|
|
|
|
রোহতাকে বাংলা |
সবুজ উইকেটেও টেনেটুনে পাশ পেসাররা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
টেনেটুনে পাশ মার্ক উঠল, কিন্তু ‘লেটার’ তোলা গেল না। হরিয়ানার বিরুদ্ধে প্রথম দিনে বাংলা পেসারদের রিপোর্ট কার্ড তো সে কথাই বলছে।
অথচ রোহতাকে ঘাসে ঢাকা বাইশ গজ ছিল। সারা দিন হাওয়া দিচ্ছে। সুইং হচ্ছে। রণদেব বসু-অশোক দিন্দারা প্রথম দিনেই সুযোগ পেয়েছিলেন হরিয়ানা ব্যাটিংকে কাঁপিয়ে দেওয়ার। কিন্তু তা আর হল কই? পেসাররা মার খেলেন দিনভর। হরিয়ানার দুই ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করে গেলেন। তিন-তিনটে ক্যাচ পড়ল। মোট কথা, দিনের শেষ লগ্নে তিন উইকেট তুলে মুখরক্ষা করা গেল বটে, কিন্তু পেসারদের তর্জন-গর্জন শোনা গেল না।
রণদেব বসু এমন মনের মতো উইকেট পেয়েও নিজেকে অফ ফর্মের কবল থেকে বের করতে পারলেন না। বল করেছেন সতেরো ওভার, টুকটাক মেডেনও দিয়েছেন, কিন্তু উইকেট পাননি একটাও। এবং রোহতাকে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, রণ-র চেষ্টায় কোনও খামতি থাকছে না। দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার পর রণ-কে কিছুটা হলেও ‘চেনা’ রণ বলে মনে হয়েছে। কিন্তু সারা দিনে উইকেটহীন থাকায় নির্বাচকদের মধ্যে সে সব আর তেমন পাত্তা পাচ্ছে না। বরং সাবধানবাণী আসছে যে, দ্বিতীয় ইনিংসে হরিয়ানার ব্যাট করা নিয়ে নিশ্চয়তা যখন নেই, তাই প্রথম ইনিংসে বাকি পাঁচ উইকেটের মধ্যে গোটা দুই-তিন রণ-কে তুলে রাখতে হবে। নইলে আগামী নির্বাচনী বৈঠকে তাঁকে নিয়ে ঝড় ওঠার সম্ভাবনা।
দিন্দারও তো প্রায় একই দশা। উইকেট পেয়েছেন একটা। একটা বল অসাধারণ, তো পরেরটাই অতি সাধারণ। সামি আহমেদ সে ভাবে সাহায্যই পাননি উল্টো প্রান্ত থেকে। বরং ছোট স্পেলে এসে একটা গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল। সকাল থেকে হরিয়ানার দুই ব্যাটসম্যান ভোগাচ্ছিলেন বাংলাকে। অধিনায়ক সৌরভ যথাসাধ্য করেছেন। ছোট-ছোট স্পেলে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে এনেছেন বোলারদের। কিন্তু তাতেও রাহুল দেওয়ান (১১৫) আর সানি সিংহ-র (১১১) জোড়া সেঞ্চুরি আটকানো যায়নি। সানি-র তবু তিনটে ক্যাচ পড়েছে, কিন্তু দিন্দার বাউন্সার ঋদ্ধিমান সাহার হাতে জমা করার আগে পর্যন্ত কোনও সুযোগ দেওয়ার বালাই ছিল না দেওয়ানের। রাতের দিকে, বাংলা শিবিরে আবার আফসোস মধ্যপ্রদেশ ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ক্যাচ পড়ার ‘রোগ’ গেল না বলে। মনে করা হচ্ছে, ক্যাচ না ছাড়লে ম্যাচে ফিরে আসা যেত ভাল ভাবে। ঘটনা। সানি সিংহের ক্যাচ কখনও পড়েছে গালিতে। কখনও মিড উইকেটে তাঁর লোপ্পা ক্যাচ ছেড়েছেন অভিষেক ঝুনঝুনওয়ালার মতো ফিল্ডার। লক্ষ্মীর ইনসুইংয়ে তাঁর মিডল স্টাম্প উড়ে না গেলে কপালে আরও দুঃখ ছিল বাংলার।
বলতে গেলে, শেষ বেলায় লক্ষ্মী আর ইরেশ সাক্সেনা মিলেই ম্যাচে কিছুটা ফেরালেন বাংলাকে। ইরেশের বাঁ-হাতি স্পিনে দু’টো উইকেটও এল। কিন্তু তাঁর স্পিন তো আবার একটা আশঙ্কা তুলে দিয়ে গেল। হরিয়ানা এই উইকেটেও দুই স্পিনার নিয়ে নেমেছে। তা হলে কী শেষ দিকে বল টার্ন করা শুরু করবে? বাংলা শিবির কিন্তু এমন আশঙ্কাই করছে। বলছে, উইকেটে ঘাস দেখে অতটা প্রথমে বোঝা যায়নি। কিন্তু এই উইকেট পরের দিকে টার্নার হয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তিনশোর মধ্যে যে করেই হোক হরিয়ানাকে আটকানো দরকার।
ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক। হরিয়ানার এক নম্বর স্পিনারের নাম আবার অমিত মিশ্র। যাঁর কি না ভারতের হয়ে একটু-আধটু খেলার অভিজ্ঞতাও আছে!
|
সংক্ষিপ্ত স্কোর
হরিয়ানা: ২৫৭-৫ (রাহুল ১১৫, সানি ১১১, রণ ০-৫১,
দিন্দা ১-৭৭, সামি ১-৪৪, ইরেশ ২-৬৩, লক্ষ্মী ১-১১)। |
|
|
|
|
|