আর্থিক গরমিল-সহ একাধিক অভিযোগ তুলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অনিতা চক্রবর্তীকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন প্রশাসক। তাঁর নির্দেশে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদে বসেন গাহুল আমিন। তাঁর দু’সপ্তাহ বাদে আদালতের নির্দেশ নিয়ে কলেজে ফের আসেন অপসারিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অনিতা চক্রবর্তী। সোমবার মালদহের চাঁচল কলেজে ঘটনাটি ঘটেছে। অপসারিত হওয়ার দু’সপ্তাহ বাদে এদিন আইনজীবীকে নিয়ে কলেজে ঢোকেন অপসারিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। এক সময় অধ্যক্ষের ঘরে ঢুকে নির্দিষ্ট চেয়ারেও বসে পড়েন অনিতা দেবী। কিছুক্ষণ পরে ছাত্রদের ডাকে তিনি ঘর থেকে বাইরে যান। ফিরে এসে দেখেন তাঁর ঘরে তালা ঝুলছে। সারাদিন অপেক্ষা করেও নিজের ঘরে ঢুকতে না পেরে সন্ধ্যায় দু’জনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানিয়ে মালদহে ফিরে যান অনিতা দেবী। গত ১৬ নভেম্বর কলেজে গিয়ে তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানতে পারেন অনিতা দেবী। তারপর এ দিন আদালতের নির্দেশ নিয়ে কলেজে আসেন। সঙ্গী আইনজীবী মোস্তাফা কামাল বলেন, “প্রশাসকের নির্দেশের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। সেই নির্দেশের জোরে অনিতা দেবীই চাঁচল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। প্রশাসক নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে এদিন দায়িত্বে ছিলেন পঙ্কজ কুণ্ডু নামে এক শিক্ষক। তাঁকে আদালতের নির্দেশের চিঠি দেওয়া হলেও তিনি তা নেননি বলে অভিযোগ। পরে তা কলেজের নোটিস বোর্ডে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এর পরে অধ্যক্ষের ঘরে ঢুকে নিজের চেয়ারে বসেন অনিতা দেবী। মিনিট পাঁচেক বাদে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে বাইরে বের হন। ফিরে এসে দেখেন তার ঘরে তালা ঝুলছে। এটা আদালত অবমাননা।” অভিযুক্ত শিক্ষক পঙ্কজবাবু বলেন, “আমাকে এ দিনের জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলেন গাহুল আমিন। আমাকে তো তাঁকেই দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হবে। তা ছাড়া আমাকে এ ধরনের নির্দেশের কোনও চিঠিও দেওয়া হয়নি। কাল দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার পর আইন মেনে যা হওয়ার হবে।” প্রশাসকের নির্দেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত গাহুল আমিন এ দিন বলেন, “আদালত নির্দেশ দিতেই পারে। কিন্তু এ ভাবে গিয়ে চেয়ারে বসে পড়াটা অন্যায়। তার একটা পদ্ধতি আছে। বিষয়টি প্রশাসককে জানাতে হত। তিনিই পরবর্তী ব্যবস্থা নিতেন। কিন্তু আমি বা প্রশাসক কারও আদালতের পাঠানো এ ধরনের কোনও চিঠির কথা জানা নেই।” |