মন্ত্রীর নির্দেশ সত্বেও মঙ্গলবার থেকে অত্যাবশকীয় পণ্য নিগমের মাধ্যমে ধান কেনা শুরু করতে পারল না পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। গত শুক্রবার রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এই জেলায় এসে নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলায় শিবির করে মঙ্গলবার থেকে ধান কেনা শুরু হবে। কিন্তু এ দিন ধান কেনা শুরু করতে পারেনি জেলা প্রশাসন। কবে থেকে তা শুরু হবে তাও জানাতে পারেনি।
জেলাশাসক অবনীন্দ্র সিংহ বলেন, “আমাদের জেলায় বেনফেড ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিগম কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনবে বলে ঠিক হয়েছে। আমরা ঠিক করেছিলাম প্রথমে অত্যাবশকীয় পণ্য নিগমকে ধান কেনার কাজে মাঠে নামাব। কিন্তু যে সব সমবায় সমিতিগুলি নিগমের হয়ে ধান কিনবে , তাঁদের ওয়ার্ক অর্ডার (ধান কেনার ছাড়পত্র) দেয়নি। তাই এ দিন থেকে ধান কেনার কাজ শুরু করা যায়নি।” তবে এসব ঝামেলা মিটিয়ে শীঘ্রই মন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক শিবির করে ধান কেনা শুরু করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। কবে থেকে সেই কাজ শুরু করা হবে তা তিনি নির্দিষ্ট ভাবে জানাননি।
পশ্চিমবঙ্গ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিগমের ম্যানেজার গৌতম চৌধুরী বলেন, “পুরুলিয়ার যে সমস্ত সমবায় আমাদের কাছে ধান কেনার ছাড়পত্র নিতে এসেছিল, তাঁদের কাগজপত্র ঠিক ছিলনা। তাই তাঁদের ছাড়পত্র দেওয়া যায়নি। কাগজপত্র ঠিক করে নিয়ে এলেই আমরা তাঁদের ছাড়পত্র দেব।” তিনি জানান, সমস্যার কথা পুরুলিয়ার জেলা খাদ্য নিয়ামককে বলেছেন। পুরুলিয়ার জেলা খাদ্য নিয়ামক সুনয়কুমার গোস্বামী বলেন, “সমস্যার কথা শুনেছি। যেহেতু সমবায় সমিতিগুলির ধান কেনার কথা। তাই সমবায় সমিতিগুলির দায়িত্বে থাকা সমবায় সমিতি সমূহের নিবন্ধককে জানিয়েছি।
প্রশাসন সূত্রের খবর যে সমবায় সমিতিগুলি ধান কিনবে বলে ঠিক হয়েছিল তাঁরা অন্য কাগজপত্র নিয়ে কলকাতায় নিগমের কার্যালয়ে গেলেও নিগমের সঙ্গে চুক্তির জন্য যে কোর্ট ফি প্রয়োজন তা ছিল না। তাই চুক্তির কাজ সম্পাদিত হয়নি। সমবায় সমিতি সমূহের নিবন্ধক অরুন শতপথী বলেন, “সমবায় সমিতিগুলির এ দিন থেকে ধান কেনার কথা ছিল। তা শুরু করা যায়নি। কিছু সমস্যা হয়েছে।” তিনি জানান, যে সব ব্লকগুলিতে চালকল নেই, সেখানে শিবির করে ধান কেনায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “কাগজপত্র সংক্রান্ত কিছু সমস্যা রয়েছে। তা সমাধান করে দ্রুত ধান কেনার কাজ শুরু করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” এ দিনও তিনি দাবি করেন, “ধান কেনার কাজ চলবে। প্রয়োজনে চালকলগুলি যাতে অন্যত্র শিবির করে ধান কেনে সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |