|
|
|
|
ভিড়ে ঠাসা ট্রেকার, বাস চালানোর দাবি রাস্তায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া |
প্রায় তিন কোটি টাকা খরচ করে সংস্কারের পরে রাস্তা এখন ঝাঁ চকচকে। কিন্তু এই রাস্তায় নিত্যযাত্রীদের কোনও লাভ হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাস্তাটি পরিচিত বাইনান-গাইঘাটা রোড নামে। বাগনানের বাইনান থেকে রাস্তাটি গিয়েছে আমতার বেতাই বন্দর পর্যন্ত।
এই রাস্তাটিই বছরখানেক আগে সংস্কার করে পূর্ত (সড়ক) দফতর। কিন্তু এই রাস্তায় চলাচল করে মূলত বেআইনি অটোরিকশা। যায় বাগনান থেকে বাইনান পর্যন্ত। বেশির ভাগেরই লাইসেন্স নেই। যাত্রিবোঝাই করে এগুলি চলাচল করার সময়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার পড়ে। নিরীহ মানুষের প্রাণ যায়। অন্য দিকে, এই রাস্তার উপর দিয়েই চলাচল করে বাগনান-নারিট রুটের ট্রেকার। এই সব ট্রেকারগুলিও বেআইনিভাবে যাত্রিবহণ করে। যাত্রীদের ভিড়ে ট্রেকারটিকে কার্যত দেখা যায় না। এই পরিস্থিতিতে এই রুটে বাস চালানোর দাবি উঠেছে।
এই রাস্তা ধরে আমতা, জয়পুর, উদয়নারায়ণপুর এবং বাগনান এই চারটি থানা এলাকার হাজার হাজার নিত্যযাত্রী নিয়মিত যাতায়াত করেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই বাগনান স্টেশন থেকে হাওড়া-খড়্গপুর বিভাগের লোকাল ট্রেন ধরে হাওড়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করেন। এই সব নিত্যযাত্রীকে পুরোপুরি ভরসা করতে হয় বেআইনি অটো-রিকশা এবং ভিড়ে ঠাসা ট্রেকারগুলির উপরে। |
|
নিজস্ব চিত্র। |
নিত্যযাত্রীদের বক্তব্য, বাইনান-গাইঘাটা রোডটি সংস্কারের পরে এমনই আকার নিয়েছে যে এর উপর দিয়ে অনায়াসে বাস চলাচল করতে পারে। এই রাস্তার উপর দিয়ে অনেক কম সময়ে উদয়নারায়ণপুর থেকে বাগনান পর্যন্ত বাস চলাচল করতে পারে। উলুবেড়িয়া থেকে উদয়নারায়ণপুর পর্যন্ত বাস চলাচল করলেও বাগনানের সঙ্গে উদয়নারায়ণপুরের সরাসরি নিয়মিত যোগাযোগের কোনও ব্যবস্থা নেই। বাগনান-গাইঘাটা রোডের উপর দিয়ে বাগনান-উদয়নারায়ণপুর বাস চলাচল শুরু হলে তাঁদের সুবিধা হবে বলে নিত্যযাত্রীরা জানান।
বাগনান ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অপূর্ব চক্রবর্তী বলেন, “নিত্যযাত্রীদের অসুবিধার কথা ভেবে আমি বহুবার জেলার উন্নয়ন-সংক্রান্ত বৈঠকে বাইনান-গাইঘাটা রোড হয়ে উদয়নারায়ণপুর-বাগনান বাস চলাচলের দাবি জানিয়েছিলাম।” উদয়নারায়ণপুরের বাসিন্দারাও একই দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের সহ-সভাপতি অজয় ভট্টাচার্য বলেন, “জেলা পরিবহণ দফতরের কাছে নিত্যযাত্রী বা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে কোনও আবেদন এলে ওই রুটে বাস চালানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।” |
|
|
|
|
|