টুকরো খবর |
ধর্না শেষ আতাউরের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
বরাক উপত্যকায় বেহাল সড়ক অবিলম্বে সংস্কারের দাবিতে এআইডিইউএফ বিধায়ক আতাউর রহমান মাঝারভুইয়াঁর পাঁচদিনের অবস্থান ধর্মঘট কাল শেষ হয়েছে। নিজের নির্বাচন কেন্দ্র টিকরপাড়ায় গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে আতাউর শুরু করেছিলেন তাঁর প্রতিবাদী এই একক আন্দোলন। তবে গোড়া থেকেই তিনি এই আন্দোলনকে নিছক নিজের দলের কর্মসূচির সীমাবদ্ধতায় বেঁধে রাখেননি। সমগ্র বরাকবাসী তথা ত্রিপুরা, মিজোরাম ও মণিপুরবাসীর স্বার্থেই তাঁর এই আন্দোলন, এ কথা বোঝাতে তিনি এই অবস্থান ধর্মঘটকে অরাজনৈতিক চেহারা দেওয়ার চেষ্টা করে গিয়েছেন। তিনি কখনও গিয়েছেন কংগ্রেস অফিসে, কখনও বিজেপি সাংসদের বাড়িতে। কথা বলেছেন প্রতিবেশী রাজ্যগুলির নেতাদের সঙ্গেও। আতাউরের ধর্না চলাকালীন কোনও সরকারি প্রতিনিধি তাঁর সঙ্গে কথা বলতে না এলেও এই বিধায়কের পাশে বসে তাঁর প্রতি সমর্থন জানিয়ে গিয়েছেন বরাক উপত্যকার বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষ। এসেছিলেন অন্য রাজ্যের মানুষও। অগপ তাঁর এই আন্দোলনের প্রতি আগেই সমর্থন জানিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের করিমগঞ্জ জেলা সভাপতি অমরেশ রায়ও একদিন তাঁর পাশে বসেন। অবস্থান ধর্মঘটের শেষ দিনে আতাউর দাবি করেন, সাধারণ মানুষ এক বাক্যে তাঁর এই আন্দোলকে সমর্থন জানিয়েছেন। আগামী শীতকালীন অধিবেশনে সড়ক সংস্কারের দাবিতে বিধানসভার সামনে ধর্নায় বসার জন্য সব দলের বিধায়কদের প্রতিই আবেদন জানান আতাউর। সড়ক ও সেতুর সংস্কার ছাড়াও আতাউরের দাবির মধ্যে রয়েছে লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ প্রকল্প, ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের কাজ দ্রুত শেষ করা এবং হারাঙ্গাজাও-তুরুক-জাগী রোড-গুয়াহাটি বিকল্প সড়ক নির্মাণ।
|
বিমা-কর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত অর্থ মন্ত্রকের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নি নিয়ে বিরোধীরা যখন ‘গেল, গেল’ রব তুলেছে, তখন বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও রকম বেনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না বলে বার্তা দিল অর্থ মন্ত্রক। বিমা ক্ষেত্রে বিদেশি লগ্নির অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে বিমা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইআরডিএ)-র শীর্ষ কর্তার বিরুদ্ধে অর্থ মন্ত্রক তদন্ত শুরু করেছে। আইআরডিএ-র চেয়ারম্যান জে হরি নারায়ণের বিরুদ্ধে অভিযোগ, চলতি বছরের মার্চে বার্কশায়ার নামের একটি বিদেশি সংস্থাকে তিনি নিয়মনীতি শিথিল করে ১০০ শতাংশ বিদেশি লগ্নির অনুমোদন দেন। আবেদনের পাঁচ দিনের মধ্যেই অনুমতি মিলে যায়। যেখানে এই ধরনের লাইসেন্স পেতেই ৬ থেকে ১২ মাস সময় লাগে। অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, প্রয়োজনে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। আইএএস হরি নারায়ণ দিল্লিতেও দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। অন্ধ্রের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডি তাঁকে মুখ্য সচিবের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। অবসর পর্যন্ত সেই পদেই ছিলেন তিনি। অর্থ মন্ত্রকের বক্তব্য, এ হেন ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে সরকার বোঝাতে চাইছে, বিদেশি লগ্নির অনুমতি দেওয়া হলেও কোনও বেনিয়মের সঙ্গে আপস করা হবে না।
|
উদ্বাস্তু হেনস্থা বন্ধের আশ্বাস মনমোহনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
বাঙালি উদ্বাস্তুদের হেনস্থা বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। আজ এ বিষয়ে সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাট মনমোহনের সঙ্গে কথা বলেন। বাঙালি উদ্বাস্তুদের একটি গোষ্ঠী দিল্লির যন্তরমন্তরে অনশনে বসেছে। তাঁদের অভিযোগ, তাঁদের সন্তানদের জন্ম এ দেশেই। তা সত্বেও তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে না। উল্টে জোর করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এ জন্য নাগরিক আইন সংশোধন করার দাবি জানান বৃন্দা। তিনি মনমোহনকে মনে করিয়ে দেন, এনডিএ আমলে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা থাকাকালীন মনমোহন সিংহই এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। বিষয়টি ‘ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ও সহৃদয়ে’ বিবেচনার জন্য তিনিই সরকারের কাছে দাবি তুলেছিলেন। বৃন্দা জানান, প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি তাঁর দফতরের প্রতিমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামীকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলবেন।
