এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য অবশ্য বলেন, “ওই কমিটি রিপোর্ট দেবে। তা নিয়ে বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।” ৩০২ একর জায়গায় জুড়ে কাওয়াখালি উপনগরী গড়তে ২০০৪ সালে সরকারের তরফে জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়। তা নিয়ে আন্দোলনে নামে জমির মালিকদের একাংশ। অনিচ্ছুক জমির মালিকেরা অনেকে মামলাও করেন। জমিহারাদের নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ কৃষিজমি জীবন ও জীবিকা রক্ষা কমিটির তরফে আন্দোনও হয়েছে। পরবর্তীতে পুনর্বাসন প্রকল্পে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিলে অনেকে তাতে রাজিও হন। তবে শেষ পর্যন্ত অনিচ্ছুকরা জমি ফেরতের দাবিতে অনড় থাকে। পাশাপাশি উপনগরী প্রকল্পে জমি দিয়েও পুনর্বাসন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা ঠিক মতো পাননি বলে অভিযোগ তোলেন অনেকে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এসজেডিএ’র তরফে সম্প্রতি দুটি কমিটি গঠন করা হয়। ঠিক হয় অনিচ্ছুকদের জমির পরিমাণ, কোথায় কী ভাবে তা রয়েছে টেকনিক্যাল কমিটির তরফে তা খতিয়ে দেখা হবে। অন্য দিকে অনিচ্ছুক জমির মালিকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবে ‘আলোচনা কমিটি’। ইতিমধ্যেই জমির পরিমাণ, অনিচ্ছুকদের জমি কোথায় রয়েছে তা চিহ্নিত করে টেকনিক্যাল কমিটি। এ দিন আলোচনা কমিটির ৪ প্রতিনিধি জমির মালিকদের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তাবিত উপনগরী এলাকায় যান। জ্যোৎস্নাদেবী, শঙ্করবাবু ছাড়াও কমিটিতে রয়েছেন এসজেডিএ’র সদস্য তথা পুরসভার ডেপুটি মেয়র রঞ্জন শীলশর্মা, চেয়ারম্যান নান্টু পাল। তাঁরা বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে অভাব অভিযোগ শোনেন। সে সব নথিভুক্ত করাও হয়। অনিচ্ছুকদের জমি ফেরতের পাশাপাশি পুনর্বাসন প্রকল্পে যাতে সমস্ত সুযোগ সুবিধা মেলে তা দেখা হবে বলে আশ্বস্ত করেন তাঁরা। এসজেডিএ কর্তৃপক্ষের দাবি, কাওয়াখালি এলাকায় ৯৩ জন এবং পোড়াঝাড়ে ৩০ জন অনিচ্ছুক জমির মালিক রয়েছেন। তাঁদের জমির পরিমাণ প্রায় ৩৫ বিঘা। পশ্চিমবঙ্গ কৃষি জমি জীবন জীবিকা রক্ষা কমিটির নেতা কুড়ানু দেব সিংহর দাবি, খাস জমি মিলিয়ে প্রায় ৪০ একর জমি রয়েছে অনিচ্ছুকদের। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০০ জন জমির মালিক রয়েছেন। কাওয়াখালি পোড়াঝাড় ভূমিরক্ষা কমিটি যুগ্ম সম্পাদক যুগল সরকার বলেন, “অনিচ্ছুকদের জমি ফেরত দেওয়া হলে তারা সাধুবাদ জানাবেন। সেই সঙ্গে যাঁরা জমি দিয়েছেন তাঁদের সকলকেই পুনর্বাসন দিতে হবে। এখনও প্রায় ৮০০জন পুনর্বাসন প্রকল্পে প্লট পাননি। অনেকে জমির মূল্য হিসাবে চেকও পাননি।” থিকনিকাটা কাওয়াখালি ল্যান্ড ওনার্স ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এবং ভূমিরক্ষা কমিটির প্রতিনিধিদের নিয়ে তাদের দাবির বিষয়টি এসজেডিএ’র টেকনিক্যাল কমিটি খতিয়ে দেখবে বলে জানান শঙ্করবাবু।
জমি দখলের অভিযোগ। স্কুলের জমি দখলের অভিযোগ উঠল। রবিবার ভক্তিনগর থানার শালুগাড়া বিকাশনগর এলাকায় বুদ্ধিমায়া নিউ এডিশনাল প্রাইমারি স্কুলে ঘটনাটি ঘটে। স্কুল ভক্তিনগর থানা, রাজগঞ্জ বিএলএলআরও অফিস, রাজগঞ্জ সার্কেল স্কুল পরিদর্শক ও জেলা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছে। রাতে কে বা কারা স্কুলভবনের সামনে দু’কাঠা জমির উপর কংক্রিটের খুঁটি পুঁতে দেয়। |