|
|
|
|
কাল রুগ্ণ পরিবহণ সংস্থা নিয়ে বৈঠকে মন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বিপুল লোকসানে চলা রাজ্যের পাঁচটি পরিবহণ সংস্থার পরিস্থিতি নিয়ে কাল, বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছেন পরিবহণ মন্ত্রী সুব্রত বক্সী। ভর্তুকির ভরসা ছেড়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সংস্থাগুলির কর্তারা কী পরিকল্পনা করছেন, বৈঠকে তা জানতে চাইবেন মন্ত্রী। পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, পাঁচটি পরিবহণ সংস্থা মিলে বছরে রোজগার করে বড় জোর ১৫০ কোটি টাকা। অথচ তাদের জন্য ভর্তুকি দিতে হয় বছরে প্রায় ৭০০ কোটি। বাম আমলের ৩৪ বছর এই ব্যবস্থা চলার পর ভর্তুকিতে রাশ টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়া সরকার। পরিবহণ দফতরের এক মুখপাত্র বলেন, “এক দিনে পুরো ভর্তুকির অর্থ বন্ধ করা তো সম্ভব নয়। ধাপে ধাপে তা হবে।”
কোন পথে পরিবহণ সংস্থাগুলি স্বনির্ভর হতে পারে, তা নিয়ে সবিস্তার আলোচনা করতেই বৈঠক ডেকেছেন মন্ত্রী। ওই মুখপাত্র জানান, আয় বাড়িয়ে নিজেদের খরচ তোলার জন্য ৫ মাস ধরে পরিবহণ সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে বহু বৈঠক হয়েছে। বৃহস্পতিবার সরকার জানতে চাইবে, রোজগার বাড়ানোর জন্য তাঁরা কী পরিকল্পনা করলেন। আয় বাড়ানোর পথ হিসাবে কয়েকটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হতে পারে। যেমন, যে সব রুটে যাত্রী একেবারেই হয় না, সেগুলি বন্ধ করে দিয়ে অপেক্ষাকৃত ‘লাভজনক’ নতুন রুটে বাস চালানো। দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে দুর্নীতি ও চুরি ঠেকিয়ে লোকসানের পরিমাণ কমানো। বাস-পিছু কর্মীর সংখ্যা কমিয়ে ও বাসের সংখ্যা বাড়িয়েও আয় বাড়ানোর কথা হতে পারে। ভর্তুকি আটকানোর প্রথম ধাপ হিসেবে অগস্ট থেকে পেনশন ও অক্টোবর থেকে বেতন বন্ধ করে দিয়েছিল পরিবহণ দফতর। এতে ক্ষোভ ছড়ায়। সংস্থাগুলির কর্মীদের সম্পর্কে তথ্য চায় সরকার। ওই মুখপাত্র জানান, চারটি সংস্থা তথ্য জানানোর পরে অক্টোবর মাসের বেতন মঞ্জুর করা হয়েছে। তবে ওই তথ্য খতিয়ে দেখবে সরকার। ‘ভুয়ো’ কর্মীর নাম থাকলে তা বাতিল করে দেওয়া হবে। |
|
|
|
|
|