ফেরারি-র মাইলেজ কত? একটি হিন্দি সিরিয়ালে ফেরারি-র চালকের আসনে বসা ব্যক্তি স্ত্রীর প্রশ্ন শুনে হকচকিয়ে গিয়েছিলেন। অবিশ্বাস্য গতিই যে-গাড়ির পরিচয়, তার মাইলেজ নিয়ে মাথা ঘামায় কে!
টিভি-র পর্দার চিত্রনাট্য বাস্তবেরই প্রতিফলন। গাড়ি কেনার আগে ক্রেতার মনেও এখন এই প্রশ্নটাই বেশি করে উঠে আসছে। কারণ নিয়ন্ত্রণ ওঠার পর বেড়েছে পেট্রোলের দাম। তাই লিটার পিছু দৌড় বাড়ানোর উপর জোর দিচ্ছে গাড়ি সংস্থাগুলিও। এই তালিকায় নবতম সংযোজন নতুন টাটা সুমো গোল্ড।
বস্তুত, পেট্রোলের দামে নিয়ন্ত্রণ ওঠার পর বদলে গিয়েছে দেশের গাড়ি শিল্পের বৈশিষ্ট্য। ডিজেল গাড়ির দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতা। যদিও বেড়েছে তার দামও। বাড়ছে সিএনজি বা এলপিজি চালিত গাড়ির ব্যবহার। চড়া সুদও বেহাল করেছে শিল্পকে। ‘ডাউনপেমেন্ট’ কমিয়ে বা ঋণের অঙ্ক বাড়িয়েও ক্রেতা টানা যাচ্ছে না। কারণ গাড়ি কিনলেই তো শুধু হবে না, সেটি চালানোর খরচও অত্যধিক এবং তা ক্রমশ বাড়ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, চট করে ইঞ্জিন বদল অসম্ভব। কিন্তু নিরাপত্তা বিধি মেনে গাড়ির ওজন একটু কমিয়ে, নকশা বদলে মাইলেজ বাড়ানো যায়। মারুতি-র এক কর্তা শশাঙ্ক শ্রীবাস্তবের মতে, জ্বালানির দাম আরও বাড়বে। ফলে ইঞ্জিনের দক্ষতা বা মাইলেজ বাড়ানোয় জোর দিতে হবে। বিশেষত ছোট গাড়ির ক্ষেত্রে তা জরুরি।
বাজারের এই চাহিদা মেনেই মারুতি সুজুকি এনেছিল ওয়াগন-আর, এস্টিলো। যেমন শেভ্রোলে এনেছে ডিজেল চালিত বিট। টাটা মোটরস-এর দাবি, নয়া ন্যানো -র মাইলেজ আগের (লিটারে ২৩.৬ কিমি) চেয়ে বেড়ে হচ্ছে ২৫.৪ কিমি। নতুন টাটা সুমো গোল্ডে লিটারে ১৪.৭ কিমি মাইলেজ। ছিল ১৩ কিমি। এর হাত ধরে বাজার বাড়াতে চাইছে তারা। |