ভোপাল গ্যাস বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের আর কোনও ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি নয় ডাও কেমিক্যালস। সুপ্রিম কোর্টে এক হলফনামায় এ কথা জানিয়েছে ডাও। ফলে গ্যাস দুর্ঘটনার ২৭ বছর পরে ফের এক বার বড় ধাক্কা খেলেন ভোপালের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ।
১৯৮৪ সালের ২ ডিসেম্বর ভোপালে ইউনিয়ন কার্বাইড লিমিটেডের কীটনাশক তৈরির কারখানা থেকে ছড়িয়ে পড়ে বিষাক্ত মিথাইল আইসো সায়ানাইড গ্যাস। মারা যান কয়েক হাজার মানুষ। গুরুতর অসুস্থ হয়ে আজীবন দুর্ঘটনার চিহ্ন বয়ে চলেছেন আরও অনেকে। ইউনিয়ন কার্বাইড কর্পোরেশন এখন ডাও কেমিক্যালসের নিয়ন্ত্রণাধীন। ডাও জানিয়েছে, ১৯৮৭ সালে ওই দুর্ঘটনার জন্য ৪৭ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল ইউনিয়ন কার্বাইড। ভারতীয় আইনে উল্লিখিত ন্যায্য ক্ষতিপূরণের অন্তত তিন গুণ টাকা দেওয়া হয়েছিল। আর কোনও টাকা দেওয়া হবে না। |
২৭ বছর পরেও শিল্প ক্ষেত্রে বিশ্বের সব চেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা নিয়ে অনেক বিভ্রান্তিই কাটেনি। ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ঠিক কত তা নিয়ে আজও একমত হতে পারেনি সরকার ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সুপ্রিম কোর্টে দু’টি মামলায় মৃতের ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা জানিয়েছে সরকার। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির মতে, মৃতের সংখ্যা সরকারি হিসেবের চেয়ে অনেক বেশি। তা ঠিক কত সেটা সরকারের জানানো উচিত।
শুক্রবার ভোপালে একটি পদযাত্রায় যোগ দেন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সদস্য ও আন্দোলনকারীরা। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের সঙ্গেও দেখা করেন অনেকে। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, ২৭ বছর পরেও তাঁরা ন্যায়বিচার পাননি। |