|
|
|
|
অর্থ আসেনি, শুরু হয়নি ধান কেনাও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
একের পর এক বৈঠক হচ্ছে। কিন্তু সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনা এখনও শুরু হল না পূর্ব মেদিনীপুরে। কারণ ধান কেনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থই এখনও আসেনি জেলায়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি গান্ধী হাজরা সমস্যার কথা মেনে নিয়ে বলেন, “চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনার জন্য যে টাকা দরকার, তা বরাদ্দ না হওয়ায় একটা সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত অর্থ বরাদ্দ করার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছি।”
চলতি বছর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে রাজ্য খাদ্য দফতর ৮৩ হাজার মেট্রিক টন ও ভারতীয় খাদ্য নিগম ১৯ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করবে। সেই অনুপাতে জেলা থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করবে সরকার নির্ধারিত চালকল ও সমবায় সংস্থাগুলি। রাজ্য সরকার সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে সাধারণ ধান কেনার জন্য ১০৮০ টাকা ও সরু ধানের ক্ষেত্রে ১১১০ টাকা সহায়ক মূল্য ধার্য করেছে। ধানের পরিমাণ বেশি হলে চেকে বেচা-কেনা হবে। তাই চাষিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও খুলতে বলা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনিক এই সব সিদ্ধান্ত প্রত্যন্ত এলাকায় চাষিদের কাছে গিয়ে পৌঁছয়নি। কী ভাবে, কবে থেকে ধান কেনা শুরু হবে তা নিয়ে অন্ধকারে চাষিরা। ফলে ক্ষোভ বাড়ছে ক্রমশ। ধান কেনা নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন গত ২৪ নভেম্বর পাঁশকুড়ার মেচগ্রামে ও ২৮ নভেম্বর কাঁথিতে বৈঠক করে। বৈঠকে সমবায় সমিতি ও চালকলগুলি কী পরিমাণে ধান সংগ্রহ করবে তার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক হয়। কিন্তু টাকা এসে না পৌঁছনোয় সরকারি ভাবে ধান কেনা এখনও শুরু করা যায়নি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা খাদ্য নিয়ামক নসরৎ হোসেন খান বলেন, “চলতি বছর ধান সংগ্রহের জন্য টাকা এখনও এসে পৌঁছয়নি। ফলে জেলায় ধান কেনার কাজ শুরু করা যায়নি।” এই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সারা ভারত কৃষক ও খেতমজুর সংগঠনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটি প্রতিটি পঞ্চায়েতে শিবির করে দ্রুত ধান কেনা শুরু করার দাবি জানিয়েছে জেলা পরিষদ, জেলাশাসক ও খাদ্য দফতরকে। সংগঠনের জেলা সম্পাদক নন্দ পাত্র বলেন, “চাষিদের বারবার আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু হয়নি জেলায়। এই সুযোগে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী চাষিদের বিভ্রান্ত করছে। দ্রুত ধান কেনা শুরু করার জন্য স্মারকলিপি দিয়েছি।” |
|
|
|
|
|