|
|
|
|
রাস্তা সংস্কার হয়নি, বাড়ছে দুর্ভোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দাঁতন |
সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়েছে ধনেশ্বরপুর থেকে মোহনপুর পর্যন্ত দীর্ঘ ২৮ কিলোমিটার রাস্তা। এগরা-খড়্গপুর ও এগরা-সোলপাট্টা সড়ক সংযোজক এই রাস্তাটি দাঁতন-২ ও মোহনপুর ব্লক হয়ে গিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা-সদর বা খড়্গপুর মহকুমা সদর, এমনকী দাঁতন বা বেলদা রেলস্টেশনে যেতে গেলেও খানাখন্দে ভরা এই রাস্তাই ব্যবহার করতে হয় দুই ব্লকের বাসিন্দাদের। বড় বড় গর্তের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে প্রায়ই। অথচ, দু’টি ব্লকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও চারটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে এই রাস্তার ধারেই। সঙ্কটাপন্ন রোগী ও প্রসূতিদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে যথেষ্ট বিড়ম্বনায় পড়তে হয় পরিজনেদের। বেহাল রাস্তা দিয়ে কৃষিজ পণ্য পরিবহণেও সমস্যা হয়। হাওড়া, মেদিনীপুর, পাঁশকুড়া-সহ দুই জেলার নানা রুটের ৪০টি বাস-ট্রেকার চলত আগে। রাস্তা খারাপের জন্য বেশ কিছু বাস-ট্রেকার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। |
|
ছবি: কৌশিক মিশ্র |
দীর্ঘ এই রাস্তার দায়িত্ব নেয়নি পূর্ত দফতর। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের এক্তিয়ারেই রয়েছে রাস্তাটি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ এই রাস্তা আমূল সংস্কারের জন্য যে পরিমাণ টাকার দরকার, তা একা জেলা পরিষদের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। তাই কাজ হয় না। মাঝেমধ্যে পঞ্চায়েত সমিতি উদ্যোগী হয়ে রাস্তায় বোল্ডার ফেলে জোড়াতালি মারার চেষ্টা করে। দাঁতন-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তারাপদ গিরি বলেন, “জেলা পরিষদকে বহু বার বলেছি। তারা আশ্বাস দিলেও কাজ হয় না। তাই আমরা নিজেরাই বোল্ডার, মোরাম ফেলে সারিয়ে নিই।” তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক শৈবাল গিরি বলেন, “চোদ্দো বছরে এক বারও রাস্তার সংস্কার করেনি জেলা পরিষদ। মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই। শীঘ্র রাস্তার কাজ না হলে আমরা আন্দোলন শুরু করব।” জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শিশির মহাপাত্রের বক্তব্য, “পুরো রাস্তা সারানোর টাকা নেই। ধনেশ্বরপুরের দিক থেকে অর্ধেক রাস্তার কাজের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে ইতিমধ্যে।” |
|
|
|
|
|