১৬৫ দিন পরে বাড়ি ফিরলেন কানিমোঝি |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি ও চেন্নাই |
জামিনে মুক্তি পেলেও এখনও চেন্নাইয়ে ফিরতে দেরি আছে ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝির। টু-জি মামলার শুনানির জন্যই তাঁকে থাকতে হবে দিল্লিতে। কানিমোঝির জন্য চেন্নাইয়ে বিপুল অভ্যর্থনার আয়োজন করেছে ডিএমকে। কিন্তু, ৩ ডিসেম্বরের আগে সেই অভ্যর্থনা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই তাঁর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ১৬৫ দিন জেলে থাকার পরে মুক্তি পান কানিমোঝি। তিহাড়ের বাইরে তখন রীতিমতো ভিড় জমিয়েছেন প্রচারমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। প্রচারমাধ্যমকে এড়িয়ে অন্য একটি দরজা দিয়ে বাড়ির পথে রওনা হয়ে যায় ডিএমকে নেত্রীর কনভয়। কানিমোঝির মুক্তির জন্য আনুষ্ঠানিক অনুমতি অবশ্য অনেক আগেই দিয়েছিল আদালত। কানিমোঝির জামিনদার হিসেবে হাজির হন ডিএমকে সংসদীয় দলের নেতা টি আর বালু এবং সাংসদ এ কে এস বিজয়ন। সন্ধ্যায় জেল থেকে শেষ দফার প্রক্রিয়া সেরে বাড়ির পথে রওনা দেন তিনি। দিল্লির বাড়িতেও তখন ভিড় পরিজন, কর্মী-সমর্থকদের। গাড়ি থেকে নেমে প্রচারমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি কানিমোঝি। সোজা চলে যান বাড়ির ভিতরে। বাইরে সমর্থকরা বাজি পোড়ান। |
|
তিহাড় জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে নিজের বাড়িতে কানিমোঝি। মঙ্গলবার। ছবি: পি টি আই |
টু-জি মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে আগামি তিন দিন দিল্লিতে থাকতে হবে ডিএমকে নেত্রীকে। তাঁর বাবা ও ডিএমকে প্রধান করুণানিধি অবশ্য মুক্তির খবর শুনেই উচ্ছ্বসিত। ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চেন্নাইয়ে থেকে ফের দিল্লিতে ফিরে আসবেন কানিমোঝি। টু-জি মামলার শুনানিতে ফের হাজিরা দিতে হবে তাঁকে।
কানিমোঝির এক দিন পরে টু-জি মামলায় জামিন পেলেন সোয়ান টেলিকম প্রোমোটার শাহিদ উসমান বালওয়া। আজ তাঁকে মুক্তি দিয়েছে দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালত।
টু-জি মামলায় ২৩ নভেম্বর পাঁচ কর্পোরেট কর্তাকে জামিনে মুক্তি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার কানিমোঝি সহ আরও পাঁচ অভিযুক্তকে মুক্তি দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। আজ সিবিআই বিশেষ আদালতকে জানিয়ে দেয়, তারা শাহিদ উসমান বালওয়ার জামিনের বিরোধিতা করবে না। এর পরে ১০ লক্ষ টাকার জামিনদারের বিনিময়ে শাহিদ বালওয়াকে জামিনে মুক্তি দেয় আদালত। আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশে যেতে পারবেন না তিনি। |
|