তখন আমি দিনের বেলা আনন্দবাজার পত্রিকায় কাজ করি, আর সন্ধের সময় আমাদের নিজস্ব পত্রিকার দফতরে সম্পাদক সেজে বসি। তখন আমাদের পত্রিকাটি লিটল ম্যাগাজিনের অবয়ব ছেড়ে একটা পুরোদস্তুর মাসিক হওয়ার চেষ্টা করছে এবং প্রেসের মালিক গণেশচাঁদ দে’র সৌজন্যে বিনা পয়সায় একটা ঘর পেয়ে রীতিমতন দফতরও খোলা হয়েছে। একদিন দেখি, একটু দূরের একটা চেয়ারে একজন ব্যক্তি নিঃশব্দে বসে আছেন, অন্য লোকরা আসছে যাচ্ছে, কাজ ও স্বার্থের কথা বলছে, তিনি আসলে কিছুই বলছেন না।
তাঁর বয়স আমাদের তুলনায় অনেক বেশি। পুরোদস্তুর স্যুট পরা। মাথাটি কেশ-বিরল, তাঁর ঠোঁটের এক কোণে লেগে আছে একটুখানি সফিসটিকেটেড হাসি। এই সফিসটিকেটেড হাসি ব্যাপারটা বোঝানো শক্ত, সঞ্জীবচন্দ্র (বঙ্কিমচন্দ্রের দাদা) যে প্রসন্নতাব্যঞ্জক ওষ্ঠের কথা বলেছেন, ঠিক তা নয়, বিদ্রুপ বা সবজান্তা ভাব মোটেই নয়, কারওর কারওর ওই হাসিটি থাকে কথা না-বলার সময়। অন্য কেউ চেষ্টা করলেও ওই হাসি ফোটাতে পারে না। সত্যজিৎ রায়ের ওই হাসিটি ছিল, আর দেখেছি কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত ও চিত্রপরিচালক তপন সিংহের ওষ্ঠে। এক সময় আমি ওই ভদ্রলোকের
দিকে ভুরু নাচিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কিছু বলবেন?
তিনি একটা হাত একটু তুলে মৃদু গলায় বললেন, না, না, আমি কিছু লিখি না। কিছু ছাপাতেও আসিনি। শুধু দেখতে এসেছি। পত্রিকা অফিসে কেউ শুধু দেখতে আসে না। দেখার কী আছে? বরং এ রকম কারওর উপস্থিতিটাই অস্বস্তিকর।
|
দিলীপকুমার গুপ্ত |
আরও কিছু পরে যখন কাজকর্ম সেরে আমি উঠব উঠব করছি, তখন তিনি কাছে এসে বললেন, আমার নাম কল্যাণ চৌধুরী। অতি সাধারণ মানুষ। অন্য পরিচয় দেওয়ার মতো কিছুই নেই।
যাঁদের ঠোঁটে ওই রকম হাসি থাকে, তাঁরা কোনও ক্রমেই সাধারণ মানুষ হতে পারেন না। এঁর কথা শুনেও বোঝা গেল, তিনি রীতিমত শিক্ষিত এবং বিদগ্ধ ব্যক্তি।
তার পর তিনি বললেন, আমার একটাই অনুরোধ, আপনার তো কাজ শেষ। আপনি আমার সঙ্গে এক জায়গায় গিয়ে কিছু পানাহার করবেন?
অদ্ভুত প্রস্তাব! যাঁকে জীবনে প্রথম দেখছি, যাঁর সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না, তাঁর সঙ্গে আমি পানাহার করতে যাব কেন?
আমি খানিক উদ্ধত ভাবেই বললাম, না, আমার অন্য কাজ আছে। এর দু’তিন বাদে তিনি আবার এলেন। এবং ওই একই প্রস্তাব। এবং আমার প্রত্যাখ্যান।
আমার চরিত্রের একটা প্রধান দোষ। আমি তিন বারের বেশি না বলতে পারি না। চতুর্থ বারে মনে হল, দেখাই যাক না, একবার চুকিয়ে ফেলা যাক। তিনি আমাকে নিয়ে গেলেন গ্লোব সিনেমার অন্দরে একটা রেস্তোরাঁয়। সেখানে একটা টেবিলে আগে থেকেই বসে আছেন দুই ব্যক্তি। বেশ বৃদ্ধই বলা যায়। একজন হাত তুলে ডাকলেন, এই যে কল্যাণ...
