বান্ধবীর মামার বাড়িতে যাওয়ার সময়ে পথভ্রষ্ট তিন স্কুলছাত্রী কিশোরী ধরা পড়ল পুলিশের হাতে। সোমবার গভীর রাতে রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড় এলাকা থেকে তাঁদের উদ্ধার করে পুলিশ। পথচারীদের একাংশ ওই কিশোরীদের উত্ত্যক্ত করছিলেন বলে অভিযোগ। সেই সময় একটি বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিনিধি ঘটনাটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ অভিভাবকদের রায়গঞ্জ থানায় ডেকে ওই ৩ কিশোরীকে তাঁদের হাতে তুলে দেয়। ওই ৩ কিশোরীর বাড়ি দার্জিলিং জেলার খড়িবাড়ি থানার ভালুকা এলাকায়। দু’জন সপ্তম শ্রেণির। এক জন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশুনা করে। প্রত্যেকেই খড়িবাড়ি গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী। কিশোরীরা প্রতিবেশী হওয়ায় তাদের পরস্পরের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে। কালিয়াগঞ্জের কুনোর এলাকায় তাঁদের এক জনের মামাবাড়ি রয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১০ টা নাগাদ ওই ৩ কিশোরী স্কুলে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বার হয়। তারা কেউই স্কুলের ইউনিফর্ম না পড়লেও তাদের সঙ্গে বই ও খাতায় ভরা স্কুলব্যাগ ছিল। ৩ কিশোরী রায়গঞ্জগামী একটি বেসরকারি বাসে ওঠে। বাসটি রায়গঞ্জের মোহনবাটি এলাকায় নামিয়ে দেয়। তারা সেখানে দাঁড়িয়ে কালিয়াগঞ্জগামী বাস ধরার জন্য অপেক্ষা করছিল। বাস না পেয়ে তারা উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘোরাঘুরি করতে করতে পথভ্রষ্ট হয়ে শিলিগুড়ি মোড়ে পৌঁছয়। সেখানে ওই ৩ কিশোরীকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে পথচারীদের একাংশ উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে বলে অভিযোগ। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে খড়িবাড়ি থানার মাধ্যমে অভিভাবকদের সমস্ত ঘটনা জানিয়ে রায়গঞ্জ থানায় ডেকে পাঠায়। এক অভিভাবক বলেন, “তিন জন নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর আমরা খড়িবাড়ি থানায় খবর দিই। বেসরকারি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি ও পুলিশ তৎপর না-হলে মেয়েরা হয়তো পাচারকারীদের খপ্পড়ে পড়ে যেত।” |