দক্ষিণ কলকাতা: গড়িয়া, সোনারপুর
কালভার্ট
সমাধানের আশায়
মা জলের সমস্যা সমাধানে বড় আকারের কালভার্ট তৈরি হচ্ছে এনএসসি বসু রোড এবং সোনারপুর স্টেশন রোডের সংযোগস্থল কামালগাজি মোড়ে। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার সহায়তায় এই নতুন কালভার্ট তৈরির কাজ শুরু করেছে পূর্ত দফতর। জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে এই কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, তৈরি হচ্ছে সাড়ে ছ’ফুট গভীর এবং পাঁচ ফুট চওড়া নর্দমা।
এটি ঢাকা থাকবে দশ ইঞ্চি পুরু কংক্রিটের স্ল্যাব দিয়ে। এই কাজে পূর্ত দফতরের ব্যয় হচ্ছে ১৬ লক্ষ টাকা।
সোনারপুরের গ্রিন পার্ক, কারবালা, কামালগাজি, কুসুম্বা, নরেন্দ্রপুর এবং সোনারপুর স্টেশন সংলগ্ন কিছু এলাকায় বর্ষা হলেই জমা জলের সমস্যায় ভোগেন বাসিন্দারা। পূর্ত দফতরের একাধিক আধিকারিক মনে করেন, কালভার্ট তৈরির এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে রাজপুুর-সোনারপুর পুর এলাকার বড় একটি অংশে জমা জলের সমস্যার একটা সুরাহা হবে। তবে, প্রতি বর্ষায় শিমুলতলায় একটি এলাকার রাস্তা জমা জলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই এলাকাটি নিয়ে এখনও রীতিমতো অনিশ্চয়তায় রয়েছেন পূর্ত দফতরের কর্তারা।
পূর্ত দফতরের আলিপুর ডিভিশনের এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সৌমিত্র সেন বলেন, “পুরসভার প্রতিনিধিদের সঙ্গে পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা যৌথ সমীক্ষা চালিয়েই কালভার্ট তৈরির জন্য কামালগাজি মোড়টিকে বেছে নিয়েছেন। কারণ, এখান থেকে কালভার্টটি হবে সোজা, কোনও বাঁক নিতে হবে না।”
রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা সূত্রে খবর, এই নতুন নর্দমার সঙ্গে একটি ভূগর্ভস্থ নর্দমাও তৈরি করবে পুরসভা। কামালগাজি মোড় থেকে এই নর্দমা গিয়ে মিশবে আদিগঙ্গায়। এই সংক্রান্ত যাবতীয় পরিকল্পনাও পুরসভা সেরে ফেলেছে বলে জানা গিয়েছে।
পুরসভার চেয়ারম্যান ইন্দুভূষণ ভট্টাচার্য বলেন, “খুব দ্রুত এই কাজ শুরু হচ্ছে। কাজ শেষ হলে এলাকার বাসিন্দারাই বুঝতে পারবেন, তাঁদের কত বছরের যন্ত্রণার অবসান হল।” স্থানীয় বাসিন্দা রানা দত্তের কথায়: ‘‘কামালগাজি মোড়ে এই কালভার্টের প্রয়োজন ছিল অনেক আগেই। দেরিতে হলেও সেই কাজ এ বার বাস্তবায়িত হতে চলেছে। আমাদের দীর্ঘ দিনের একটা সমস্যা মিটবে।”
তবে এনএসসি বসু রোডের মতো একটি ব্যস্ত রাস্তায় এই কাজ শুরু করা নিয়ে পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা যথেষ্ট সংশয়ে ছিলেন। কারণ, কলকাতা থেকে সোনারপুর ও বারুইপুর যাতায়াতের পথে কামালগাজি মোড়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সারা দিনে এই রাস্তায় প্রচুর যানবাহন চলাচল করে। পূর্ত দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, যান নিয়ন্ত্রণ করে সুষ্ঠু ভাবে এই কাজ করতে তাঁদের সঙ্গে পূর্ণ সহায়তা করছে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা।
এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে পূর্ত দফতর এবং পুরসভার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পুরসভার বিরোধী দলের কাউন্সিলর এবং প্রাক্তন উপপুরপ্রধান সিপিআইয়ের তড়িৎ চক্রবর্তী। পাশাপাশি তিনি অবশ্য বলেন, “সোনারপুরের ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী নিকাশির মূল পথ পূর্বমুখী। সে ক্ষেত্রে পশ্চিম দিকে আদিগঙ্গার সঙ্গে কিছু এলাকার নিকাশি পথের সংযোগ জনগণের কতটা কাজে লাগবে তা নিয়ে একটা সংশয় থেকেই যাচ্ছে।”

ছবি তুলেছেন পিন্টু মণ্ডল




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.