গুয়াহাটি এবং কলকাতায় যা হয়নি, মঙ্গলবার গোয়াতে নিজের ঘরের মাঠেই তা হয়ে গেল। পাঁচ গোলের লজ্জা নিয়ে প্রথম হারের মুখ দেখলেন ভারতের নতুন কোচ স্যাভিও মেদেইরা।
জাতীয় দলের প্রধান দুই স্ট্রাইকার সুনীল ছেত্রী আর জেজে নেই। দু’জনেই ট্রায়াল দিতে এখন স্কটল্যান্ডে। জাম্বিয়াকে আটকানোর জন্য তাই রক্ষণের ওপর ভরসা রেখেছিলেন স্যাভিও। আর ভারতকে ডোবাল তাঁর ডিফেন্ডাররাই। সমীর নায়কের নেতৃত্বে ভারতীয় রক্ষণ চূড়ান্ত ব্যর্থ। এলোমেলো পাসিং আর উদ্দেশ্যহীন ফুটবলে ভরা। বলার মতো খেললেন শুধু রহিম নবি। গোটা নব্বই মিনিট একাই লড়ে গেলেন। না হলে আরও লজ্জা অপেক্ষা করে ছিল ভারতীয়দের জন্য। |
রক্ষণের ব্যর্থতা যে স্ট্রাইকারদের দিয়ে ঢাকবেন, তারও উপায় নেই স্যাভিওর। সুনীল-জেজের অনুপস্থিতিতে যাঁরা খেললেন, তাঁরা আবার গোলকানা। দু’একটা যাও বা সুযোগ পেলেন, সেটাও হেলায় নষ্ট করলেন বলজিৎ সিংহ সাইনি আর সুশীল সিংহ। সবচেয়ে সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন বলজিৎ। ম্যাচের বয়স তখন ৭০ মিনিট। বিপক্ষ বক্সের একদম সামনে থেকে একটা হালকা ফুঁ দিলে যে বলটা গোলে ঢুকে যায়, সেটা এত জোরে মারলেন, উড়ে গেল আকাশে। একেই দলে জায়গা হয় না। নিজেদের প্রমাণ করার এত ভাল সুযোগ আর কবে পাবেন বলজিৎ-সুশীলরা? মঙ্গলবারের ম্যাচে সুনীল-জেজে জুটির অভাব হাড়ে হাড়ে টের পেল ভারত।
জাম্বিয়ার চাপে বেশির ভাগ সময়ই মাঝমাঠ বলে কিছু ছিল না ভারতের। যার সুযোগ নিয়ে ম্যাচ শুরুর পনেরো মিনিটের মধ্যেই প্রথম গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মুলিলো। এর পর বিরতির আগে পর্যন্ত কোনও রকমে জোড়া-তাপ্পি দিয়ে ঠেকিয়ে দিলেও দ্বিতীয়ার্ধে জাম্বিয়ার গতিময় ফুটবলের সামনে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল ভারত। মাত্র পনেরো মিনিটের ব্যবধানে আরও তিনটে গোল খেয়ে যান গৌরমাঙ্গি-মহেশ গাউলিরা। ম্যাচ শেষ হওয়ার ঠিক আগে আরও একটা গোল করে হ্যাটট্রিক সারলেন মুসাকনা। শুক্রবার থেকে নয়াদিল্লিতে শুরু হচ্ছে সাফ কাপ। তার আগে জাম্বিয়ার কাছে এত বড় ব্যবধানে হার একটা সতর্কবার্তা পাঠাল ভারতীয় দলের জন্য। যদিও গোয়া থেকে স্যাভিও ফোনে বললেন, “আমরা ভাল দলের কাছে হেরেছি। আশা করছি, এর প্রভাব সাফ কাপে পড়বে না।”
ভারত:
করণজিৎ, গৌরমাঙ্গি, নবি, মহেশ, সমীর, স্টিভন (ফ্রান্সিস), জুয়েল, বলদীপ (ক্লাইম্যাক্স), মিরান্দা, সুশীল (অ্যান্টনি), বলজিৎ (জোয়াকিম)। |