স্থানীয় ক্রিকেটে মরসুমের প্রথম বড় ম্যাচেই চালকের আসনে বসে পড়ল মোহনবাগান (৩৮৪-৪)। এএনঘোষ ট্রফির ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ৩৮৫ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা ছুঁড়ে দিল তারা। সৌজন্য শুভময় দাস এবং অনুষ্টুপ মজুমদারের জোড়া সেঞ্চুরি।
|
অনুষ্টুপ ও শুভময়: জোড়া
সেঞ্চুরি। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস |
ইডেনের সবুজ পিচে টস জিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ব্যাট করতে পাঠালে কী হবে, সে ভাবে ফায়দাই তুলতে পারল না শিবশঙ্কর পালের নেতৃত্বে ইস্টবেঙ্গল পেস-আক্রমণ। উল্টে অনবদ্য ব্যাট করে গেলেন শুভময়। তাঁর অপরাজিত ১১১ এল মাত্র ১২০ বলে। ন’টা বাউন্ডারির সঙ্গে একটা ওভার বাউন্ডারি। অনুষ্টুপও (১১৫) সেঞ্চুরি করেছেন, কিন্তু তাঁর ইনিংস বিপক্ষ শিবিরের ততটা প্রশংসা কুড়োচ্ছে না, যতটা কুড়োচ্ছে শুভময়ের সেঞ্চুরি। তবু দিনের শেষে শুভময়ের আক্ষেপ, “পরপর কয়েকটা বড় ম্যাচে বড় রান পেলাম। তবে বাংলা দলে ডাক পাওয়াটা আমার হাতে নেই। ওটা নির্বাচকদের ব্যাপার।”
ফুটবল হোক বা ক্রিকেট, সাম্প্রতিক কালে ‘বড়’ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলকে হয় তাড়া করছে রেফারি, নইলে আম্পায়ার। এ দিনও যা হল অয়ন নন্দীর এলবিডব্লিউকে ঘিরে। এবং বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জেরে আম্পায়ারের সঙ্গে একদফা ঝামেলাও হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল শিবিরের। ইস্টবেঙ্গল কোচ প্রণব নন্দী ইতিমধ্যেই পুরো ব্যাপারটা ক্লাবের ক্রিকেট সচিবকে জানিয়েছেন। বলছিলেন, “ওই একটা আউট না দেওয়াতে সব ওলটপালট হয়ে গেল বলছি না। কিন্তু ওই সময় উইকেট পড়লে কে বলতে পারে ম্যাচটা পাল্টাত না?” টিমের এই হালের জন্য তিনি বরং বেশি দায়ী করছেন তাঁর বোলারদের। অভিজ্ঞ শিবশঙ্কর এ দিন চূড়ান্ত ব্যর্থ। একটাও উইকেট পাননি। টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে মোহনবাগান ইতিমধ্যেই উঠে গিয়েছে। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের রাস্তাটা বেশ কঠিন। শেষ চারে উঠতে গেলে এই ম্যাচ শুধু জিতলে চলবে না, বড় ব্যবধানে জিততে হবে। আজ, বুধবার ম্যাচের শেষ দিন। |