কল্যাণ চৌধুরী তাঁদের সঙ্গে আমার আলাপ করিয়ে দিলেন। আমি শুনে বেশ বিস্মিতই হলাম যে, ওই দুই ব্যক্তিই আন্দামানে জেল খেটেছেন আঠাশ বছর। এক বার অনশন করেছিলেন একচল্লিশ দিন। কথায় কথায় ওঁরা জানালেন যে, কল্যাণ চৌধুরী মাঝে মাঝেই ওঁদের ডেকে এনে খাওয়ান। আন্দামানের অন্য বন্দিদের মধ্যেও যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁদেরও খুঁজে খুঁজে।
কয়েক দিন পর জানতে পারলাম যে, কল্যাণ চৌধুরীর এটাই বিচিত্র শখ। পরাধীন আমলে যাঁরা ফাঁসিতে প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদের স্ত্রী-পুত্রদের মধ্যে যাঁরা খুব অসহায় অবস্থায় আছেন, তাঁদের বেশ কয়েক জনকে নিয়মিত অর্থ সাহায্যও করেন তিনি। রাষ্ট্র যাদের জন্য কোনও সাহায্যের ব্যবস্থা করেনি, ভগৎ সিংহের পরিবারের কয়েক জনকেও তিনি মানি অর্ডারে টাকা পাঠান। বছরে একবার ওদের সবাইকে তিনি কলকাতায় ট্রেন ভাড়া দিয়ে এনে একটা উৎসব করেন।
এর মধ্যে কল্যাণ চৌধুরী আমার কল্যাণদা। তিনি চায়ের পেটির ব্যবসা করেন এবং ইংরেজি সাহিত্য থেকে মাঝে মাঝেই লাগসই উদ্ধৃতি দেন। তিনি কোনও প্রতিষ্ঠানের অন্তর্গত নন, কোনও রকম প্রচার চান না, শুধু নিজের শখে এই সব কাণ্ড করেন। তিনি সব সময় কথা বলেন নিচু গলায়, মাঝে মাঝে কুটুস কুটুস করে এক একটা রসিকতা করেন। বেশ রসে-বশে মানুষ।
এর মধ্যে আমরা বুধসন্ধ্যা নামে একটা ক্লাবের পরিকল্পনা করেছি। কিন্তু জায়গা পাওয়া যাবে কোথায়? কল্যাণদার থিয়েটার রোডের একটা বড় বাড়িতে একটা ফ্ল্যাট কিনে রাখা ছিল। মাঝে মাঝে তাঁর অতিথিরা এসে থাকেন সেখানে। কল্যাণদা সেই ফ্ল্যাটটা ছেড়ে দিলেন আমাদের। ও রকম ফ্ল্যাটের ভাড়া দেওয়ার সামর্থ্য আমাদের নেই। অন্তত বিদ্যুতের বিলটা আমরা দিতে চেয়েছিলাম। কল্যাণদা সেই মৃদু হাসি দিয়ে হাত নেড়েছিলেন। সেখানে আমাদের ‘মুক্তধারা’ নাটকের রিহার্সাল শুরু হল। কল্যাণদা অভিনয় করবেনই না, কোনও কমিটিতেও থাকবেন না। তবু রিহার্সালের সময় আমাদের জন্য নানা রকম খাদ্যদ্রব্য নিয়ে আসেন। এক সময় তিনি একজন গোয়ান কুককে ধরে এনে আমাদের এমন সব খাবার তৈরি করে খাওয়াতে লাগলেন, যে সবের আমরা নামও শুনিনি। আমি একদিন বলেছিলাম, কল্যাণদা, করছেন কী? এই সব খাবার খাইয়ে আমাদের অভ্যেস খারাপ করে দিচ্ছেন। কিন্তু উত্তরে তাঁর মুখে সেই মৃদু হাসি।
বুধসন্ধ্যার গোড়ার দিকে নাটকের বিভিন্ন ভূমিকায় রিহার্সাল দিতেন সাগরময় ঘোষ, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সমরেশ বসু, শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়, দিব্যেন্দু পালিত প্রমুখ আরও অনেকে। সংগীত পরিচালক সুবিনয় রায়। খুব নক্ষত্র সমাবেশ। একদিন কল্যাণদা সাগরদার কাছে গিয়ে বললেন, আপনার স্ত্রীর নাম কি আরতি? মানিকতলায় থাকতেন? সাগরদা বললেন, হ্যাঁ, তাই তো জানি, বিয়ের আগে মানিকতলায়। কল্যাণদা বললেন, আমিও তখন মানিকতলায় থাকতাম। সুন্দরী হিসেবে আরতিকে সবাই চিনত ওই অঞ্চলে। সাগরদা শেষ প্রৌঢ়ত্বের মুখে লাজুকতার দায় নিয়ে চুপ করে রইলেন। কল্যাণদা বললেন, আমার সঙ্গে আরতির ভালই পরিচয় ছিল। পাশাপশি বাড়ি তো, ছাদেও গল্প হত মাঝে মাঝে।
সম্পাদক সাগরময় ঘোষ আমার দিকে ফিরে নিচু গলায় বললেন, কী সুনীল, এতে কি একটা ছোট গল্প হতে পারে? না, উপন্যাস?
