|
|
|
|
|
রাজধানী, শতাব্দী দেরিকরলে বিনামূল্যে খাবার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
|
কুয়াশায় ট্রেন সময়মতো চলছে না। কখনও কখনও গন্তব্যে পৌঁছতে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত দেরি হয়ে যাচ্ছে। ট্রেনের প্যান্ট্রিকার অতিরিক্ত খাবার মজুত না-রাখায় যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ছেন। কোনও কোনও ট্রেনে যাত্রী-বিক্ষোভও হয়েছে। এই অবস্থায় সব রাজধানী এক্সপ্রেসে প্রয়োজনে অতিরিক্ত খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করছে রেল। শতাব্দী এবং উত্তর ভারতগামী দুরন্ত এক্সপ্রেসের জন্যও একই ব্যবস্থা হচ্ছে। ট্রেন দেরিতে চললে বিলম্বের সময়ে যাত্রীদের বিনামূল্যে সেই খাবার সরবরাহ করতে হবে। রেল সূত্রে বলা হয়, স্বাভাবিক যাত্রাকালে খাবার সরবরাহের জন্য ওই সব ট্রেনের টিকিটের সঙ্গেই দাম ধরা থাকে।
কিন্তু যে-সব ট্রেনের টিকিটের সঙ্গে খাবারের দাম ধরা থাকে না, সেগুলির ক্ষেত্রে কী হবে? রেল সূত্রে বলা হয়, রাজধানী, দুরন্ত ও শতাব্দী এক্সপ্রেস ছাড়া অন্য ট্রেনে যাত্রীরা যাতে খাবার কিনে খেতে পারেন, প্রয়োজনে তারও ব্যবস্থা করা হবে। দেরিতে চলা ট্রেনের যাত্রীদের খাবার দেওয়ার যথাযথ ব্যবস্থা করা হচ্ছে কি না, তার তদারকির জন্য একটি মনিটরিং কমিটিও গড়ে দিয়েছে রেল। ওই কমিটির সদস্যেরা বিভিন্ন সময়ে দেরিতে চলা ট্রেনগুলিতে হানা দেবেন। যাত্রীদের সুবিধা-অসুবিধা খতিয়ে দেখবেন। নির্দিষ্ট পরিমাণে উপযুক্ত মানের খাবার দেওয়া হচ্ছে কি না, তা-ও যাচাই করা হবে।
যাত্রীদের খাবার পরিবেশন ঠিকমতো হচ্ছে কি না, তা দেখতে দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব রেলে ইতিমধ্যেই একটি করে কমিটি গড়া হয়েছে। বড় বড় ট্রেনে যাত্রীদের জন্য খাবারের কী ব্যবস্থা হচ্ছে, ওই কমিটির সদস্যেরা তা দেখতে শুরু করেছেন। সব ট্রেনে এখনও রেলের নিজস্ব খাবার তৈরি ও পরিবেশন ব্যবস্থা চালু হয়নি। বেশ কয়েকটি ট্রেনে এখনও বেসরকারি কেটারিং সংস্থাই খাবার সরবরাহ করে। তার মধ্যে শিয়ালদহ রাজধানী এক্সপ্রেসও রয়েছে। ওই সংস্থাকেও জানানো হয়েছে, কুয়াশায় ট্রেন দেরি করলে যথাসময়ে নির্দিষ্ট মানের খাবার পাওয়ার জন্য যাত্রীদের যাতে ঝামেলায় পড়তে না-হয়, সে-দিকে নজর রাখতে হবে। |
|
|
|
|
|