পঞ্চায়েতের একাধিক প্রকল্পে খরচ হওয়া টাকার হিসেব দিতে পারছেন না সিপিএমের প্রধান। এই অভিযোগ তুলে সঠিক হিসেব দেওয়ার দাবিতে প্রধানকে ঘেরাও করে পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। খাতড়া ব্লকের সুপুর পঞ্চায়েতে মঙ্গলবার দিনভর এই বিক্ষোভ চলে।
তৃণমূলের সুপুর অঞ্চল সভাপতি মহাদেব গিরির অভিযোগ, “পঞ্চায়েতের ১০০ দিন কাজ থেকে সামাজিক বনসৃজন- প্রতিটি প্রকল্পে মোট খরচের হিসেব ইতিপূর্বে আমরা চেয়েছিলাম। প্রধান তা ঠিকমতো দেননি। দুর্নীতি করা হয়েছে বলেই প্রধান প্রকল্পগুলি নিয়ে খরচের হিসেব দিতে চাইছেন না।” |
এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ সুপুর এলাকার তৃণমূলের শ’চারেক কর্মী-সমর্থক মিছিল করে পঞ্চায়েত অফিসে যান। প্রধান সূর্যনারায়ণ কিস্কু-সহ পঞ্চায়েতের ১০ জন কর্মী এ দিন অফিসে ছিলেন। অফিসের বাইরে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা শ্লোগান দিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে তাঁরা প্রধানের কাছে কয়েক দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপিও দেন। তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা কার্যকরী সভাপতি শ্যামল সরকারের অভিযোগ, “সুপুর পঞ্চায়েতের ১০০ দিন কাজের একটি প্রকল্পে ডোমনাশোল মৌজায় একটি পুকুর থেকে পাথর তোলা হয়েছিল। ওই প্রকল্পে খরচ দেখানো হয়েছিল ১০ হাজার টাকা। সামান্য টাকা খরচ করে সিংহভাগ টাকা সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েত আত্মসাৎ করে। এই কারণেই খরচের সঠিক হিসেব দিতে ওঁরা গড়িমসি করছেন।” পঞ্চায়েতের প্রধান সূর্যনারায়ণ কিস্কুর দাবি, “সরকারি নিয়ম মেনেই প্রতিটি প্রকল্পে বরাদ্দ টাকা খরচ করা হয়েছে। কোনও দুর্নীতি হয়নি।” তাঁর আরও দাবি, “তৃণমূল নেতৃত্বকে কিছু কাজের খরচের হিসেব দেখানো হয়েছে। তারপরেও তাঁরা রাজনৈতিক কারণে মিথ্যা অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন।” |