বুধসন্ধ্যার অনেক আগে আর একটা নাট্যদলের সঙ্গে আমি যুক্ত ছিলাম। কয়েক বছরের জন্য এই ‘হরবোলা’ দলটি বেশ নাম করেছিল। জানি না, নাট্যদলের ইতিহাসে হরবোলার নাম থাকবে কি না।
নাট্য পরিচালক ছিলেন কমলকুমার মজুমদার। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস ছিল প্রত্যেক অভিনেতা-অভিনেত্রীকে রিহার্সালের আগে গলা সাধতে হবে। গান গাইতে পারুক বা না পারুক। সেই জন্য আসতেন সন্তোষ রায়, যিনি ফৈয়াজ খানের সাক্ষাৎ শিষ্য। আর অন্য গানের জন্য কবি ও গায়ক জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র, যিনি আই পি টি টি-র উদ্বোধনী গান ‘এসো মুক্ত করো মুক্ত করো’র স্রষ্টা। আমরা বাচ্চা ছেলের মতো সন্তোষ রায়ের সামনে বসে সরগম লিখতাম আর জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র যাঁর ডাকনাম ছিল বটুকদা, তাঁর কাছে শিখতাম, ‘জয় তব বিচিত্র আনন্দ, হে কবি’। আমরা ‘লক্ষ্মণের শক্তিশেল’ ও ‘মুক্তধারা’ এই দুটি নাটক মুখস্থ করেছিলাম। এক একটা নাটকের রিহার্সাল হত প্রায় এক বছর ধরে। আসল আকর্ষণ ছিল রিহার্সাল। সেই রিহার্সালই আমার জীবনে খুব বড় প্রভাব ফেলেছে। কিছুক্ষণ রিহার্সাল, তার পরেই আড্ডা, তুমুল আড্ডা। কমলকুমার ছিলেন গল্পের খনি আর তাঁর সঙ্গে টক্কর দিতেন বটুকদা। আর কখনও প্রসঙ্গ উঠলে উচ্চাঙ্গ সংগীত শিল্পীদের জীবনের মজার মজার কাহিনি শোনাতেন সন্তোষদা। আর সাহিত্য বিষয়ে গালগল্প শুরু হলে সেখানে ঢুকে পড়তেন দিলীপকুমার গুপ্ত। যিনি ডি কে নামেই অনেকের কাছে পরিচিত।
আমাদের এই নাট্যদলটির মেরুদণ্ড ছিলেন এই ডি কে। তিনি ডি জে কিমার নামে একটি বিলিতি প্রচার সংস্থার ম্যানেজার। সেখানে তিনি সত্যজিৎ রায়কে চাকরি দিয়েছিলেন। অন্য দিকে, তিনি তখনকার দিনের সবচেয়ে বিখ্যাত প্রকাশন সংস্থা সিগনেট প্রেসের কর্ণধার। তিনি বাংলা প্রকাশন জগতে আমূল পরিবর্তন এনে দিয়েছিলেন। মলাট, ছাপা, কাগজ নির্বাচন, বাঁধাই এমনকী পুস্তানি পর্যন্ত সব দিকে ছিল তাঁর তীক্ষ্ন দৃষ্টি। জ্ঞানও ছিল নিশ্চয়ই, নইলে অন্যরা তাঁর কথা মেনে নেবেই বা কেন। আর প্রতি বছরই সর্বভারতীয় মুদ্রণ শিল্প প্রতিযোগিতায় সিগনেট প্রেস জিতে আনত অনেকগুলি পুরস্কার।
ডি কে ছিলেন খুবই ব্যস্ত মানুষ। ডি জে কিমার এবং সিগনেট প্রেস দুটিই তখন সাফল্যের তুঙ্গে। শুনেছি, এক একদিন তিনি রাত দুটো পর্যন্ত কাজ করে তার পর স্নান করে খেতে বসতেন। অথচ প্রতি শনি রবিবার নাটকের রিহার্সালের সময় তিনি অন্য সব কাজ ভুলে গ্যাঁট হয়ে বসে থাকতেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তিনি উচ্চশিক্ষিত মানুষ। শুনেছি তাঁর প্রাইভেট টিউটর ছিলেন বুদ্ধদেব বসু ও অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত। বিদেশি সাহিত্যেও তাঁর অগাধ জ্ঞান। ওই আড্ডাতেই আমি প্রথম ফ্রানৎস কাফকার নাম শুনি। ডি কে শুনিয়েছিলেন সম্পূর্ণ মেটামরফসিস গল্পটি।
