|
|
|
|
নিম্ন আদালতের নিরপেক্ষতা, সিবিআইয়ের প্রশ্নে ক্ষুব্ধ শীর্ষ আদালত |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
সোহরাবুদ্দিন শেখ হত্যা-তদন্তে গুজরাতের নিম্ন আদালতের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সিবিআইকে ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, বিচারব্যবস্থা নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এমন বক্তব্য ‘অর্থহীন’ এবং ‘নিন্দনীয়’।
সম্প্রতি এই হত্যা-মামলার প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে ধৃত বিজেপি নেতা তথা নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী অমিত শাহের জামিন মঞ্জুর করে গুজরাত হাইকোর্ট। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন করার সময়েই সিবিআই তাদের চার্জশিটে উল্লেখ করে, মামলাটি গুজরাতের নিম্ন আদালতের আওতায় থাকলে বিচার কতটা নিরপেক্ষ হবে, তা নিয়ে তাদের সন্দেহ রয়েছে। মামলাটি অন্য কোনও রাজ্যে পাঠানোর আর্জি জানায় তারা। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টে পাল্টা একটি আবেদন পেশ করে সিবিআইয়ের ‘আশঙ্কা’র বিরুদ্ধে সরব হয় নরেন্দ্র মোদী সরকার। উড়িয়ে দেয় স্পর্শকাতর এই মামলায় ‘রাজনৈতিক প্রভাব’-এর অভিযোগ। এ দিন সিবিআইয়ের আবেদনের শুনানিতে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি আফতাব আলম এবং বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাইয়ের বেঞ্চ কড়া সুরে জানায়, গোয়েন্দা সংস্থার এই অভিযোগ আদালতের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে। তাই কোন যুক্তিতে সিবিআই বিচার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনছে, সেটা তারা স্পষ্ট করুক। একই সঙ্গে সিবিআই জানাক, নিম্ন আদালতের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তারা তুলে নেবে, না সেগুলি থেকেই যাবে। সিবিআইয়ের আইনজীবী, অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল বিবেক তঙ্খ অবশ্য আদালতকে জানিয়েছেন, ওই অভিযোগগুলি যাতে সরিয়ে নেওয়া হয়, তার জন্য আবেদন করবেন তিনি।
২০০৫-এর ২৬ নভেম্বর গুজরাতের সন্ত্রাসদমন শাখার পুলিশের গুলিতে নিহত হন সোহরাবুদ্দিন শেখ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানায়, সোহরাবুদ্দিন লস্কর-ই-তইবা ঘনিষ্ঠ এক জঙ্গি এবং সে পুলিশের হাত থেকে পালাতে যাওয়ার সময়েই গুলিতে নিহত হয়। যদিও পরে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ রিপোর্টে বলা হয়, সোহরাবুদ্দিনের গায়ে জঙ্গি তকমা লাগিয়ে তাঁকে ভুয়ো সংঘর্ষে হত্যা করা হয়েছে। আদালতেও এই মর্মে মামলা করেন সোহরাবুদ্দিনের ভাই। তদন্তের ভার দেওয়া হয় সিবিআইয়ের হাতে।
গত বছর জুলাইয়ে গুজরাতের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ভুয়ো সংঘর্ষ ও হত্যার ঘটনার প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সিবিআইয়ের দাবি ছিল, গুজরাতে মামলা চললে ‘সুবিধা’ পাবেন অমিত। শীর্ষ আদালত যদিও জানিয়েছে, রাজ্য প্রশাসন কোনও বিশেষ অভিযুক্তকে আড়াল করছে না, এমন ভাবনা নিয়েই মামলা এগোতে হবে। |
|
|
|
|
|