|
|
|
|
সেক্টর ফাইভ |
অল্প দামে আর জল দেবে না পুরসভা |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
ফেলো কড়ি, মাখো তেল।
দাম না বাড়ালে স্বল্প দামে পাঁচ নম্বর সেক্টরে আর কলকাতা পুরসভা বাড়তি জল সরবরাহ করবে না। মঙ্গলবার সল্টলেকে কেএমডিএ-র সদর দফতর উন্নয়ন ভবনে এসে এ কথাই জানালেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। নবদিগন্ত যে দফতরের অধীন সেই নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমেরও একই মত।
বাম আমলে ঠিক হয়েছিল কলকাতা পুরসভা থেকে ৪ টাকা প্রতি কিলোলিটারে জল কিনবে পাঁচ নম্বর সেক্টরের প্রশাসনিক সংস্থা নবদিগন্ত। ওই দামেই নবদিগন্তর কাছ থেকে জল কিনে তা ২৪ টাকা প্রতি কিলোলিটার দরে পাঁচ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির কাছে তা পানীয় এবং অন্যান্য ব্যবহারের জন্য বিক্রি করবে বেসরকারি সংস্থা জুসকো।
মেয়র এ দিন বলেন, “কলকাতা পুরসভার জল তৈরির একটা খরচ রয়েছে। আগের সরকার যখন পাঁচ নম্বর সেক্টরে ভূ-পৃষ্ঠের জল দেওয়ার জন্য ওই বেসরকারি সংস্থাকে ডেকেছিল, তখন জলের দর নিয়ে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে কোনও চুক্তি করেনি। ফলে আমি নবদিগন্তর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ নই। বিধাননগর, দমদম কিংবা দক্ষিণ দমদমের সঙ্গে চার টাকা প্রতি কিলোলিটারে জল দিতে আমরা চুক্তিবদ্ধ। কিন্তু পাঁচ নম্বর সেক্টরে একটি সংস্থা সস্তায় কলকাতা পুরসভা থেকে জল কিনে তা চড়া দামে বিক্রি করবে, তা হবে না।” ১৬ টাকা প্রতি কিলোলিটার দর না দিলে পাঁচ নম্বর সেক্টরের জন্য কলকাতা পুরসভা জল দেবে না বলে মেয়র সাফ জানিয়েছেন।
বামফ্রন্টের মতো তৃণমূল পরিচালিত সরকার সব ক্ষেত্রে যে ভর্তুকির পথে হাঁটবে না, তার ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু আগের চুক্তিকে গুরুত্ব দিতে হলে নবদিগন্তকে ওই বেসরকারি সংস্থাকে জল তৈরির জন্য ভর্তুকি দিতেই হবে।
পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “ওই বেসরকারি সংস্থা এবং নবদিগন্তকে নিয়ে নগরোন্নয়ন দফতর আলোচনায় বসে বিষয়টির সমাধান করবে।
আগের সরকার তো কলকাতা পুরসভার সঙ্গে জলের দর নিয়ে কোনও চুক্তিই করেনি।”
নবদিগন্ত সূত্রে খবর, পাঁচ নম্বর সেক্টরে টালা-পলতার জলের প্রতিদিনের চাহিদা রয়েছে ১৫ লক্ষ গ্যালন। কিন্তু এই জটিলতার জেরে ব্যাপক হারে মাটির নীচের জলই সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে নবদিগন্ত কর্তৃপক্ষও চাইছেন দ্রুত রাজ্য সরকার বিষয়টির নিস্পত্তি করুক। |
|
|
|
|
|