|
|
|
|
নালা ভরাট করে বিক্রি অভিযুক্ত ব্যবসায়ীরা |
পীযূষ সাহা • মালদহ |
শহরের জলনিকাশি নয়ানজুলিতে মাটি ফেলে ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে মালদহ শহরের কয়েক জন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের কয়েকজন কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ওই ব্যবসায়ীরা নয়ানজুলি ভরাট করে তার উপর দিয়ে রাস্তা তৈরি করে বিতর্কিত ৩ বিঘা জমি প্লট করে বিক্রি শুরু করেছেন। মালদহ শহর থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে পলিটেকনিক কলেজের ঠিক সামনে নয়ানজুলি ভরাটের কাজ চলছে। মালদহ মানিকচক রাজ্য সড়কের পাশে দিনের বেলায় ট্রাক করে মাটি এনে নয়ানজুলি ভরাটের কাজ চললেও জেলা প্রশাসন কিংবা জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের কেউ বাধা দেয়নি বলে অভিযোগ। বিনা বাধায় ইতিমধ্যে নয়ানজুলির প্রায় ১০০ মিটার এলাকা মাটি ফেলে ভরাট করে দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক খগেন্দ্রনাথ দিউ বলেন, “আপনার কাছ থেকেই প্রথম খবর পেলাম। আজই ওই এলাকায় দফতরের আধিকারিককে পাঠিয়ে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। যারা নয়ানজুলি ভরাট করছে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি ওই নয়ানজুলি ভরাটের পিছনে দফতরের কেউ যুক্ত থাকে তার বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
|
মালদহ থেকে মানিকচক রাজ্য সড়কের বাঁ পাশ ঘেঁষে গিয়েছে বিরাট নয়ানজুলি। ওই নয়ানজুলি দিয়ে আশপাশের এলাকার জলনিকাশি হয়। বিশেষ করে বর্ষার সময়ে ওই নয়ানজুলি আশেপাশে এলাকার বাসিন্দাদের জলবদ্ধতা থেকে রক্ষা করে। লক্ষ্মীপুর ও মালিওর গ্রামের বাসিন্দারা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “নয়ানজুলি যখন বোজানোর কাজ শুরু হয়েছিল তখনই আমরা বাধা দিয়েছিলাম। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। তার পরেও নয়ানজুলি ভরাট বন্ধ দূরের কথা, ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের কয়েকজন কর্মীকে ভরাটের কাজ তদারকি করতে দেখেছি।” পাশাপাশি নয়ানজুলি লাগোয়া জমির মালিকদের গুন্ডারা হুমকি দেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার দুপুরে এলাকায় গিয়ে দেখা গেল জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কর্মী ইমরানের উপস্থিতিতে নয়ানজুলি ভরাট চলছে। তাঁকে জিঙ্গাসা করতেই ইমরান বলেন, “মালদহ শহরের ১০-১২ ব্যবসায়ী এখানে জমি প্লট করে বিক্রি করছেন। আমি এর মধ্যে নেই। তবে দেখাশুনা করছি। এখন মাটি দিয়ে নয়ানজুলি ভরাট করা হলেও পরে হিউম পাইপ দিয়ে নয়ানজুলির জলনিকাশি ব্যবস্থা করা হবে।” তাঁর দাবি, এ দিনই মহকুমা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক ওই এলাকায় গিয়েছিলেন। মহকুমা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক নয়ানজুলিতে যে মাটি ফেলা হয়েছে তার রয়ালটি চেয়েছেন। এখানে প্রতি কাঠা জমি সাড়ে তিন লক্ষ টাকা থেকে দেড় লক্ষ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৮০ শতাংশ জমি প্লট করে বিক্রি হয়ে গিয়েছে।” মহকুমা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক প্রণব ঘোষ বলেন, “আজই ওই জায়গায় গিয়েছিলাম। সেখানে আমিও জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের কর্মী ইমরানকে দেখেছি। ওঁর সঙ্গে কথাও বলেছি। এটা ঠিক যে নয়নজুলি বেশ খানিকটা এলাকা মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। তবে বিডিও নয়ানজুলি ভরাট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।” |
|
|
|
|
|