|
|
|
|
জমি জবর-দখলের চেষ্টা ফব’র, বিরোধিতা শহরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ফের সরকারি জমি জবর-দখলের চেষ্টা হল মেদিনীপুরে। আর এ বারও এই অপকর্মে অভিযুক্ত বাম-শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক। শুক্রবার সকালে দলীয় পতাকা নিয়েই শহরের রাঙামাটি সংলগ্ন ঝর্ণাডাঙায় সরকারি জমি দখলের চেষ্টা করেন ফব’র কর্মী-সমর্থকেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ-বাহিনী। দুপুরের মধ্যে জায়গা খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশের ‘কড়া’ মনোভাব দেখে শেষমেশ অবশ্য পিছু হটেন ফব’র কর্মী-সমর্থকেরা। দলীয় পতাকাও খুলে নেন। যে জমি দখলের চেষ্টা হয়েছিল, তার বেশিরভাগটাই বন দফতরের। কিছুটা খাসজমি। মেদিনীপুরের মহকুমাশাসক (সদর) সুরজিৎ রায় বলেন, “সরকারি জমি জোর করে দখল নেওয়ার চেষ্টা হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবেই। এ দিন কিছু লোক সরকারি জমি দখলের চেষ্টা করেছিলেন। পরে অবশ্য তাঁরা নিজেরাই সরে গিয়েছেন।” অন্য রাজনৈতিক দলগুলিও ফব-র এ হেন কর্মকাণ্ডের তীব্র বিরোধিতা করেছে।
এই প্রথম নয়, এর আগেও মেদিনীপুর শহরের অরবিন্দনগর-সহ একাধিক জায়গায় সরকারি জমি জোর করে দখল নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ফরওয়ার্ড ব্লকের বিরুদ্ধে। সেখানে অস্থায়ী ঘর তৈরি করা হয়েছে। কেন এ ভাবে জমি দখল? ফব-ব জেলা সম্পাদক সুকুমার ভুঁইয়ার সাফাই, “গরিব মানুষ ওখানে (ঝর্ণাডাঙায়) গিয়েছিল বসবাসের জন্য। যারা গিয়েছিল, তাদের কারও ঘর নেই। সরকারের কাছে আবেদন করেও সুরাহা হয়নি। (ঝর্ণাডাঙার) ওই জমি দীর্ঘ দিন ধরেই ফাঁকা পড়ে রয়েছে। কাজে লাগছে না।” |
|
ছবি: রামপ্রসাদ সাউ |
সরকারি জমি দখলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ বাহিনী। নেতৃত্বে ডিএসপি রূপান্তর সেনগুপ্ত। পৌঁছন বন দফতরের পদস্থ কর্তারাও। তাঁরা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেন। দুপুরের মধ্যে ‘দখলদারদের’ এলাকা থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তবে এলাকায় সামান্য উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের ‘কড়া’ মনোভাব দেখে দুপুরে এলাকা ছাড়েন ‘দখলদারেরা’। ডিএসপি বলেন, “এলাকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।”
এ দিকে, এ ভাবে সরকারি জমি দখলের ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণা বলেন, “বিস্তারিত খোঁজ নেব।” তবে সন্তোষবাবুর দলেরই জেলা কমিটির এক সদস্যের বক্তব্য, “এ ভাবে জোর করে জমি দখল করা যায় না। তবে সরকারেরও উচিত, গৃহহীনদের বসবাসের ব্যবস্থা করে দেওয়া।”
তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ বলেন, “ওরা (ফব) ভেবেছে সেই আগের অবস্থাই রয়েছে। ইচ্ছেমতো যা খুশি তাই করবে। এর আগেও মেদিনীপুরে এই ঘটনা ঘটেছে। শহরে পাকা বাড়ি রয়েছে, এমন লোকজনও সরকারি জমি দখল করেছেন।” তাঁর কথায়, “পুলিশ-প্রশাসনের উচিত, এ-সব ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থাই নেওয়া।” কংগ্রেস নেতা সৌমেন খানও বলেন, “সরকারি জমি জোর করে দখল নেওয়া যায় না। সত্যিই যদি কারও বসবাসের বাড়ি না থাকে তা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সরকারের কাছে আবেদন করুক। সরকার তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।” |
|
|
|
|
|