সাংগঠনিক কাজে গতি আনতে তুফানগঞ্জে দলের অর্ধেকের বেশি লোকাল কমিটির সম্পাদককে সরিয়ে নতুন মুখ আনল সিপিএম। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ৬-২৭ তারিখের মধ্যে মহকুমার ১৫টি লোকাল কমিটির সম্মেলন হয়। তার মধ্যে ফুলবাড়ি-২, ধলপল-১ ও ২, নাটাবাড়ি-১, মারুগঞ্জ, চিলাখানা-১ ও ২ এবং দেওচড়াইয়ের মতো ৯টিতেই নতুন মুখ আনা হয়েছে। যাঁদের সরানো হল তাঁদের মধ্যে নাটাবাড়ি-১ ও দেওচড়াই লোকাল কমিটির সম্পাদকের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ ওঠায় বেশ কিছুদিন আগে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বাকিদের বিরুদ্ধে জনসংযোগে খামতি, বার্ধক্যজনিত কারণে পর্যাপ্ত সময় দিতে সমস্যা, দাম্ভিকতার অভিযোগ ছিল। সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, তুফানগঞ্জ শহর লাগোয়া অন্দরান ফুলবাড়ি-২ লোকাল কমিটির সম্পাদক হয়েছেন পূণ্যেশ্বর অধিকারী। আগের সম্মেলনে এই দায়িত্ব পেয়েছিলেন খগেন্দ্রনাথ দাস। বয়সজনিত কারণে এ বার খগেন্দ্রনাথবাবু দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। ধলপল লোকাল কমিটি ভেঙে দুটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। পূর্বতন লোকাল কমিটির সম্পাদক নরেশ সাউদকে কোনও লোকাল কমিটির সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ধলপল-১ লোকাল কমিটির সম্পাদক করা হয়েছে কৈলাস বীরকে। ধলপল-২ লোকাল কমিটির সম্পাদক হয়েছেন বাপ্পা দত্ত। বালাভুত লোকাল কমিটিতে নয়া সম্পাদক হয়েছেন আইনুল হক চৌধুরী। আগে সম্পাদক পদে ছিলেন মুজিবর রহমান। বিদায়ী সম্পাদক দলের কাজে সক্রিয় ভাবে অংশ নিচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ ছিল দলীয় স্তরে। নাটাবাড়ি-১ লোকাল কমিটির সম্পাদক জীবেশ্বর বর্মার বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ ওঠার পরে কিছুদিন আগে বহিস্কার করা হয়। ওই লোকাল কমিটি সম্পাদকের কাজ চালাচ্ছিলেন যমুনা সরকার। এ বার তাঁকেই সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মারুগঞ্জ লোকাল কমিটিতে নরেশ দায়ের পরিবর্তে শিশির গোস্বামী, চিলাখানা-১ ও ২ লোকাল কমিটিতে যথাক্রমে ভানুরাম দাসের পরিবর্তে রণজিৎ সরকার এবং ধৈর্য্যেন্দ্রনাথ মণ্ডলের বদলে রমানাথ দাসকে সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে। দেওচড়াইয়ের লোকাল কমিটির সম্পাদক বীরেন রায়কে স্বজনপোষণের অভিযোগে বহিস্কারের পরে এ বার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নীলকান্ত বর্মনকে। |