উত্তরপাড়া থানার বারুজীবীতে পুলিশকে মারধরের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার রাতে কোন্নগরের কানাইপুর এলাকা থেকে ওই দুষ্কৃতীকে ধরা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম লোকনাথ দে। শ্রীরামপুরের এসডিপিও রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওই ঘটনায় যুক্ত অন্য দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” অন্য আরও একটি ঘটনায় লালদেও চৌধুরী ওরফে সরলা নামে এক দুষ্কৃতীকে পুলিশ কোন্নগরের চটকল লাইন এলাকা থেকে রবিবার রাতে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানায়, গত রবিবার দুপুরে কোন্নগরের কানাইপুর ফাঁড়ির দুই পুলিশ কর্মী বারুজীবী এলাকায় সাদা পোশাকে এক দুষ্কৃতীকে ধরতে যান। সেই সময় দুষ্কৃতীরা পুলিশকে মারধর করে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনার পরেই জেলা পুলিশের কর্তারা ঘটনাস্থলে যান। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন। কিন্তু দুষ্কৃতীরা তখনকার মত গা-ঢাকা দেয়। সোমবার রাতে পুলিশ এক জনকে গ্রেফতার করে। অন্য আর একটি ঘটনায় পুলিশের জালে ধৃত দুষ্কৃতী সরলা দীর্ঘদিন ধরেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, সরলা রিষড়া, নবগ্রাম ও বালিতে তিনটি খুনের ঘটনায় জড়িত। সে কুখ্যাত দুষ্কৃতী রমেশ মাহাতোর সাগরেদ। তার নামে অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে পুলিশের খাতায়। সে হুগলি এবং হাওড়ায় অপরাধমূলক কাজ করলেও তার আদি বাড়ি বারাণসী। অপরাধ করেই সে দেশের বাড়ির এলাকায় পালিয়ে যায়। ধৃত ওই দুষ্কৃতীকে পুলিশ শ্রীরামপুর মহকুমা আদালতে হাজির করে। আদালত তাকে ১০ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
|
অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা পেলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী। দফতরের কাজকর্ম তদারকি করতে মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ হিতেনবাবু আরামবাগের চাঁদুর ফরেস্টে পৌঁছন। রাতে বনবাংলোয় তাঁর থাকার ব্যবস্থা হয়। রাত পৌনে ১০টা নাগাদ আচমকা বাংলোয় আগুন ধরে যায়। খড়ের চালের ছাউনির মাটির বাড়ি নিমেষে দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। কোনওক্রমে মন্ত্রী ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। তাঁর কোনও আঘাত লাগেনি। বন দফতরের ডিভিশনাল অফিসার (হাওড়া) গৌতম চক্রবর্তী বলেন, “বাংলোয় দু’টি ঘর রয়েছে। একটি আমি ছিলাম। অন্যটিতে মন্ত্রী। হঠাৎ আলোর ঝলকানি চোখে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে দেখি বাংলোয় আগুন লেগে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আমি হিতেনবাবুকেও বের করে আনি।” খবর পেয়ে দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। গভীর রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিক ভাবে দমকলকর্মীরা জানান, বিদ্যুতের শট সার্কিটের ফলেই আগুন লাগে।
|
চিত্রসেনপুরের ভবানীপুর সঙ্গীতচক্রের পরিচালনায় সম্প্রতি আয়োজিত হল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গান এবং নৃত্য পরিবেশন করেন সঙ্গীতচক্রের সদস্যেরা। বহু বিশিষ্ট মানুষ হাজির ছিলেন।
|
চেক জালিয়াতি করে ধরা পড়ল যুবক। তাকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবার, বালিতে। ধৃত সুব্রত মাইতির বাড়ি বাগনানে। পুলিশ জানায়, সুব্রত সোমবার ফোন করে বালির বসুকাটির বাসিন্দা সুব্রত সাহা নামে এক ব্যক্তিকে মোটা টাকা ঋণ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে তাঁর থেকে ‘ক্যানসেল্ড’ ক্রস চেক নেয়। মঙ্গলবার চেক থেকে ‘ক্যানসেল্ড’ শব্দটি মুছে ব্যাঙ্কে জমা দেয়। টাকা দেওয়ার সময়ে ব্যাঙ্ককর্মীর সন্দেহ হলে তিনি চেক ফেরত দেন। তখনই ওই ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে যান বসুকাটির সুব্রতবাবু। তাঁকে দেখেই ওই যুবক পালাতে চেষ্টা করলে অন্যরা ধরে ফেলেন। |