনিক কয়েক হাজার মানুষ স্টেশন পারাপার করেন। স্টেশনের চারটি প্ল্যাটফর্মের দক্ষিণ প্রান্তে রয়েছে ওভারব্রিজটি। এর পরেই প্রায় ৭০ ফুট চওড়া জমিতে চারটি রেললাইন। অভিযোগ, এই অংশ দিয়েই অধিকাংশ যাত্রী পারাপার করেন।
এলাকার মানুষ এ ব্যাপারে সচেতনতার অভাবকেই দায়ী করলেন। স্থানীয় বাসিন্দা ঝন্টু পুরকায়স্থ বলেন, “ওভারব্রিজ খালিই পড়ে থাকে। পরিশ্রম এড়াতে বেশির ভাগ মানুষ রেললাইন পেরিয়ে যাতায়াত করেন। মোবাইল কানেও অনেকে পারাপার করেন।”
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওভারব্রিজটি ভাল অবস্থায় আছে। তা ছাড়া যাত্রীদের সচেতন করতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মাঝেমধ্যে মাইক লাগিয়ে প্রচারও করেন। তাতেও বিশেষ কাজ হয়নি। মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনাও ঘটেছে। নিত্যযাত্রী কৌশিক চন্দের কথায়: “লাইন দিয়ে পার হলে সময় ও পরিশ্রম দুই-ই বাঁচে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে জানি। তবে সবাই যাচ্ছে বলে আমিও যাচ্ছি।” |
|
কামারহাটি পুরসভার পুরপ্রধান সিপিএমের তমাল দে-র কথায়: “অধিকাংশ মানুষই সচেতন নন। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সম্ভবত সাবওয়ে তৈরির দাবি করেছিলেন। আমরা প্রয়োজনে তা রেলকে জানাতে পারি। তা ছাড়া সম্ভব হলে পুরসভার পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য ঘোষণার ব্যবস্থাও করা যেতে পারে।” পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সমীর গোস্বামী বলেন, “এত দুর্ঘটনা ঘটা সত্ত্বেও মানুষ সচেতন হচ্ছেন না। ওভারব্রিজ না থাকলে আন্দোলন হয়। ওভারব্রিজ থাকলেও অনেকেই ব্যবহার করেন না। সাবওয়ে তৈরির কোনও দাবির কথা জানা নেই।”
|
ছবি তুলেছেন সুদীপ ঘোষ। |
|
|
|
|
|