সন্ধে ছ’টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত চলত এই রিহার্সাল ও আড্ডা। এর মধ্যে বারে বারে আসত সুদৃশ্য কাপে চা। প্রচুর নোনতা ও মিষ্টি খাদ্যদ্রব্য। ডি কে নিজে সারা কলকাতা ঘুরে ঘুরে এক একদিন একটি দোকান থেকে মিষ্টি কিনে আনতেন এবং তার গুণাগুণ বর্ণনা করতেন। এই আড্ডায় ধূমপান নিষিদ্ধ ছিল না। তখনকার দিনে পঞ্চাশটি গোল্ড ফ্লেক সিগারেটের টিন পাওয়া যেত। সে রকম দু’তিনটে টিন ছড়ানো থাকত আসরের মাঝখানে। আমি তখনও ধূমপান শুরু করিনি। আমার বন্ধুরা কেউ কেউ একটার বদলে পাঁচ ছটা তুলে নিত। এই নাটকে ডি কে-র কোনও ভূমিকা নেই। কোথাও তাঁর নাম থাকবে না। তবু তাঁর প্রবল উৎসাহ। আড্ডার শেষে যাদের বাড়ি হাওড়ায় কিংবা দূরে তাদের প্রত্যেককে তিনি দিয়ে দিতেন ট্যাক্সিভাড়া। কমলকুমারও আমাদের কয়েক জনকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে পৌঁছে দিতেন শ্যামবাজার। মাঝে মাঝে তিনি সন্তোষদা, বটুকদা, কমলদার পকেটে গোপনে এক একটা খাম ভরে দিতেন। তাতে কী থাকত আমাদের জানার কথা নয়।
এলগিন রোডে, ওঁদের বাড়ির সামনে ছিল অনেকটা মাঠ, সেখানে এক ডেকরেটর মঞ্চ বেঁধে দিয়েছিলেন। শেষের দিকে প্রায় এক মাস আমরা সেই মঞ্চে রিহার্সাল দিয়েছি। তার পর চার দিন ধরে প্রচুর ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে মঞ্চস্থ হয়েছিল নাটক। তখন বুঝিনি, এখন বুঝতে পারি, প্রচুর খরচ করেছিলেন ডি কে।
তিনি ছিলেন সেই ধরনের মানুষ, যাঁরা নতুন কিছু উদ্ভাবনায় যতটা উৎসাহী, তার লাভক্ষতির দিকটা চিন্তাও করেন না। সিগনেট প্রেসের সাফল্য যখন তুঙ্গে, তখনই তার পতনও শুরু হয়ে যায়।
বাংলা কবিতাকে প্রকাশনা জগতে ডি কে-ই প্রথম সম্মানের আসনে প্রতিষ্ঠিত করছিলেন। শুধু জীবনানন্দ, সুধীন্দ্রনাথই তো নয়, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ও নরেশ গুহ-র মতো তরুণ কবির বইও প্রকাশ করতেন। তখন অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তর পরমপুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণ অতিশয় বেস্ট সেলার। যেমন সুন্দর ছাপা তেমন সুন্দর শ্বেতচন্দন মাখা প্রচ্ছদ। চার টাকা দাম। বিজ্ঞাপনে দেওয়া হল যে এক বছরে ছিয়ানব্বই হাজার কবি বিক্রি হয়েছে।
ডি কে-র শ্যালক বুড্ঢা যে হেতু আমার বিশেষ বন্ধু, তাই আমি ওদের কিছু কিছু ভেতরের কথা জানতাম। শুনেছিলাম, চার টাকা দামের ওই বইয়ের প্রোডাকশন কস্ট সাড়ে পাঁচ টাকা। অর্থাৎ যত বেশি বিক্রি হবে তত বেশি ক্ষতি। সুধীন্দ্রনাথ দত্তের প্রবন্ধ সংগ্রহ পাঠকরা ছুঁতেও ভয় পায়।এই দু’জন মানুষের কথা লিখতে ইচ্ছে হল একটাই কারণে। এঁরা কেউ কিন্তু জমিদার বা বড় ব্যবসায়ীর মতো ধনী ছিলেন না। উচ্চ মধ্যবিত্ত বলা যায়। ডি কে তো শেষ পর্যন্ত বিষয়সম্পত্তি কিছুই রেখে যাননি শুনেছি। এখনও তো বাঙালিদের মধ্যে ওঁদের তুলনায় কিছু ধনী ব্যক্তি আছেন নিশ্চয়ই। তাঁদের কেউ কেউ কি নেহাত শখে কিংবা খেয়ালিপনায় অল্প বয়সি কবি শিল্পী, নাট্যদলের সঙ্গে মিশে অকাতরে অকারণে অর্থ ব্যয় করতে পারেন না? না কি যুগের হাওয়াই এখন অন্য রকম? |