|
দুই ত্রিপুরী জঙ্গি গ্রেফতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
রাজ্যের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন এনএলএফটি (বিশ্বমোহন)-এর দুই সদস্য ধরা পড়ল পশ্চিম ত্রিপুরার সিধাই থানা এলাকা থেকে। বিএসএফ জওয়ানরা টহল দেওয়ার সময় খোয়াই সংলগ্ন বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় থেকে এই দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। বছর কুড়ির পিন্টু দেববর্মা ও জয়রাম ত্রিপুরাকে পরে সিধাই থানার ওসি সুব্রত চক্রবর্তীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। ধৃত দু’জনকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, ধৃতরা এনএলএফটি-র সদস্য। ২০০৭ সাল থেকেই তারা ওই সংগঠনের হয়ে কাজকর্ম করছে। পিন্টু চম্পাহরের বাসিন্দা এবং জয়রাম বাড়ি গণ্ডাছড়ায়। খোয়াই সংলগ্ন বাংলাদেশের নিরালাপুঞ্জি শিবির থেকে ওই দু’জন ত্রিপুরায় ঢোকে। বিএসএফ অনুপ্রবেশকারী হিসেবেই গ্রেফতার করে তাদের সিধাই থানায় নিয়ে আসে। |
দিল্লিতে সক্রিয় মাওবাদীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
শুধু পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহল বা ছত্তীসগঢ় নয়, রাজধানী দিল্লিতেও মাওবাদীরা যথেষ্ট সক্রিয় বলে জানাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। মন্ত্রকের বক্তব্য, সিপিআই (মাওবাদী) সংগঠন তাদের দিল্লি শহর কমিটির মাধ্যমে কাজ করছে। আছে মাওবাদীদের বিভিন্ন প্রকাশ্য সংগঠনও। তাদের উপর নজর রাখছে মন্ত্রক। সরকারি খতিয়ান অনুযায়ী, দিল্লিতে মাওবাদীদের যে সব প্রকাশ্য সংগঠন সক্রিয় আছে, সেগুলো হল রেভলিউশনারি ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট, রাজনৈতিক বন্দি মুক্তি কমিটি, পিপল্স ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিডিএফআই) এবং ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্ট্স ইউনিয়ন। চলতি বছরে ছত্তীসগঢ়ের এক মহিলা মাওবাদী সমর্থককেও গ্রেফতার করা হয়েছে দিল্লি থেকে। এ ছাড়া সিপিএমএল-নিউ ডেমোক্র্যাসি এবং সিপিএমএল-লিবারেশনের মতো অতি বাম সংগঠনও দিল্লিতে কাজ করছে। তবে হামলা চালানোর জন্য রাজধানীতে মাওবাদীদের কোনও ‘স্লিপার সেল’ থাকার খবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে নেই বলে জানানো হয়েছে।
|
পঞ্চায়েত অফিসে আগুন মাওবাদীদের |
সংবাদসংস্থা • নাগপুর |
গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসে আগুন ধরিয়ে দিল এক দল মাওবাদী। গত কাল রাতে মহারাষ্ট্রের গড়ছিরৌলি জেলার আরমোরি অঞ্চলের ভৈরাগড়ে এই ঘটনা ঘটে। মাওবাদীরা ওই অফিসের তিনটি কম্পিউটারও নিয়ে যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। এর আগে গত শনিবার মালেওয়াড়ার কুরখেদা অঞ্চলেও একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল মাওবাদীরা।
|
শিশু অপহরণে যাবজ্জীবন |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
সাত বছর আগে এক শিশুকে অপহরণের দায়ে যাবজ্জীবন দিয়েছে দিল্লির এক আদালত। অপহরণকারীকে এই সাজা দিয়ে কোর্ট বলেছে, ভারতের মতো এত উন্নয়নশীল দেশ তার শিশুদের যত্ন নিতে পারে না। ছ’বছরের ছেলে আকাশকে ২০০৪-এ অপহরণ করে বীরেন্দ্র। অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সুধীরকুমার জৈন বলেন, “ভারতে প্রতি বছর ৪০ হাজার শিশু হারিয়ে যায়। যার মধ্যে ১১ হাজার শিশুর খোঁজ মেলে না।”
|
খাদে জিপ, জখম ৭ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
অমরপুর-কাসকো রোড সংলগ্ন গভীর খাদে গত কাল একটি জিপ পড়ে যাওয়ায় ৭ জন যাত্রী গুরুতর জখম হয়েছেন। দুর্ঘটনাস্থলটি দক্ষিণ ত্রিপুরার বীরগঞ্জ থানা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে। একজনের অবস্থা গুরুতর। তাঁকে আগরতলার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাকিদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
|
তামিলনাড়ু নিয়ে উষ্মা সুপ্রিম কোর্টের |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
তামিলনাড়ুতে আদৌ আইনের শাসন আছে কি, প্রশ্ন তুলল খোদ সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি ১৫ হাজার পঞ্চায়েত কর্মীকে ছাঁটাই করেছে তামিলনাড়ু সরকার। সে প্রসঙ্গে দুই বিচারপতি ডি কে জৈন এবং এ আর দাভেকে নিয়ে গঠিত বিশেষ বেঞ্চ বলেছে, “তামিলনাড়ুতে হচ্ছেটা কী? ওখানে কি আইনকানুন বলে কিছু আছে?” ছাঁটাই কর্মীরা সকলেই পূর্বতন ডিএমকে সরকারের সময়ে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, রাজ্যে প্রতিবার সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই বিপদে পড়ে যান কর্মীরা।
|
|